ভাই এটা নোয়াখালী
অনলাইন ডেস্ক | ২ নভেম্বর, ২০১৯ ১৬:৩৪
প্রায় ৭০ হাজার পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকের আদর আপ্যায়ণ করে নোয়াখালীর সুনাম এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।
শুক্রবার নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক সম্মান শ্রেণির ‘এ’ ও ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা হয়। আগেই ঘোষণা ছিল পরীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রায় ৬৮ হাজার ৭৬০ পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করবে নোয়াখালীবাসী।
প্রথম দিন প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এই আতিথেয়তায় সন্তোষ প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা।
সিলেট থেকে পরীক্ষা দিতে আসা রিজভী তার অভিজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছি। কিন্তু এমন আতিথেয়তা কোথাও দেখিনি। পরীক্ষা দিতে গিয়ে খাবার পাওয়াটা কষ্টসাধ্য, পেলেও চড়া দামে কিনতে হয়। নোবিপ্রবিতে পরীক্ষা দিতে এসে অভিজ্ঞতা ভিন্ন। ক্যাম্পাসে বিনামূল্যে দুপুরের খাবার পাওয়াটা সত্যিই অবিশ্বাস্য।’
শুধু তাই নয়, থাকা এবং যাতায়াতেরও ব্যবস্থা ছিল পরীক্ষার্থী, অভিভাবকদের জন্য। পরীক্ষার্থীদের ব্যাগ মোবাইল সংরক্ষণের ব্যবস্থাও ছিল বিনামূল্যে। যা অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় দেখা যায়নি।
এ নিয়ে একটি স্ট্যাটাস ভাইরাল হয় ফেসবুকে। এর সঙ্গে যুক্ত ছবিতে দেখা যায় অনেক ব্যাগ ও মোবাইল।
ওই স্ট্যাটাসটি যুক্ত করে একজন ফেসবুকে লিখেছেন-
'দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে যাওয়া শিক্ষার্থীদের মোবাইল ব্যাগ রেখে হাজার হাজার টাকা ব্যবসা করতে দেখেছে শিক্ষার্থীরা। কিন্তু আজ আমরা হাজার হাজার শিক্ষার্থীর মোবাইল ব্যাগ রেখেছি বিনা মূল্যে। অনেকে জিজ্ঞেস করলো ভাই কত লাগবে? তার মুখের দিকে তাকিয়ে বললাম, ভাই, এটা নোয়াখালী। ভাইটা লজ্জা পেয়ে গেল।
জ্বি আমরাই নোয়াখালীবাসি। দিন শেষে আমাদের ট্রল করুন। আমরা হাসি মুখে বলবো ধন্যবাদ।
পোস্টটি নোয়াখালীর কোনো এক ভাই দিয়েছেন।
এই আমরা অনেকেই হুজুগে একটি এলাকা বা একটি জেলাকে নিয়ে ট্রল করি, কেন করি? কারণ হয়তো কোনো একজন ব্যক্তি অপরাধ করছে ওই একজনের জন্য পুরো জনপদকে গালি দিচ্ছি বা ট্রল করতেছি! আসলে জনপদের সবাই খারাপ হয়না দুই একজনের দায় পুরো জনপদের না। সুতরাং হুজগে ট্রল না করি।
নোয়াখালী বাসী ইতিমধ্যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে'।
শেয়ার করুন
অনলাইন ডেস্ক | ২ নভেম্বর, ২০১৯ ১৬:৩৪

প্রায় ৭০ হাজার পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকের আদর আপ্যায়ণ করে নোয়াখালীর সুনাম এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।
শুক্রবার নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক সম্মান শ্রেণির ‘এ’ ও ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা হয়। আগেই ঘোষণা ছিল পরীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রায় ৬৮ হাজার ৭৬০ পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করবে নোয়াখালীবাসী।
প্রথম দিন প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এই আতিথেয়তায় সন্তোষ প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা।
সিলেট থেকে পরীক্ষা দিতে আসা রিজভী তার অভিজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছি। কিন্তু এমন আতিথেয়তা কোথাও দেখিনি। পরীক্ষা দিতে গিয়ে খাবার পাওয়াটা কষ্টসাধ্য, পেলেও চড়া দামে কিনতে হয়। নোবিপ্রবিতে পরীক্ষা দিতে এসে অভিজ্ঞতা ভিন্ন। ক্যাম্পাসে বিনামূল্যে দুপুরের খাবার পাওয়াটা সত্যিই অবিশ্বাস্য।’
শুধু তাই নয়, থাকা এবং যাতায়াতেরও ব্যবস্থা ছিল পরীক্ষার্থী, অভিভাবকদের জন্য। পরীক্ষার্থীদের ব্যাগ মোবাইল সংরক্ষণের ব্যবস্থাও ছিল বিনামূল্যে। যা অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় দেখা যায়নি।
এ নিয়ে একটি স্ট্যাটাস ভাইরাল হয় ফেসবুকে। এর সঙ্গে যুক্ত ছবিতে দেখা যায় অনেক ব্যাগ ও মোবাইল।
ওই স্ট্যাটাসটি যুক্ত করে একজন ফেসবুকে লিখেছেন-
'দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে যাওয়া শিক্ষার্থীদের মোবাইল ব্যাগ রেখে হাজার হাজার টাকা ব্যবসা করতে দেখেছে শিক্ষার্থীরা। কিন্তু আজ আমরা হাজার হাজার শিক্ষার্থীর মোবাইল ব্যাগ রেখেছি বিনা মূল্যে। অনেকে জিজ্ঞেস করলো ভাই কত লাগবে? তার মুখের দিকে তাকিয়ে বললাম, ভাই, এটা নোয়াখালী। ভাইটা লজ্জা পেয়ে গেল।
জ্বি আমরাই নোয়াখালীবাসি। দিন শেষে আমাদের ট্রল করুন। আমরা হাসি মুখে বলবো ধন্যবাদ।
পোস্টটি নোয়াখালীর কোনো এক ভাই দিয়েছেন।
এই আমরা অনেকেই হুজুগে একটি এলাকা বা একটি জেলাকে নিয়ে ট্রল করি, কেন করি? কারণ হয়তো কোনো একজন ব্যক্তি অপরাধ করছে ওই একজনের জন্য পুরো জনপদকে গালি দিচ্ছি বা ট্রল করতেছি! আসলে জনপদের সবাই খারাপ হয়না দুই একজনের দায় পুরো জনপদের না। সুতরাং হুজগে ট্রল না করি।
নোয়াখালী বাসী ইতিমধ্যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে'।