লিফলেট বিতরণ করতে গিয়ে মারধরে নৌকা সমর্থকের মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট | ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৪:৫৩
সিলেট সদর উপজেলার নলকট গ্রামে বিএনপি সমর্থকদের হামলায় নৌকা প্রতীকের সমর্থক কাওছার আহমদ (৩৮) নামে এক ব্যক্তি নিহতের খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কাওছার ওই গ্রামের মাহমদ আলীর ছেলে। দুই মাস আগে তিনি কুয়েত থেকে দেশে এসেছিলেন।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্র জানায়, কাওছার বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিলেট-১ (মহানগর-সদর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ড. এ কে আবদুল মোমেনের পক্ষে নৌকায় ভোট চেয়ে গ্রামে লিফলেট বিতরণ করেন।
একপর্যায়ে তিনি তার প্রতিবেশী প্রয়াত সোনা মিয়ার ছেলে বারিক মিয়ার বাড়িতে গিয়ে লিফলেট বিতরণ করেন। বারিক মিয়া বিএনপির সমর্থক। লিফলেট বিতরণ নিয়ে বারিক মিয়ার সঙ্গে কাওছার আহমদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। বারিক মিয়া ও তার আত্মীয়-স্বজনরা কাওছারকে বেধড়ক মারধর শুরু করেন। উপর্যুপরি কিলঘুষিতে বারিক মিয়া অচেতন হয়ে পড়েন। পরে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তিনি মারা যান।
নিহত কাওছার আহমদের ভাই জামাল আহমদ দেশ রূপান্তরকে জানান, বারিক ও তার ভাই-ভাতিজারা কাওছারকে বেদম মারধর করেন। এতে নাক-মুখ ও কান দিয়ে রক্তক্ষরণ হয়ে কাওছার মারা যান।
তিনি বলেন, ‘কাওছারের উপার্জনে আমাদের পরিবার চলতো। কাওছারের স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তানসহ পরিবারের সবাই চোখে অন্ধকার দেখছি।’
জালালাবাদ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হারুন-উর-রশীদ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘নিহত কাওছার আওয়ামী লীগ সমর্থক ছিলেন। যারা হামলা করেছে তারা বিএনপি সমর্থক। তবে ভোট না অন্য কিছুকে কেন্দ্র করে এটি ঘটেছে তা তদন্ত করা হচ্ছে।
ওসি আরো জানান, কিছুদিন আগে গ্রামে একটি গরু হারিয়ে যাওয়া নিয়ে কাওছার ও বারিক মিয়ার মধ্যে ঝামেলা চলছে বলে একটি সূত্র পুলিশকে জানিয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট | ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৪:৫৩

সিলেট সদর উপজেলার নলকট গ্রামে বিএনপি সমর্থকদের হামলায় নৌকা প্রতীকের সমর্থক কাওছার আহমদ (৩৮) নামে এক ব্যক্তি নিহতের খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কাওছার ওই গ্রামের মাহমদ আলীর ছেলে। দুই মাস আগে তিনি কুয়েত থেকে দেশে এসেছিলেন।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্র জানায়, কাওছার বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিলেট-১ (মহানগর-সদর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ড. এ কে আবদুল মোমেনের পক্ষে নৌকায় ভোট চেয়ে গ্রামে লিফলেট বিতরণ করেন।
একপর্যায়ে তিনি তার প্রতিবেশী প্রয়াত সোনা মিয়ার ছেলে বারিক মিয়ার বাড়িতে গিয়ে লিফলেট বিতরণ করেন। বারিক মিয়া বিএনপির সমর্থক। লিফলেট বিতরণ নিয়ে বারিক মিয়ার সঙ্গে কাওছার আহমদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। বারিক মিয়া ও তার আত্মীয়-স্বজনরা কাওছারকে বেধড়ক মারধর শুরু করেন। উপর্যুপরি কিলঘুষিতে বারিক মিয়া অচেতন হয়ে পড়েন। পরে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তিনি মারা যান।
নিহত কাওছার আহমদের ভাই জামাল আহমদ দেশ রূপান্তরকে জানান, বারিক ও তার ভাই-ভাতিজারা কাওছারকে বেদম মারধর করেন। এতে নাক-মুখ ও কান দিয়ে রক্তক্ষরণ হয়ে কাওছার মারা যান।
তিনি বলেন, ‘কাওছারের উপার্জনে আমাদের পরিবার চলতো। কাওছারের স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তানসহ পরিবারের সবাই চোখে অন্ধকার দেখছি।’
জালালাবাদ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হারুন-উর-রশীদ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘নিহত কাওছার আওয়ামী লীগ সমর্থক ছিলেন। যারা হামলা করেছে তারা বিএনপি সমর্থক। তবে ভোট না অন্য কিছুকে কেন্দ্র করে এটি ঘটেছে তা তদন্ত করা হচ্ছে।
ওসি আরো জানান, কিছুদিন আগে গ্রামে একটি গরু হারিয়ে যাওয়া নিয়ে কাওছার ও বারিক মিয়ার মধ্যে ঝামেলা চলছে বলে একটি সূত্র পুলিশকে জানিয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।