পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু
নাটোর প্রতিনিধি | ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১৮:৪২
নাটোরের সিংড়ায় এক পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ফারজানার (২২) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। শ্বশুর বাড়ির লোকজন বলেছে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে আর বাবার বাড়ির লোকজনের দাবি পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে উপজেলার সুকাশ ইউনিয়নের নওদাপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। নিহত ফারজানা পুলিশ কনস্টেবল রায়হানের (২৫) স্ত্রী। রায়হান জয়পুরহাট সদর থানায় কর্মরত ও নওদাপাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, রায়হান-ফারজানা সম্পর্কে খালাতো ভাইবোন। নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাদম গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে ফারজানা। এক বছর আগে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়।
রায়হানের বাবা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গত ১০ দিন আগে এক সপ্তাহের ছুটিতে বাড়ি আসে রায়হান। তার কর্মস্থল জয়পুরহাটে বাসা ভাড়া নিয়ে সেখানে ফারজানাকে নিয়ে যাবে বলে জানায়। গতরাতে তারা ফোনে কথা বলতে থাকে। রাত সাড়ে ৮টার দিকে হঠাৎ ফারজানা ফোন বন্ধ করে দিলে তখন রায়হান তার বাবার মোবাইল ফোনে কল দিয়ে ফারজানার সাথে কথা বলতে চায়। ফোন নিয়ে গিয়ে দেখে ঘরের তীরের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলছে ফারজানা। দ্রুত তাকে নন্দীগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ভাই সুমন বলেন, রায়হান যৌতুক হিসেবে একটি মোটরসাইকেলের জন্য তার স্ত্রীকে বারবার চাপ দিচ্ছিল এবং মাঝে মাঝে পাশবিক নির্যাতন করত। ফারজানার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।
সহকারী পুলিশ সুপার (সিংড়া সার্কেল) জামিল আকতার বলেন, প্রথমে আমরা আত্মহত্যার খবর পাই, পরে প্রাথমিক তদন্তে হত্যাকাণ্ড বলে মনে হচ্ছে। তদন্ত চলছে, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত বলা যাবে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নাটোর প্রতিনিধি | ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১৮:৪২

নাটোরের সিংড়ায় এক পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ফারজানার (২২) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। শ্বশুর বাড়ির লোকজন বলেছে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে আর বাবার বাড়ির লোকজনের দাবি পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে উপজেলার সুকাশ ইউনিয়নের নওদাপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। নিহত ফারজানা পুলিশ কনস্টেবল রায়হানের (২৫) স্ত্রী। রায়হান জয়পুরহাট সদর থানায় কর্মরত ও নওদাপাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, রায়হান-ফারজানা সম্পর্কে খালাতো ভাইবোন। নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাদম গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে ফারজানা। এক বছর আগে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়।
রায়হানের বাবা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গত ১০ দিন আগে এক সপ্তাহের ছুটিতে বাড়ি আসে রায়হান। তার কর্মস্থল জয়পুরহাটে বাসা ভাড়া নিয়ে সেখানে ফারজানাকে নিয়ে যাবে বলে জানায়। গতরাতে তারা ফোনে কথা বলতে থাকে। রাত সাড়ে ৮টার দিকে হঠাৎ ফারজানা ফোন বন্ধ করে দিলে তখন রায়হান তার বাবার মোবাইল ফোনে কল দিয়ে ফারজানার সাথে কথা বলতে চায়। ফোন নিয়ে গিয়ে দেখে ঘরের তীরের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলছে ফারজানা। দ্রুত তাকে নন্দীগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ভাই সুমন বলেন, রায়হান যৌতুক হিসেবে একটি মোটরসাইকেলের জন্য তার স্ত্রীকে বারবার চাপ দিচ্ছিল এবং মাঝে মাঝে পাশবিক নির্যাতন করত। ফারজানার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।
সহকারী পুলিশ সুপার (সিংড়া সার্কেল) জামিল আকতার বলেন, প্রথমে আমরা আত্মহত্যার খবর পাই, পরে প্রাথমিক তদন্তে হত্যাকাণ্ড বলে মনে হচ্ছে। তদন্ত চলছে, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত বলা যাবে।