সিরাজগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বিএনপি প্রার্থীসহ আহত ১৫
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি | ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০৯:৪০
সিরাজগঞ্জে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির প্রার্থীসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে চার পুলিশ সদস্যও রয়েছেন।
শহরের ইবি রোড এলাকায় শুক্রবার সন্ধ্যায় এই সংঘর্ষের ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৪৭ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ৮ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
আহত বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে জেলা বিএনপির সভাপতি ও ধানের শীষের সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী রুমানা মাহমুদ ও মেরী নামে এক নারী কর্মী রয়েছেন বলে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু নিশ্চিত করেছেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, সন্ধ্যার দিকে স্থানীয় হোসেনপুর এলাকা থেকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর বাড়ি থেকে তার সহধর্মিণী বিএনপি মনোনীত প্রার্থী রুমানা মাহমুদ দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে যাচ্ছিলেন। তারা ইবি রোডে পৌঁছালে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
বিএনপির নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। পুলিশও পাল্টা লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে।
এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৪৭ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ৮ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এসময় বিএনপি দলীয় প্রার্থী রুমানা মাহমুদ, নারী নেত্রী মেরীসহ প্রায় ১১ নেতাকর্মী আহত হন।
প্রচারে বাধা দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে সিরাজগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ বলেন, “সন্ধ্যার দিকে বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদের দলীয় অফিসে যাওয়ার সময় বিনা উস্কানিতে পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়ে এবং পুলিশের গাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় চার পুলিশ সদস্য আহত হন।”
তিনি বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে ৮ রাউন্ড টিয়ারশেল এবং ৪৭ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি | ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০৯:৪০

সিরাজগঞ্জে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির প্রার্থীসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে চার পুলিশ সদস্যও রয়েছেন।
শহরের ইবি রোড এলাকায় শুক্রবার সন্ধ্যায় এই সংঘর্ষের ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৪৭ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ৮ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
আহত বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে জেলা বিএনপির সভাপতি ও ধানের শীষের সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী রুমানা মাহমুদ ও মেরী নামে এক নারী কর্মী রয়েছেন বলে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু নিশ্চিত করেছেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, সন্ধ্যার দিকে স্থানীয় হোসেনপুর এলাকা থেকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর বাড়ি থেকে তার সহধর্মিণী বিএনপি মনোনীত প্রার্থী রুমানা মাহমুদ দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে যাচ্ছিলেন। তারা ইবি রোডে পৌঁছালে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
বিএনপির নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। পুলিশও পাল্টা লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে।
এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৪৭ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ৮ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এসময় বিএনপি দলীয় প্রার্থী রুমানা মাহমুদ, নারী নেত্রী মেরীসহ প্রায় ১১ নেতাকর্মী আহত হন।
প্রচারে বাধা দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে সিরাজগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ বলেন, “সন্ধ্যার দিকে বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদের দলীয় অফিসে যাওয়ার সময় বিনা উস্কানিতে পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়ে এবং পুলিশের গাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় চার পুলিশ সদস্য আহত হন।”
তিনি বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে ৮ রাউন্ড টিয়ারশেল এবং ৪৭ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে বলে জানান ওসি।