পাল্টা অভিযোগ আ’লীগের
বিএনপি প্রার্থীর গাড়িবহরে হামলা, প্রতিবাদ করায় আটক ১১
শেরপুর প্রতিনিধি | ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০৮:৫২
শেরপুর-১ (সদর) আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকা এবং একই আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী হুইপ আতিউর রহমান আতিকের মেয়ের গাড়িবহরে হামলার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার রাতে পৃথক সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব অভিযোগ করেন।
বিএনপি প্রার্থী প্রিয়াংকা বলেন, “সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঘুঘুরাকান্দি গ্রামে পৌঁছালে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গণসংযোগে বাধা দেয়। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে গাড়ি নিয়ে চলে আসার সময় পেছন থেকে লাঠিসোঁটা নিয়ে গাড়ির পেছনের ও দুই পাশের কাঁচ ভেঙে ফেলে। গাড়িতে বসা লোকজনের উপরও হামলা করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এতে খালা ও ভাইসহ ১০ জন আহত হয়।”
তিনি জানান, তিনি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা আনারকলি মাহবুবের কার্যালয়ে দেখা করতে গেলে রিটার্নিং কর্মকর্তা কথা বলতে রাজি হননি। পরে ডা. প্রিয়াংকা ও তার সমর্থকরা রিটার্নিং কর্মকর্তার কক্ষের দরজার সামনে প্রায় ৪০ মিনিট বসে অবস্থান নেন।
একপর্যায়ে প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা এসে পরিস্থিতি শান্ত করে রিটার্নিং কর্মকর্তার সাক্ষাতের সুযোগ করে দেন।
সন্ধ্যায় কার্যালয়ের নিচে উত্তেজিত নেতাকর্মী ও আত্মীয়রা হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ১১জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এদিকে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। এছাড়া তিনি ঘটনাটি নির্বাচনী ইলেক্ট্ররিয়াল সেলে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হুইপ আতিউর রহমান আতিকের বড় মেয়ে ডা. শারমিন রহমান অমি ও ছোট মেয়ে অপির গাড়িবহরে বিএনপি নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে পাল্টা অভিযোগ করা হয়েছে।
এদিন রাতে সাংবাদিকদের ডা. অমি বলেন, “আমরা সদর উপজেলা বলায়েরচর যাওয়ার জন্য বের হই। কুসুমহাটি পৌঁছালে বিএনপি প্রার্থী প্রিয়াংকার মিছিল নিয়ে যেতে দেখে গাড়ি সাইড করি। কিন্তু প্রিয়াংকা আমাদের হাত দিয়ে দেখিয়ে দেয়। এরপরই আমাদের গাড়িতে হামলা হয়।”
এদিকে হুইপকন্যার উপর হামলার প্রতিবাদে জেলা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
শেরপুর প্রতিনিধি | ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০৮:৫২

শেরপুর-১ (সদর) আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকা এবং একই আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী হুইপ আতিউর রহমান আতিকের মেয়ের গাড়িবহরে হামলার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার রাতে পৃথক সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব অভিযোগ করেন।
বিএনপি প্রার্থী প্রিয়াংকা বলেন, “সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঘুঘুরাকান্দি গ্রামে পৌঁছালে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গণসংযোগে বাধা দেয়। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে গাড়ি নিয়ে চলে আসার সময় পেছন থেকে লাঠিসোঁটা নিয়ে গাড়ির পেছনের ও দুই পাশের কাঁচ ভেঙে ফেলে। গাড়িতে বসা লোকজনের উপরও হামলা করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এতে খালা ও ভাইসহ ১০ জন আহত হয়।”
তিনি জানান, তিনি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা আনারকলি মাহবুবের কার্যালয়ে দেখা করতে গেলে রিটার্নিং কর্মকর্তা কথা বলতে রাজি হননি। পরে ডা. প্রিয়াংকা ও তার সমর্থকরা রিটার্নিং কর্মকর্তার কক্ষের দরজার সামনে প্রায় ৪০ মিনিট বসে অবস্থান নেন।

একপর্যায়ে প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা এসে পরিস্থিতি শান্ত করে রিটার্নিং কর্মকর্তার সাক্ষাতের সুযোগ করে দেন।
সন্ধ্যায় কার্যালয়ের নিচে উত্তেজিত নেতাকর্মী ও আত্মীয়রা হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ১১জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এদিকে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। এছাড়া তিনি ঘটনাটি নির্বাচনী ইলেক্ট্ররিয়াল সেলে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হুইপ আতিউর রহমান আতিকের বড় মেয়ে ডা. শারমিন রহমান অমি ও ছোট মেয়ে অপির গাড়িবহরে বিএনপি নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে পাল্টা অভিযোগ করা হয়েছে।
এদিন রাতে সাংবাদিকদের ডা. অমি বলেন, “আমরা সদর উপজেলা বলায়েরচর যাওয়ার জন্য বের হই। কুসুমহাটি পৌঁছালে বিএনপি প্রার্থী প্রিয়াংকার মিছিল নিয়ে যেতে দেখে গাড়ি সাইড করি। কিন্তু প্রিয়াংকা আমাদের হাত দিয়ে দেখিয়ে দেয়। এরপরই আমাদের গাড়িতে হামলা হয়।”
এদিকে হুইপকন্যার উপর হামলার প্রতিবাদে জেলা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।