সেই পৌর মেয়র আটক, মুচলেকা দিয়ে মুক্তি
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি | ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৯:৫৭
জনসম্মুখে এক ভটভটি চালককে নির্যাতন করে ব্যাপক সমালোচিত নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও পৌরসভার মেয়র সাদেকুর রহমান। ছবি: ফেসবুক।
জনসম্মুখে এক ভটভটি চালককে নির্যাতন করে ব্যাপক সমালোচিত নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও পৌরসভার মেয়র সাদেকুর রহমানকে আটক করে পুলিশ। পরে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
উপজেলার গোয়ালদী গ্রামের নিজ বাসা থেকে সোমবার রাত পৌনে ১ টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তাকে আটক করে। পরে মঙ্গলবার দুপুরে মুচলেকার বিনিময়ে মুক্তি দেওয়া হয় তাকে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর এনামুল হক জানান, মেয়রকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু তার শারীরিক অবস্থা ও বয়স বিবেচনা করে তাকে মুচলেকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া যে চালককে নির্যাতন করা হয়েছে সে মেয়রের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করেনি।
জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনে মহাজোট মনোনীত জাতীয় পার্টির প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকার পক্ষে গণসংযোগ করে গত ১৫ ডিসেম্বর নিজ গাড়িতে চড়ে বাসায় ফিরছিলেন মেয়র সাদেকুর রহমান। সোনারগাঁ জাদুঘরের সামনে বিপরীত দিক থেকে আসা বাঁশ বোঝাই নসিমনের(ভটভটি) সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে মেয়র সাদেকুর রহমানের গাড়িতে আঁচড় লাগে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সাদেকুর রহমান গাড়ি থেকে নেমে নিজের হাতে থাকা লাঠি দিয়ে জামাল হোসেন নামের ওই চালককে বেদম পেটাতে থাকে। এ সময় কিশোর চালক পায়ে ধরে বারবার ক্ষমা চেয়ে আহাজারি করলেও মন গলেনি মেয়রের। উল্টো আরও চটে যান তিনি। পরে আরও কয়েক দফা তাকে হাতের লাঠি দিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন করেন।
এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচণা শুরু হয়। মেয়রকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি উঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। পরে সোমবার রাতে নিজ বাসা থেকে পৌর মেয়র সাদেকুর রহমানকে আটক করে ডিবি পুলিশ। আটকের পর নির্যাতিত ভটভটি চালক জামালকে ডিবি কার্যালয়ে ডেকে পাঠানো হয়। সেখানে সে মেয়রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে না বলে জানান। পরে ডিবি পুলিশ মুচলেকার বিনিময়ে মঙ্গলবার দুপুরে মেয়রকে ছেড়ে দেন। অভিযুক্ত মেয়র বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির (বিসিডিএস) কেন্দ্রীয় কমিটিরও বর্তমান সভাপতি।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি | ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৯:৫৭

জনসম্মুখে এক ভটভটি চালককে নির্যাতন করে ব্যাপক সমালোচিত নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও পৌরসভার মেয়র সাদেকুর রহমানকে আটক করে পুলিশ। পরে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
উপজেলার গোয়ালদী গ্রামের নিজ বাসা থেকে সোমবার রাত পৌনে ১ টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তাকে আটক করে। পরে মঙ্গলবার দুপুরে মুচলেকার বিনিময়ে মুক্তি দেওয়া হয় তাকে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর এনামুল হক জানান, মেয়রকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু তার শারীরিক অবস্থা ও বয়স বিবেচনা করে তাকে মুচলেকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া যে চালককে নির্যাতন করা হয়েছে সে মেয়রের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করেনি।
জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনে মহাজোট মনোনীত জাতীয় পার্টির প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকার পক্ষে গণসংযোগ করে গত ১৫ ডিসেম্বর নিজ গাড়িতে চড়ে বাসায় ফিরছিলেন মেয়র সাদেকুর রহমান। সোনারগাঁ জাদুঘরের সামনে বিপরীত দিক থেকে আসা বাঁশ বোঝাই নসিমনের(ভটভটি) সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে মেয়র সাদেকুর রহমানের গাড়িতে আঁচড় লাগে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সাদেকুর রহমান গাড়ি থেকে নেমে নিজের হাতে থাকা লাঠি দিয়ে জামাল হোসেন নামের ওই চালককে বেদম পেটাতে থাকে। এ সময় কিশোর চালক পায়ে ধরে বারবার ক্ষমা চেয়ে আহাজারি করলেও মন গলেনি মেয়রের। উল্টো আরও চটে যান তিনি। পরে আরও কয়েক দফা তাকে হাতের লাঠি দিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন করেন।
এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচণা শুরু হয়। মেয়রকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি উঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। পরে সোমবার রাতে নিজ বাসা থেকে পৌর মেয়র সাদেকুর রহমানকে আটক করে ডিবি পুলিশ। আটকের পর নির্যাতিত ভটভটি চালক জামালকে ডিবি কার্যালয়ে ডেকে পাঠানো হয়। সেখানে সে মেয়রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে না বলে জানান। পরে ডিবি পুলিশ মুচলেকার বিনিময়ে মঙ্গলবার দুপুরে মেয়রকে ছেড়ে দেন। অভিযুক্ত মেয়র বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির (বিসিডিএস) কেন্দ্রীয় কমিটিরও বর্তমান সভাপতি।