প্রেমিককে দিয়ে স্বামী খুন
যশোর প্রতিনিধি | ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৫:০০
পরকীয়া সম্পর্কের জের ধরে প্রেমিকার স্বামীকে হত্যার তিন দিন পর আটক করা হয়েছে গাজীপুরের এক শিক্ষককে। আটক সুজন অধিকারী গাজীপুরের জয়দেবপুর উপজেলার বিআইডিসি রোডের আরপিআর নামের একটি কোচিং সেন্টারের শিক্ষক।
সুজন যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার গাইদঘাট গ্রামের সরোজিৎ অধিকারীর ছেলে। রোববার তাকে জয়দেবপুর থেকে আটক করা হয়।
গত ২০ ডিসেম্বর যশোর সদর উপজেলার সাতমাইল এলাকার মানিকদিহি গ্রামে রেল লাইনের পাশ থেকে মদন অধিকারী নামে এক ব্যক্তির গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তিনি পাশের ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কুল্লা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। যশোরের সাতমাইল বাজারে দিনমজুরের কাজ করতেন।
যশোর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এমকেএইচ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, নিহত মদনের স্ত্রী অঞ্জনা অধিকারীর স্বামী খুন হওয়ার পরও স্বাভাবিক আচরণ দেখে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। এরপর তদন্তে বেরিয়ে আসে অঞ্জনা ও সুজনের পরকীয়ার কাহিনী।
২০ ডিসেম্বর সুজন জয়দেবপুর থেকে যশোরে এসে মদনকে খুন করে আবার ফিরে যান। অঞ্জনার স্বীকারোক্তিতে এ রহস্যের উন্মোচন হয় বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
তিনি আরও জানান, সুজন এ হত্যাকাণ্ডে কৌশল অবলম্বন করে কখনো নিজের মোবাইল ফোন ব্যবহার করেননি। ১৯ ডিসেম্বর যশোরে রওনা হওয়ার আগে তিনি যশোর শহরের বেজপাড়ায় তার বন্ধু পলাশ চন্দ্র শর্মার মাধ্যমে আগে থেকে রেলের টিকিট কাটিয়ে রাখেন।
এদিকে যাকে হত্যা করা হবে সেই মদনকেই ফোন করে তার প্রয়োজন বলে একটি দা আনতে বলেন সুজন। ২০ ডিসেম্বর যশোরে পৌঁছে তিনি সন্ধ্যায় সাতমাইল বাজারে গিয়ে মদনের সঙ্গে কথা বলতে বলতে তাকে নিয়ে রেললাইনের উপর গিয়ে বসেন। এসময় মদন তার হাতে দা তুলে দেন।
কথা বলার একপর্যায়ে ওই দা দিয়ে সুজন মদনের গলা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর তিনি আবার জয়দেবপুর ফিরে যান ট্রেনে করে।
এঘটনায় মদনের স্ত্রী অঞ্জনাকেও আটক করেছে পুলিশ।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
যশোর প্রতিনিধি | ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৫:০০

পরকীয়া সম্পর্কের জের ধরে প্রেমিকার স্বামীকে হত্যার তিন দিন পর আটক করা হয়েছে গাজীপুরের এক শিক্ষককে। আটক সুজন অধিকারী গাজীপুরের জয়দেবপুর উপজেলার বিআইডিসি রোডের আরপিআর নামের একটি কোচিং সেন্টারের শিক্ষক।
সুজন যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার গাইদঘাট গ্রামের সরোজিৎ অধিকারীর ছেলে। রোববার তাকে জয়দেবপুর থেকে আটক করা হয়।
গত ২০ ডিসেম্বর যশোর সদর উপজেলার সাতমাইল এলাকার মানিকদিহি গ্রামে রেল লাইনের পাশ থেকে মদন অধিকারী নামে এক ব্যক্তির গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তিনি পাশের ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কুল্লা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। যশোরের সাতমাইল বাজারে দিনমজুরের কাজ করতেন।
যশোর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এমকেএইচ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, নিহত মদনের স্ত্রী অঞ্জনা অধিকারীর স্বামী খুন হওয়ার পরও স্বাভাবিক আচরণ দেখে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। এরপর তদন্তে বেরিয়ে আসে অঞ্জনা ও সুজনের পরকীয়ার কাহিনী।
২০ ডিসেম্বর সুজন জয়দেবপুর থেকে যশোরে এসে মদনকে খুন করে আবার ফিরে যান। অঞ্জনার স্বীকারোক্তিতে এ রহস্যের উন্মোচন হয় বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
তিনি আরও জানান, সুজন এ হত্যাকাণ্ডে কৌশল অবলম্বন করে কখনো নিজের মোবাইল ফোন ব্যবহার করেননি। ১৯ ডিসেম্বর যশোরে রওনা হওয়ার আগে তিনি যশোর শহরের বেজপাড়ায় তার বন্ধু পলাশ চন্দ্র শর্মার মাধ্যমে আগে থেকে রেলের টিকিট কাটিয়ে রাখেন।
এদিকে যাকে হত্যা করা হবে সেই মদনকেই ফোন করে তার প্রয়োজন বলে একটি দা আনতে বলেন সুজন। ২০ ডিসেম্বর যশোরে পৌঁছে তিনি সন্ধ্যায় সাতমাইল বাজারে গিয়ে মদনের সঙ্গে কথা বলতে বলতে তাকে নিয়ে রেললাইনের উপর গিয়ে বসেন। এসময় মদন তার হাতে দা তুলে দেন।
কথা বলার একপর্যায়ে ওই দা দিয়ে সুজন মদনের গলা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর তিনি আবার জয়দেবপুর ফিরে যান ট্রেনে করে।
এঘটনায় মদনের স্ত্রী অঞ্জনাকেও আটক করেছে পুলিশ।