এশিয়ার প্রথম পানি জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
পটুয়াখালী প্রতিনিধি | ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৪:৫০
‘নদীর অধিকার- নদীতে অধিকার, নদী ও পানি অধিকার প্রতিষ্ঠায় চাই ঐক্য’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রতি বছরের মতো এবারও বর্ণাঢ্য র্যালি, আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে এশিয়ার প্রথম পানি জাদুঘরের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
দিবসটি উপলক্ষে শনিবার সকালে পানি জাদুঘর চত্বর থেকে একটি র্যালি বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পানি জাদুঘর চত্বরে এসে শেষ হয়।
পরে পানি জাদুঘর হলরুমে ‘নদী ও পানি সম্পদ রক্ষায় নাগরিক উদ্যোগ’ শিরোনামে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পানি জাদুঘর পরিচালনা পর্ষদ সদস্য জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন আভাসের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মনিরুল ইসলাম, পানি জাদুঘরের ফেলো লিপি মিত্র, তৃণমূল নারী নেত্রী লাইলি বেগম প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, নদীকে রক্ষা এবং নদীর স্বাভাবিকতা বজায় রাখতে সামাজিক আন্দোলন করতে হবে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং মানুষের জীবন-জীবিকার জন্য নদী রক্ষার বিকল্প নেই।
এসময় বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধানের সুপারিশমালা তুলে ধরা হয়।
নদী ও পানিসম্পদ রক্ষায় সরকার ও নীতিনির্ধারকদের আরো উদ্যোগী করা, মানুষকে সচেতন করা এবং বাস্তবতাকে দৃশ্যমান করার মাধ্যমে নদী ও পানি সম্পদ রক্ষার আন্দোলনকে আরো শক্তিশালী করতে এশিয়ায় প্রথমবারের মতো প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে- পানি জাদুঘর।
আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা একশনএইড বাংলাদেশ’র আর্থিক সহায়তায় এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আভাসের সহযোগিতায় পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় (পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের পাশে) পাখিমারায় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে এ পানি জাদুঘর।
নির্দিষ্ট দর্শনার্থী ফি’র বিনিময়ে দর্শনার্থীদের পরিদর্শনের জন্য স্থানীয় তৃণমূল সংগঠন উপকূলীয় জনকল্যাণ সংস্থার মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে পানি জাদুঘরের কার্যক্রম।
আভাসের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মনিরুল ইসলাম বলেন, পানি সম্পদ ও তার ব্যবহার সম্পর্কে সকল পর্যায়ের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। প্রাকৃতিক সম্পদ ও সাধারণ মানুষের অধিকার রক্ষায় অধিক মনোযোগ ধর্ষণসহ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও দারিদ্র্য বিমোচনে সহায়ক করতে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে পানি জাদুঘর।
তিনি বলেন, এখানে দেশি এবং আন্তর্জাতিক প্রায় শতাধিক নদীর পানি সংরক্ষিত রয়েছে। প্রায় হারাতে বসা এবং হারিয়ে যাওয়া নদীকেন্দ্রিক জীবন-জীবিকার নানা উপকরণ সংরক্ষিত আছে। আন্তর্জাতিক অভিন্ন অনেক নদীর সুষম বণ্টনের নানা দিক তুলে ধরে রয়েছে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
পটুয়াখালী প্রতিনিধি | ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৪:৫০

‘নদীর অধিকার- নদীতে অধিকার, নদী ও পানি অধিকার প্রতিষ্ঠায় চাই ঐক্য’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রতি বছরের মতো এবারও বর্ণাঢ্য র্যালি, আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে এশিয়ার প্রথম পানি জাদুঘরের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
দিবসটি উপলক্ষে শনিবার সকালে পানি জাদুঘর চত্বর থেকে একটি র্যালি বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পানি জাদুঘর চত্বরে এসে শেষ হয়।
পরে পানি জাদুঘর হলরুমে ‘নদী ও পানি সম্পদ রক্ষায় নাগরিক উদ্যোগ’ শিরোনামে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পানি জাদুঘর পরিচালনা পর্ষদ সদস্য জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন আভাসের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মনিরুল ইসলাম, পানি জাদুঘরের ফেলো লিপি মিত্র, তৃণমূল নারী নেত্রী লাইলি বেগম প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, নদীকে রক্ষা এবং নদীর স্বাভাবিকতা বজায় রাখতে সামাজিক আন্দোলন করতে হবে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং মানুষের জীবন-জীবিকার জন্য নদী রক্ষার বিকল্প নেই।
এসময় বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধানের সুপারিশমালা তুলে ধরা হয়।
নদী ও পানিসম্পদ রক্ষায় সরকার ও নীতিনির্ধারকদের আরো উদ্যোগী করা, মানুষকে সচেতন করা এবং বাস্তবতাকে দৃশ্যমান করার মাধ্যমে নদী ও পানি সম্পদ রক্ষার আন্দোলনকে আরো শক্তিশালী করতে এশিয়ায় প্রথমবারের মতো প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে- পানি জাদুঘর।
আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা একশনএইড বাংলাদেশ’র আর্থিক সহায়তায় এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আভাসের সহযোগিতায় পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় (পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের পাশে) পাখিমারায় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে এ পানি জাদুঘর।
নির্দিষ্ট দর্শনার্থী ফি’র বিনিময়ে দর্শনার্থীদের পরিদর্শনের জন্য স্থানীয় তৃণমূল সংগঠন উপকূলীয় জনকল্যাণ সংস্থার মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে পানি জাদুঘরের কার্যক্রম।
আভাসের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মনিরুল ইসলাম বলেন, পানি সম্পদ ও তার ব্যবহার সম্পর্কে সকল পর্যায়ের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। প্রাকৃতিক সম্পদ ও সাধারণ মানুষের অধিকার রক্ষায় অধিক মনোযোগ ধর্ষণসহ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও দারিদ্র্য বিমোচনে সহায়ক করতে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে পানি জাদুঘর।
তিনি বলেন, এখানে দেশি এবং আন্তর্জাতিক প্রায় শতাধিক নদীর পানি সংরক্ষিত রয়েছে। প্রায় হারাতে বসা এবং হারিয়ে যাওয়া নদীকেন্দ্রিক জীবন-জীবিকার নানা উপকরণ সংরক্ষিত আছে। আন্তর্জাতিক অভিন্ন অনেক নদীর সুষম বণ্টনের নানা দিক তুলে ধরে রয়েছে।