পুলিশ-আ’লীগের সঙ্গে সংঘর্ষে বিএনপি প্রার্থী আহত
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি | ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১০:৪০
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে বিএনপির নির্বাচনী পথসভা চলাকালে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার উসমানপুর ইউনিয়নের চমুরি বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বাজারে বিএনপির নির্বাচনী পথসভা চলছিল। সভায় বক্তৃতার শেষ সময়ে হঠাৎ করেই ইউনিফর্মধারী পুলিশ ও সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্যসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
একপর্যায়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে বিএনপির প্রার্থী শরীফুল আলমসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে পুলিশ সদস্যও রয়েছেন।
বিএনপির প্রার্থী শরীফুল আলম বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে পথসভা করছিলাম। পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হঠাৎ আমাদের পথসভায় হামলা চালায়। প্রতিবাদ করতে গেলে নেতাকর্মীদেরকে ইউনিফর্মধারী পুলিশ ও সাদা পোশাকের পুলিশ লাঠিচার্জ করে।”
তিনি আরো বলেন, “স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পুলিশের সঙ্গে যোগ দিয়ে আমাদের লোকজনকে আহত করে।”
কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নান্নু মোল্লা বলেন, “নির্বাচনী সভার কাছ দিয়ে পুলিশ গাড়ি নিয়ে যাচ্ছিল। এসময় বিএনপির নেতাকর্মীরা সভা থেকে গাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোঁড়ে। পুলিশ প্রতিরোধের চেষ্টা করলে তারা গাড়িতে হামলা চালায়। এতে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আহসান আহত হয়েছেন।”
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি | ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১০:৪০

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে বিএনপির নির্বাচনী পথসভা চলাকালে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার উসমানপুর ইউনিয়নের চমুরি বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বাজারে বিএনপির নির্বাচনী পথসভা চলছিল। সভায় বক্তৃতার শেষ সময়ে হঠাৎ করেই ইউনিফর্মধারী পুলিশ ও সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্যসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
একপর্যায়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে বিএনপির প্রার্থী শরীফুল আলমসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে পুলিশ সদস্যও রয়েছেন।
বিএনপির প্রার্থী শরীফুল আলম বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে পথসভা করছিলাম। পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হঠাৎ আমাদের পথসভায় হামলা চালায়। প্রতিবাদ করতে গেলে নেতাকর্মীদেরকে ইউনিফর্মধারী পুলিশ ও সাদা পোশাকের পুলিশ লাঠিচার্জ করে।”
তিনি আরো বলেন, “স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পুলিশের সঙ্গে যোগ দিয়ে আমাদের লোকজনকে আহত করে।”
কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নান্নু মোল্লা বলেন, “নির্বাচনী সভার কাছ দিয়ে পুলিশ গাড়ি নিয়ে যাচ্ছিল। এসময় বিএনপির নেতাকর্মীরা সভা থেকে গাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোঁড়ে। পুলিশ প্রতিরোধের চেষ্টা করলে তারা গাড়িতে হামলা চালায়। এতে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আহসান আহত হয়েছেন।”