ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ
ডাক্তার ছিলেন না, ইনজেকশন দেন নার্স
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি | ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৫:০৫
লক্ষ্মীপুরে ভুল চিকিৎসায় মোহাম্মদ সেকান্তর (৫৫) নামের এক সরকারি কর্মচারীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বজনরা ও বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী হাসপাতালে ভাঙচুর চালায়। এসময় হাসপাতালের চিকিৎসক ও সেবক-সেবিকারা পালিয়ে যান।
শনিবার রাত ১০টার দিকে পৌর শহরের আধুনিক হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
নিহত সেকান্তর লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার অফিস সহায়ক ও জেলার আবিরনগর গ্রামের বাসিন্দা।
নিহতের চাচাতো ভাই মো. সুমন হোসেন বলেন, “সন্ধ্যা ৭টার দিকে বুকে ব্যথা অনুভব হলে ভাই সেকান্তরকে আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে আসি। এসময় হাসপাতালে কোনো চিকিৎসক না থাকলেও হাসপাতালের নার্সরা বলেন- স্যার আসতেছেন, আপনারা চিন্তা করবেন না। পরে রোগীর অবস্থার অবনতি দেখে হাসপাতালের কর্মরত নার্স তার হাতে কয়েকটি ইনজেকশন পুশ করেন। কিছুক্ষণ পরেই ছটফট করে মারা যান সেকান্তর মিয়া।”
খবর পেয়ে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও রোগীর স্বজনরা হাসপাতালের চেয়ার ও কয়েকটি গ্লাস ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কর্তব্যরত নার্স পারুল আক্তার বলেন, “আমরা রোগীকে ইমস্ট্যাট দিয়েছি। এসময় রোগী অনেক লাফাচ্ছিল। রোগীর নাকেমুখেও ফেনা উঠছিল। আমরা এসময় ইনজেকশন পুশ করি। তারপরও রোগীর জ্ঞান ফিরে আসেনি।”
এ ব্যাপারে আধুনিক হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ডা. মো. শাহাজাহান বলেন, “রোগী আগেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। আমরা চেষ্টা করেছি রোগীকে যথাযথ সেবা দেওয়ার জন্য।”
ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন কি না এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. লোকমান হোসেন বলেন, “আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। এসময় মালিকপক্ষের কাউকে পাইনি।”
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিয়াজুল কবির বলেন, “সরকারি কর্মচারী মারা যাওয়ার ঘটনায় প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে চিকিৎসার ব্যত্যয় ঘটেছে। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি | ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৫:০৫
লক্ষ্মীপুরে ভুল চিকিৎসায় মোহাম্মদ সেকান্তর (৫৫) নামের এক সরকারি কর্মচারীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বজনরা ও বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী হাসপাতালে ভাঙচুর চালায়। এসময় হাসপাতালের চিকিৎসক ও সেবক-সেবিকারা পালিয়ে যান।
শনিবার রাত ১০টার দিকে পৌর শহরের আধুনিক হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
নিহত সেকান্তর লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার অফিস সহায়ক ও জেলার আবিরনগর গ্রামের বাসিন্দা।
নিহতের চাচাতো ভাই মো. সুমন হোসেন বলেন, “সন্ধ্যা ৭টার দিকে বুকে ব্যথা অনুভব হলে ভাই সেকান্তরকে আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে আসি। এসময় হাসপাতালে কোনো চিকিৎসক না থাকলেও হাসপাতালের নার্সরা বলেন- স্যার আসতেছেন, আপনারা চিন্তা করবেন না। পরে রোগীর অবস্থার অবনতি দেখে হাসপাতালের কর্মরত নার্স তার হাতে কয়েকটি ইনজেকশন পুশ করেন। কিছুক্ষণ পরেই ছটফট করে মারা যান সেকান্তর মিয়া।”
খবর পেয়ে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও রোগীর স্বজনরা হাসপাতালের চেয়ার ও কয়েকটি গ্লাস ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কর্তব্যরত নার্স পারুল আক্তার বলেন, “আমরা রোগীকে ইমস্ট্যাট দিয়েছি। এসময় রোগী অনেক লাফাচ্ছিল। রোগীর নাকেমুখেও ফেনা উঠছিল। আমরা এসময় ইনজেকশন পুশ করি। তারপরও রোগীর জ্ঞান ফিরে আসেনি।”
এ ব্যাপারে আধুনিক হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ডা. মো. শাহাজাহান বলেন, “রোগী আগেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। আমরা চেষ্টা করেছি রোগীকে যথাযথ সেবা দেওয়ার জন্য।”
ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন কি না এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. লোকমান হোসেন বলেন, “আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। এসময় মালিকপক্ষের কাউকে পাইনি।”
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিয়াজুল কবির বলেন, “সরকারি কর্মচারী মারা যাওয়ার ঘটনায় প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে চিকিৎসার ব্যত্যয় ঘটেছে। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”