চিকিৎসারত আসামির ওপর যুবলীগের হামলা, পুলিশসহ আহত ১০
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি | ২ জানুয়ারি, ২০১৯ ২২:২২
ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ মোটর সাইকেল জব্দ করছে।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসারত আসামির ওপর পুলিশের সামনে যুবলীগ হামলা চালাতে গেলে পুলিশ-যুবলীগ সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে রণক্ষেত্রে রূপ নেয় সদর হাসপাতাল এলাকা।
সংঘর্ষে দুই এসআই, যুবলীগ জেলা সভাপতিসহ উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ উপস্থিত হয়ে ঘটনাস্থল থেকে যুবলীগ নেতাসহ ছয়জনকে আটক করে। জব্দ করা হয় ১০ টি মোটর সাইকেল।
বুধবার সকাল ১১ টার এই সংঘর্ষ ও আটকের ঘটনায় হাসপাতালসহ লক্ষ্মীপুর শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগ সভাপতি সালাউদ্দিন টিপু জানান, সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের আঠিয়াতলী গ্রামের যুবক দেলোয়ার হোসেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকে হত্যা চেষ্টা মামলায় মঙ্গলবার কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে এলাকায় ফিরে আসে। বুধবার সকালে আক্রোশের বশবর্তী হয়ে দেলোয়ার ধারালো ছুরি নিয়ে আব্দুর রহমানকে আক্রমণ করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আওয়ামী লীগকর্মী জানান, দেলোয়ারের বিরুদ্ধে নির্বাচনের ১০-১২ দিন আগে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ তুলে মামলা করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান। গত মঙ্গলবার জামিনে ছাড়া পায় দেলোয়ার। মামলার কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে বুধবার সকাল এগারটার দিকে ছুরি নিয়ে আব্দুর রহমানের উপর হামলা করে দেলোয়ার। এতে আব্দুর রহমান আহত হয়। আহত আব্দুর রহমানের চিৎকার শুনে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা ছুটে আসে। তারা দেলোয়ারকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
সূত্রটি জানায়, ছুরিকাঘাতে আহত আব্দুর রহমান ও গণপিটুনির শিকার দেলোয়ারকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে শহরের যুবলীগ নেতা-কর্মীরা দুপুর বারটার দিকে হাসপাতালে গিয়ে পুলিশের সামনেই দেলোয়ারের উপর আবার হামলা চালায়। পুলিশ বাধা দিতে গেলে তারা পুলিশকেও আক্রমণ করে। এতে পুলিশের সঙ্গে যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ বেধে যায়। এসময় খবর সংগ্রহ করতে থাকা স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিক মীর ফরহান হোসেন সুমন সংঘর্ষের মাঝে পড়ে আহত হন। আরো আহত হন পুলিশের এস আই আব্দুল আলীম, এ এস আই গিয়াস উদ্দিন, পুলিশ সদস্য নয়ন, মেহেদী, জেলা যুবলীগ সভাপতি সালাহ উদ্দিন টিপু, সদর উপজেলা যুবলীগ নেতা ও জেলা পরিষদ সদস্য মাহবুবুর রহমানসহ ১০ জন। এসময় ১০ টি মোটরসাইকেল জব্দ ও ঘটনাস্থল থেকে যুবলীগ নেতা মাহবুবুর রহমান, ছাত্রলীগ নেতা আশেক, রোকন, সাইমুন, রনিসহ ছয় জনকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ সুপার আ স ম মাহাতাব উদ্দিন দেশ রূপান্তরকে বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একজনের ওপর হামলার চেষ্টা করে একটি গ্রুপ। এসময় বাধা দিলে তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ এলোপাথাড়ি লাঠি চার্জ করে কয়েকজনকে আটক করে। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি | ২ জানুয়ারি, ২০১৯ ২২:২২

লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসারত আসামির ওপর পুলিশের সামনে যুবলীগ হামলা চালাতে গেলে পুলিশ-যুবলীগ সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে রণক্ষেত্রে রূপ নেয় সদর হাসপাতাল এলাকা।
সংঘর্ষে দুই এসআই, যুবলীগ জেলা সভাপতিসহ উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ উপস্থিত হয়ে ঘটনাস্থল থেকে যুবলীগ নেতাসহ ছয়জনকে আটক করে। জব্দ করা হয় ১০ টি মোটর সাইকেল।
বুধবার সকাল ১১ টার এই সংঘর্ষ ও আটকের ঘটনায় হাসপাতালসহ লক্ষ্মীপুর শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগ সভাপতি সালাউদ্দিন টিপু জানান, সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের আঠিয়াতলী গ্রামের যুবক দেলোয়ার হোসেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকে হত্যা চেষ্টা মামলায় মঙ্গলবার কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে এলাকায় ফিরে আসে। বুধবার সকালে আক্রোশের বশবর্তী হয়ে দেলোয়ার ধারালো ছুরি নিয়ে আব্দুর রহমানকে আক্রমণ করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আওয়ামী লীগকর্মী জানান, দেলোয়ারের বিরুদ্ধে নির্বাচনের ১০-১২ দিন আগে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ তুলে মামলা করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান। গত মঙ্গলবার জামিনে ছাড়া পায় দেলোয়ার। মামলার কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে বুধবার সকাল এগারটার দিকে ছুরি নিয়ে আব্দুর রহমানের উপর হামলা করে দেলোয়ার। এতে আব্দুর রহমান আহত হয়। আহত আব্দুর রহমানের চিৎকার শুনে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা ছুটে আসে। তারা দেলোয়ারকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
সূত্রটি জানায়, ছুরিকাঘাতে আহত আব্দুর রহমান ও গণপিটুনির শিকার দেলোয়ারকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে শহরের যুবলীগ নেতা-কর্মীরা দুপুর বারটার দিকে হাসপাতালে গিয়ে পুলিশের সামনেই দেলোয়ারের উপর আবার হামলা চালায়। পুলিশ বাধা দিতে গেলে তারা পুলিশকেও আক্রমণ করে। এতে পুলিশের সঙ্গে যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ বেধে যায়। এসময় খবর সংগ্রহ করতে থাকা স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিক মীর ফরহান হোসেন সুমন সংঘর্ষের মাঝে পড়ে আহত হন। আরো আহত হন পুলিশের এস আই আব্দুল আলীম, এ এস আই গিয়াস উদ্দিন, পুলিশ সদস্য নয়ন, মেহেদী, জেলা যুবলীগ সভাপতি সালাহ উদ্দিন টিপু, সদর উপজেলা যুবলীগ নেতা ও জেলা পরিষদ সদস্য মাহবুবুর রহমানসহ ১০ জন। এসময় ১০ টি মোটরসাইকেল জব্দ ও ঘটনাস্থল থেকে যুবলীগ নেতা মাহবুবুর রহমান, ছাত্রলীগ নেতা আশেক, রোকন, সাইমুন, রনিসহ ছয় জনকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ সুপার আ স ম মাহাতাব উদ্দিন দেশ রূপান্তরকে বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একজনের ওপর হামলার চেষ্টা করে একটি গ্রুপ। এসময় বাধা দিলে তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ এলোপাথাড়ি লাঠি চার্জ করে কয়েকজনকে আটক করে। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।