চাঁদার টাকা না পেয়ে মাদ্রাসায় হামলা, ভাঙচুর
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি | ২৩ নভেম্বর, ২০২০ ১৯:৪৪
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে দাবিকৃত চাঁদার টাকা না পেয়ে স্থানীয় চাঁদাবাজরা আল-জামি আহ আস-সালাফিয়্যাহ নামে একটি কওমী মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ সময় ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এক ছাত্রের অভিভাবককে মারধর করা হয়। এ ঘটনায় সবার মাঝে চরম আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
সোমবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের বীর হাঁটার এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির সহকারী অধ্যক্ষ ইমরান সরকার জানান, ২০১৩ সালে কওমী মাদ্রাসা এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেন আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানে প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ পর্যন্ত প্রায় এক হাজার ছাত্র পড়ালেখা করছেন। এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে ছাত্রাবাসও রয়েছে। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির জন্য জমি ক্রয় করা হচ্ছে। গত কয়েক দিন ধরেই বীর হাটাব এলাকার ওমর আলীর ছেলে চাঁদাবাজ আবু তালেব প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষের কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে আসছে। কোন প্রকার চাঁদা দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত রোববার রাতে সহকারী অধ্যক্ষ ইমরান সরকারকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। পরে সোমবার সকাল ৯ টার দিকে আবু তালেবের নেতৃত্বে প্রায় ১৫ থেকে ২০ জনের একদল চাঁদাবাজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অফিস কক্ষে প্রবেশ করে অধ্যক্ষ আব্দুল আলীম মাদানি ও ভাইস প্রিন্সিপাল ইমরান সরকারকে ফের হুমকি দেয়। পরে টেবিলের গ্লাস ও চেয়ার ভাঙচুর করে। একপর্যায়ে অফিস কক্ষে থাকা নগদ ৫ লাখ টাকা লুটে নেয় বলে দাবি করে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, এ ধরনের ঘটনা শুনেছি। ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি | ২৩ নভেম্বর, ২০২০ ১৯:৪৪

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে দাবিকৃত চাঁদার টাকা না পেয়ে স্থানীয় চাঁদাবাজরা আল-জামি আহ আস-সালাফিয়্যাহ নামে একটি কওমী মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ সময় ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এক ছাত্রের অভিভাবককে মারধর করা হয়। এ ঘটনায় সবার মাঝে চরম আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
সোমবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের বীর হাঁটার এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির সহকারী অধ্যক্ষ ইমরান সরকার জানান, ২০১৩ সালে কওমী মাদ্রাসা এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেন আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানে প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ পর্যন্ত প্রায় এক হাজার ছাত্র পড়ালেখা করছেন। এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে ছাত্রাবাসও রয়েছে। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির জন্য জমি ক্রয় করা হচ্ছে। গত কয়েক দিন ধরেই বীর হাটাব এলাকার ওমর আলীর ছেলে চাঁদাবাজ আবু তালেব প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষের কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে আসছে। কোন প্রকার চাঁদা দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত রোববার রাতে সহকারী অধ্যক্ষ ইমরান সরকারকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। পরে সোমবার সকাল ৯ টার দিকে আবু তালেবের নেতৃত্বে প্রায় ১৫ থেকে ২০ জনের একদল চাঁদাবাজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অফিস কক্ষে প্রবেশ করে অধ্যক্ষ আব্দুল আলীম মাদানি ও ভাইস প্রিন্সিপাল ইমরান সরকারকে ফের হুমকি দেয়। পরে টেবিলের গ্লাস ও চেয়ার ভাঙচুর করে। একপর্যায়ে অফিস কক্ষে থাকা নগদ ৫ লাখ টাকা লুটে নেয় বলে দাবি করে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, এ ধরনের ঘটনা শুনেছি। ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।