ভোলায় ৯ বছরে খাদ্যশস্য উৎপাদন বেড়েছে ১৩ ভাগ
অনলাইন ডেস্ক | ১৪ অক্টোবর, ২০১৮ ১৫:৩৭
ধান কাটছেন উচ্ছ্বসিত কৃষক। ছবি: বাসস
বর্তমান সরকারের টানা দ্বিতীয় মেয়াদে জেলায় কৃষি খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। গত ৯ বছরে এখানে খাদ্যশস্য উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে ১৩ ভাগ। মানসম্মত বীজ ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে ৯ ভাগ। এছাড়া অধিক ফসল উৎপাদনের উদ্দেশ্যে নন-ইউরিয়া সার ব্যবহার বেড়েছে ৪৪ ভাগ। ফলে এ জেলায় কৃষকদের স্বচ্ছলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিবর্তন হয়েছে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সামগ্রিক চিত্র।
কৃষি বিভাগ সূত্রের বরাত দিয়ে বাসস জানায়, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে জেলায় খাদ্যশস্য উৎপাদন ছিলো ২ লাখ ৬৪ হাজার ৩৮৩ মে.টন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২ লাখ ৯৯ হাজার ১৫০ মে. টনে। এতে করে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত খাদ্যের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৪ হাজার ৭৬৭ মে. টন। মান-সম্মত বীজ ব্যবহার ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ছিলো ১২ হাজার ৪৩০ মে. টন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ব্যবহার হয়েছে ১৩ হাজার ৫০০ মে. টন। এতে ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে ৫৩৯ মে. টন বীজ। একই সময়ে নন-ইউরিয়া সার ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে ১৯ হাজার ৫১৮ মে. টন।
কৃষি কর্মকর্তারা জানান, সরকার কৃষকদের দ্বারপ্রান্তে সার পৌঁছানোর জন্য ৬৬৮ জন খুচরা সার বিক্রেতা নিয়োগ দিয়েছে। কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড বিতরণ করা হয়েছে ৪১ হাজার ৫৮০ জন কৃষকের মাঝে। বর্তমান সরকারের মেয়াদে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বিনামূল্যে বীজ ও সার বাবদ ১ লাখ ৩৩ হাজার ৪০৭ জন কৃষককে ১৭ কোটি ৪৬ লাখ ৩৯ হাজার ৫৪৩ টাকার সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
তারা আরো জানান, সেচ কাজে ব্যবহারে ডিজেলের জন্য ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬৮ জন কৃষককে ১০ কোটি ৮৩ লাখ ১১ হাজার ৪০০ টাকা নগদ প্রদান করা হয়েছে। বিভিন্ন প্রযুক্তির উপর ২ লাখ ১৫ হাজার ৫৩৩ জন কৃষক-কৃষাণীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। ৫০ হাজার ৫৫০টি ফলদ ও ঔষধী গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। ১৮ হাজার ৫০০টি খাটো জাতের নারকেলের চারা বিতরণ করা হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ দেবনাথ বলেন, গত ৯ বছরে আধুনিক জাতের ধান, গম, ভুট্টা, সরিষা, মুগসহ বিভিন্ন ফসলের আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া সার্জন পদ্ধতিতে প্রায় ৭ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে সারা বছর সবজি উৎপাদন হচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে কৃষি উৎপাদন বেড়েছে জেলায়। ফলে কৃষিখাতের উন্নয়নের পাশাপাশি কৃষকদের জীবনমানেরও উন্নয়ন ঘটেছে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ১৪ অক্টোবর, ২০১৮ ১৫:৩৭

বর্তমান সরকারের টানা দ্বিতীয় মেয়াদে জেলায় কৃষি খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। গত ৯ বছরে এখানে খাদ্যশস্য উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে ১৩ ভাগ। মানসম্মত বীজ ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে ৯ ভাগ। এছাড়া অধিক ফসল উৎপাদনের উদ্দেশ্যে নন-ইউরিয়া সার ব্যবহার বেড়েছে ৪৪ ভাগ। ফলে এ জেলায় কৃষকদের স্বচ্ছলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিবর্তন হয়েছে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সামগ্রিক চিত্র।
কৃষি বিভাগ সূত্রের বরাত দিয়ে বাসস জানায়, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে জেলায় খাদ্যশস্য উৎপাদন ছিলো ২ লাখ ৬৪ হাজার ৩৮৩ মে.টন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২ লাখ ৯৯ হাজার ১৫০ মে. টনে। এতে করে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত খাদ্যের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৪ হাজার ৭৬৭ মে. টন। মান-সম্মত বীজ ব্যবহার ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ছিলো ১২ হাজার ৪৩০ মে. টন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ব্যবহার হয়েছে ১৩ হাজার ৫০০ মে. টন। এতে ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে ৫৩৯ মে. টন বীজ। একই সময়ে নন-ইউরিয়া সার ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে ১৯ হাজার ৫১৮ মে. টন।
কৃষি কর্মকর্তারা জানান, সরকার কৃষকদের দ্বারপ্রান্তে সার পৌঁছানোর জন্য ৬৬৮ জন খুচরা সার বিক্রেতা নিয়োগ দিয়েছে। কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড বিতরণ করা হয়েছে ৪১ হাজার ৫৮০ জন কৃষকের মাঝে। বর্তমান সরকারের মেয়াদে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বিনামূল্যে বীজ ও সার বাবদ ১ লাখ ৩৩ হাজার ৪০৭ জন কৃষককে ১৭ কোটি ৪৬ লাখ ৩৯ হাজার ৫৪৩ টাকার সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
তারা আরো জানান, সেচ কাজে ব্যবহারে ডিজেলের জন্য ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬৮ জন কৃষককে ১০ কোটি ৮৩ লাখ ১১ হাজার ৪০০ টাকা নগদ প্রদান করা হয়েছে। বিভিন্ন প্রযুক্তির উপর ২ লাখ ১৫ হাজার ৫৩৩ জন কৃষক-কৃষাণীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। ৫০ হাজার ৫৫০টি ফলদ ও ঔষধী গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। ১৮ হাজার ৫০০টি খাটো জাতের নারকেলের চারা বিতরণ করা হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ দেবনাথ বলেন, গত ৯ বছরে আধুনিক জাতের ধান, গম, ভুট্টা, সরিষা, মুগসহ বিভিন্ন ফসলের আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া সার্জন পদ্ধতিতে প্রায় ৭ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে সারা বছর সবজি উৎপাদন হচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে কৃষি উৎপাদন বেড়েছে জেলায়। ফলে কৃষিখাতের উন্নয়নের পাশাপাশি কৃষকদের জীবনমানেরও উন্নয়ন ঘটেছে।