দাওয়াতের নামে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি | ৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৩:১৯
নিহত পশু চিকিৎসক কাউছার হোসেনের স্বজনদের আহাজারি। ছবি: দেশ রূপান্তর
সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে দাওয়াতের নামে ডেকে নিয়ে কাউছার হোসেন (২৩) নামে এক পশু চিকিৎসককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে দাবি করেছে নিহতের পরিবার।
চৌহালী উপজেলার পূর্বকোদালিয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কাউছার ওই গ্রামের আন্তাজ আলীর ছেলে।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে খাষপুখুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সংরক্ষিত মহিলা সদস্য শিরিন সুলতানাকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চৌহালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম।
নিহতের চাচা জয়নাল আবেদীন বলেন, “কাউছারের বাবা আন্তাজ আলীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে মহিলা মেম্বার শিরিন সুলতানার স্বামী রফিকুল ইসলাম বকুলের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। শুক্রবার বিকেলে বাড়িতে দাওয়াতের কথা বলে কাউছারকে তারা ডেকে নিয়ে যায়। এরপর তাকে পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।”
তিনি আরো বলেন, “এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মিলটন (৩২)সহ তিনজন গুরুতর আহত হয়। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।”
ওসি জাহাঙ্গীর আলম জানান, এ ঘটনায় নিহতের মা আয়েতুন নেছা বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। রাতেই এ মামলার আসামি সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য শিরিন সুলতানাকে আটক করা হয়েছে। অন্য আসামিদের আটকের চেষ্টা চলছে।
তিনি জানান, কাউছারের লাশ ময়নাতদন্তের জন্যে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার পর থেকে দু’পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি | ৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৩:১৯

সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে দাওয়াতের নামে ডেকে নিয়ে কাউছার হোসেন (২৩) নামে এক পশু চিকিৎসককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে দাবি করেছে নিহতের পরিবার।
চৌহালী উপজেলার পূর্বকোদালিয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কাউছার ওই গ্রামের আন্তাজ আলীর ছেলে।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে খাষপুখুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সংরক্ষিত মহিলা সদস্য শিরিন সুলতানাকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চৌহালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম।
নিহতের চাচা জয়নাল আবেদীন বলেন, “কাউছারের বাবা আন্তাজ আলীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে মহিলা মেম্বার শিরিন সুলতানার স্বামী রফিকুল ইসলাম বকুলের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। শুক্রবার বিকেলে বাড়িতে দাওয়াতের কথা বলে কাউছারকে তারা ডেকে নিয়ে যায়। এরপর তাকে পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।”
তিনি আরো বলেন, “এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মিলটন (৩২)সহ তিনজন গুরুতর আহত হয়। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।”
ওসি জাহাঙ্গীর আলম জানান, এ ঘটনায় নিহতের মা আয়েতুন নেছা বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। রাতেই এ মামলার আসামি সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য শিরিন সুলতানাকে আটক করা হয়েছে। অন্য আসামিদের আটকের চেষ্টা চলছে।
তিনি জানান, কাউছারের লাশ ময়নাতদন্তের জন্যে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার পর থেকে দু’পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।