টেকনাফে আটকের পরদিন ‘বন্দুকযুদ্ধে’ যুবক নিহত
কক্সবাজার প্রতিনিধি | ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০৯:৩৩
কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে জালাল ইউসুফ বাহাদুর (৩৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন টেকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ।
শুক্রবার ভোরে টেকনাফ সদরের মৌলভীপাড়া এলাকায় কথিত এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহত বাহাদুর ইয়াবা ব্যবসায়ী বলে দাবি করেছে পুলিশ।
মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে মানবাধিকার সংস্থা আইন ও শালিস কেন্দ্র-আসক বলেছে, মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির অংশ হিসেবে সারা দেশে চালানো অভিযানে ১৫ মে থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত র্যাব-পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ২৭৬ জন নিহত হন।
এ বছর বাংলাদেশে প্রথম ১০ মাসে সব মিলিয়ে ৪৩৭ জন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে গুমের শিকার হয়েছেন ২৬ জন। গত বছর এই বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা ছিল ১২৬। সে হিসেবে চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসেই এই সংখ্যা সাড়ে তিন গুণ ছাড়িয়ে গেছে।
ওসি প্রদীপ কুমার জানান, নিহত জালাল ইউসুফ বাহাদুর টেকনাফ সদরের হাবিরপাড়া এলাকার খলিল আহমেদের ছেলে। তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী।
তার ভাষ্য, বাহাদুরকে বৃহস্পতিবার আটক করা হয়। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শুক্রবার রাতে পুলিশ তাকে নিয়ে যায় ইয়াবা উদ্ধারের জন্য মৌলভীপাড়া এলাকায় যায়। সেখানে পৌঁছালে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলির একপর্যায়ে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পিছু হটে।
এ ঘটনায় জালাল ইউসুফ বাহাদুর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি আরো জানান, ঘটনাস্থল থেকে ৩০ হাজার পিস ইয়াবা, ১০টি দেশে তৈরি বন্দুক, ১টি বিদেশি পিস্তল ও ২৪টি গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হয়েছেন বলে দাবি পুলিশের। আহতরা হলেন- টেকনাফ থানা পুলিশের এসআই সারিফুল ইসলাম, এএসআই ফারুক জামান, কনস্টেবল রুবেল, মহিউদ্দিন ও ইব্রাহিম।
পুলিশ জানায়, নিহত জালাল ইউসুফ বাহাদুরের বিরুদ্ধে ১২টি মামলা রয়েছে। তার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
কক্সবাজার প্রতিনিধি | ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০৯:৩৩

কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে জালাল ইউসুফ বাহাদুর (৩৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন টেকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ।
শুক্রবার ভোরে টেকনাফ সদরের মৌলভীপাড়া এলাকায় কথিত এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহত বাহাদুর ইয়াবা ব্যবসায়ী বলে দাবি করেছে পুলিশ।
মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে মানবাধিকার সংস্থা আইন ও শালিস কেন্দ্র-আসক বলেছে, মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির অংশ হিসেবে সারা দেশে চালানো অভিযানে ১৫ মে থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত র্যাব-পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ২৭৬ জন নিহত হন।
এ বছর বাংলাদেশে প্রথম ১০ মাসে সব মিলিয়ে ৪৩৭ জন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে গুমের শিকার হয়েছেন ২৬ জন। গত বছর এই বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা ছিল ১২৬। সে হিসেবে চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসেই এই সংখ্যা সাড়ে তিন গুণ ছাড়িয়ে গেছে।
ওসি প্রদীপ কুমার জানান, নিহত জালাল ইউসুফ বাহাদুর টেকনাফ সদরের হাবিরপাড়া এলাকার খলিল আহমেদের ছেলে। তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী।
তার ভাষ্য, বাহাদুরকে বৃহস্পতিবার আটক করা হয়। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শুক্রবার রাতে পুলিশ তাকে নিয়ে যায় ইয়াবা উদ্ধারের জন্য মৌলভীপাড়া এলাকায় যায়। সেখানে পৌঁছালে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলির একপর্যায়ে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পিছু হটে।
এ ঘটনায় জালাল ইউসুফ বাহাদুর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি আরো জানান, ঘটনাস্থল থেকে ৩০ হাজার পিস ইয়াবা, ১০টি দেশে তৈরি বন্দুক, ১টি বিদেশি পিস্তল ও ২৪টি গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হয়েছেন বলে দাবি পুলিশের। আহতরা হলেন- টেকনাফ থানা পুলিশের এসআই সারিফুল ইসলাম, এএসআই ফারুক জামান, কনস্টেবল রুবেল, মহিউদ্দিন ও ইব্রাহিম।
পুলিশ জানায়, নিহত জালাল ইউসুফ বাহাদুরের বিরুদ্ধে ১২টি মামলা রয়েছে। তার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।