সাতছড়ি উদ্যানে কলেজ ছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ: প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি | ১০ জানুয়ারি, ২০২০ ২০:৪৮
চুনারঘাটের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে কলেজ ছাত্রীকে দল বেঁধে ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি শামীম আহমেদ মামুনকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চুনারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাজমুল হক। মামুন হবিগঞ্জ সদর উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের বাতাসর গ্রামের মকসুদ আলীর পুত্র।
মামুন ছাড়াও মামলার অন্য ৪ আসামি হলেন- হবিগঞ্জ সদর উপজেলার হাতির থান গ্রামের মৃত রমিজ আলীর পুত্র অটোরিকশা চালক আক্কাছ আলী (২০), বানিয়াচং উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হান্নানের পুত্র ফজলুর রহমান (২৪), নবীগঞ্জ উপজেলার কায়স্থ গ্রামের মৃত ময়না মিয়ার পুত্র আলী হোসেন (২৪) ও চুনারঘাট উপজেলার বনগাঁও গ্রামের আব্দুল লতিফের পুত্র জুনেদ লতিফ (২৭)।
ওসি জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে মামুনকে তার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান চলছে।
এর আগে বুধবার ওই কলেজছাত্রী বাদী হয়ে হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-২ এ পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, নির্যাতনের শিকার ওই কলেজছাত্রীর সঙ্গে মামলার প্রধান আসামি মামুনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ৭ জানুয়ারি দুপুরে ওই কলেজছাত্রীকে মামুন সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে বেড়াতে নিয়ে যায়। সেখানে মামুন প্রথমে তাকে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে মামুনের সহযোগী ফজলুর রহমান, আলী হোসেন ও জুনেদ লতিফও তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় অটোরিকশা চালক আক্কাছ তাদের পাহারা দেয়।
মামলায় আরও বলা হয়, দল বেঁধে ধর্ষণের পর অসুস্থ অবস্থায় ওই ছাত্রীকে ফেলে রেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে আশপাশের লোকজন এসে উদ্ধার করে তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি | ১০ জানুয়ারি, ২০২০ ২০:৪৮

চুনারঘাটের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে কলেজ ছাত্রীকে দল বেঁধে ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি শামীম আহমেদ মামুনকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চুনারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাজমুল হক। মামুন হবিগঞ্জ সদর উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের বাতাসর গ্রামের মকসুদ আলীর পুত্র।
মামুন ছাড়াও মামলার অন্য ৪ আসামি হলেন- হবিগঞ্জ সদর উপজেলার হাতির থান গ্রামের মৃত রমিজ আলীর পুত্র অটোরিকশা চালক আক্কাছ আলী (২০), বানিয়াচং উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হান্নানের পুত্র ফজলুর রহমান (২৪), নবীগঞ্জ উপজেলার কায়স্থ গ্রামের মৃত ময়না মিয়ার পুত্র আলী হোসেন (২৪) ও চুনারঘাট উপজেলার বনগাঁও গ্রামের আব্দুল লতিফের পুত্র জুনেদ লতিফ (২৭)।
ওসি জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে মামুনকে তার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান চলছে।
এর আগে বুধবার ওই কলেজছাত্রী বাদী হয়ে হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-২ এ পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, নির্যাতনের শিকার ওই কলেজছাত্রীর সঙ্গে মামলার প্রধান আসামি মামুনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ৭ জানুয়ারি দুপুরে ওই কলেজছাত্রীকে মামুন সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে বেড়াতে নিয়ে যায়। সেখানে মামুন প্রথমে তাকে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে মামুনের সহযোগী ফজলুর রহমান, আলী হোসেন ও জুনেদ লতিফও তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় অটোরিকশা চালক আক্কাছ তাদের পাহারা দেয়।
মামলায় আরও বলা হয়, দল বেঁধে ধর্ষণের পর অসুস্থ অবস্থায় ওই ছাত্রীকে ফেলে রেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে আশপাশের লোকজন এসে উদ্ধার করে তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেন।