সিলেটে ফাঁড়িতে রায়হানের মৃত্যু: আরও দুই পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট | ২৫ নভেম্বর, ২০২০ ২১:২৯
সিলেটের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হান আহমেদের (৩৪) মৃত্যুর ঘটনায় কর্তব্য পালনে অবহেলার অভিযোগে পুলিশের আরও দুজন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বরখাস্ত হওয়া দুজন হলেন কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সৌমেন মৈত্র ও উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আবদুল বাতেন। পুলিশের সদর দপ্তরের নির্দেশে বুধবার তাদের বরখাস্ত করা হয়।
রায়হান হত্যার সময় সৌমেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) দায়িত্বে ছিলেন। আর এসআই আবদুল বাতেন ছিলেন হত্যা মামলাটির প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও)। তাঁদের নিয়ে রায়হান হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত ছয়জনকে বরখাস্ত করা হলো।
নগর পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রায়হান হত্যার সময় কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ সেলিম মিঞা ছুটিতে ছিলেন। তখন ওসির দায়িত্বে ছিলেন সৌমেন মৈত্র। সৌমেন ফাঁড়িতে নির্যাতনের ঘটনাটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাননি। আর আইও আবদুল বাতেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অনুপস্থিতিতে লাশের সুরতহাল ও প্রথম ময়নাতদন্ত করেছেন। পুলিশ সদর দপ্তরের প্রতিনিধিরা তদন্ত করে এর সত্যতা পান। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে ওই দুজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
গত ১০ অক্টোবর সিলেট নগরের আখালিয়া এলাকার রায়হানকে বন্দরবাজার ফাঁড়িতে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। পরদিন তিনি মারা যান। এ ঘটনায় তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তার কোতোয়ালি থানায় হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলা করেন।
মহানগর পুলিশের একটি কমিটি তদন্ত করে আকবরকে নির্যাতনের সত্যতা পায়। এর ভিত্তিতে ১২ অক্টোবর ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ইনচার্জ) উপপরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়া, ফাঁড়ির দ্বিতীয় কর্মকর্তা এসআই হাসান উদ্দিন, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস ও হারুন অর রশিদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এরপর মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) স্থানান্তর হয়।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট | ২৫ নভেম্বর, ২০২০ ২১:২৯
সিলেটের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হান আহমেদের (৩৪) মৃত্যুর ঘটনায় কর্তব্য পালনে অবহেলার অভিযোগে পুলিশের আরও দুজন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বরখাস্ত হওয়া দুজন হলেন কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সৌমেন মৈত্র ও উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আবদুল বাতেন। পুলিশের সদর দপ্তরের নির্দেশে বুধবার তাদের বরখাস্ত করা হয়।
রায়হান হত্যার সময় সৌমেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) দায়িত্বে ছিলেন। আর এসআই আবদুল বাতেন ছিলেন হত্যা মামলাটির প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও)। তাঁদের নিয়ে রায়হান হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত ছয়জনকে বরখাস্ত করা হলো।
নগর পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রায়হান হত্যার সময় কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ সেলিম মিঞা ছুটিতে ছিলেন। তখন ওসির দায়িত্বে ছিলেন সৌমেন মৈত্র। সৌমেন ফাঁড়িতে নির্যাতনের ঘটনাটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাননি। আর আইও আবদুল বাতেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অনুপস্থিতিতে লাশের সুরতহাল ও প্রথম ময়নাতদন্ত করেছেন। পুলিশ সদর দপ্তরের প্রতিনিধিরা তদন্ত করে এর সত্যতা পান। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে ওই দুজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
গত ১০ অক্টোবর সিলেট নগরের আখালিয়া এলাকার রায়হানকে বন্দরবাজার ফাঁড়িতে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। পরদিন তিনি মারা যান। এ ঘটনায় তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তার কোতোয়ালি থানায় হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলা করেন।
মহানগর পুলিশের একটি কমিটি তদন্ত করে আকবরকে নির্যাতনের সত্যতা পায়। এর ভিত্তিতে ১২ অক্টোবর ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ইনচার্জ) উপপরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়া, ফাঁড়ির দ্বিতীয় কর্মকর্তা এসআই হাসান উদ্দিন, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস ও হারুন অর রশিদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এরপর মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) স্থানান্তর হয়।