ভোলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ২ জন কিশোরী ধর্ষণের আসামি
হোসাইন সাদী, ভোলা | ১৪ আগস্ট, ২০১৯ ১৩:৪৩
ভোলার রাজাপুর ইউনিয়নে মেঘনা তীরে পুলিশ ও জলদস্যু দুই গ্রুপের ত্রিমুখী গোলাগুলিতে নিহত দুইজনই কিশোরী ধর্ষণ মামলার আসামি। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ওই ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড দক্ষিণ রাজাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, রাতে গোলাগুলির শব্দ শুনে এলাকাবাসী খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এসময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে দস্যুরা। পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে দস্যু দলের দুইজন ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। অপর একটি দস্যু দল ট্রলার নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে লাশ উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ। এদিকে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় ভোলা সদর হাসপাতাল মর্গে ওই কিশোরীর বাবা ধর্ষণে অভিযুক্ত আল আমিন (২৫) ও মঞ্জুর আলমের (৩০) লাশ শনাক্ত করেন।
ভোলা জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গভীর রাতে মেঘনা নদীর জলসীমা দখল ও ভাগাভাগি নিয়ে জলদস্যুদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ বাধে।
পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে দস্যুরা পুলিশের উপর গুলি চালায় জবাবে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এসময় ত্রিমুখী বন্দুকযুদ্ধে ২ দস্যু নিহত হয়েছেন।
নিহত দুই দস্যু ধর্ষণ মামলার আসামি। ঘটনাস্থল থেকে ১টি বন্দুক, ২টি রাম দা, ১ রাউন্ড তাজা গুলি ও একটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, গত বরিবার দিবাগত রাতে (ঈদের আগের রাতে) ভোলার চরস্যামাইয়া ইউনিয়নের চর শিফলী গ্রামে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয় ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে কিশোরীবে হাত পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
কিশোরীর পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, ঈদ উপলক্ষে হাতে মেহেদি দিতে যাওয়ার পথে ওই ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে আল আমিন ও তার সহযোগী মঞ্জুর আলম হাত পা ও মুখে কাপড় বেঁধে ধর্ষণ করে।
শেয়ার করুন
হোসাইন সাদী, ভোলা | ১৪ আগস্ট, ২০১৯ ১৩:৪৩

ভোলার রাজাপুর ইউনিয়নে মেঘনা তীরে পুলিশ ও জলদস্যু দুই গ্রুপের ত্রিমুখী গোলাগুলিতে নিহত দুইজনই কিশোরী ধর্ষণ মামলার আসামি। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ওই ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড দক্ষিণ রাজাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, রাতে গোলাগুলির শব্দ শুনে এলাকাবাসী খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এসময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে দস্যুরা। পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে দস্যু দলের দুইজন ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। অপর একটি দস্যু দল ট্রলার নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে লাশ উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ। এদিকে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় ভোলা সদর হাসপাতাল মর্গে ওই কিশোরীর বাবা ধর্ষণে অভিযুক্ত আল আমিন (২৫) ও মঞ্জুর আলমের (৩০) লাশ শনাক্ত করেন।
ভোলা জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গভীর রাতে মেঘনা নদীর জলসীমা দখল ও ভাগাভাগি নিয়ে জলদস্যুদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ বাধে।
পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে দস্যুরা পুলিশের উপর গুলি চালায় জবাবে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এসময় ত্রিমুখী বন্দুকযুদ্ধে ২ দস্যু নিহত হয়েছেন।
নিহত দুই দস্যু ধর্ষণ মামলার আসামি। ঘটনাস্থল থেকে ১টি বন্দুক, ২টি রাম দা, ১ রাউন্ড তাজা গুলি ও একটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, গত বরিবার দিবাগত রাতে (ঈদের আগের রাতে) ভোলার চরস্যামাইয়া ইউনিয়নের চর শিফলী গ্রামে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয় ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে কিশোরীবে হাত পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
কিশোরীর পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, ঈদ উপলক্ষে হাতে মেহেদি দিতে যাওয়ার পথে ওই ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে আল আমিন ও তার সহযোগী মঞ্জুর আলম হাত পা ও মুখে কাপড় বেঁধে ধর্ষণ করে।