বাগেরহাটে সিপিবি নেতা মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিমের মৃত্যু
বাগেরহাট প্রতিনিধি | ২৬ নভেম্বর, ২০২০ ১২:৪৫
কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি’র) বাগেরহাট জেলা শাখার সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আইনজীবী এস এম রেজাউল করিম (৬৪) মারা গেছেন।
বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় বাগেরহাট শহরের সরুই এলাকার ভাড়া বাড়িতে রেজাউল করিমের মৃত্যু হয়।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগসহ নানা ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে শয্যাশায়ী ছিলেন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে, দুই ছেলেসহ অসংখ্য শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।
তার মৃত্যুতে সিপিবি, ছাত্র ইউনিয়ন, যুব ইউনিয়ন, ওয়ার্কার্স পার্টি, আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় নতুন জজ কোর্টের জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে শহরের পুরাতন কোর্ট চত্বরের সিপিবি কার্যালয়ের সামনে কমরেড রেজাউলের মরদেহ রাখা হয়।
বাগেরহাট জেলা সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক ফররুখ হাসান জুয়েল বলেন, কমরেড রেজাউল করিম দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগসহ নানা ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে শয্যাশায়ী ছিলেন। বুধবার সন্ধ্যায় তিনি শহরের ভাড়াবাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন। অসাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে ছিলেন আপসহীন। মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে তিনি সব সময় ছিলেন সাহসী। সিপিবি একজন সাহসী যোদ্ধাকে হারাল। তার মৃত্যুতে দল গভীরভাবে শোকাহত।
সেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বাগেরহাট শহরের স্বাধীনতা উদ্যানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নেয়া হয়। সেখানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
১৯৫৬ সালের ১ জানুয়ারি বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার আড়ুয়াবর্ণি গ্রামের সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন রেজাউল করিম।
ছাত্র অবস্থায় তিনি বাম ধারার রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ছাত্র অবস্থায় ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। ১৯৭২ সালে মাধ্যমিক, ১৯৭৪ সালে উচ্চ মাধ্যমিক, ১৯৭৯ সালে বিএ পাস করেন।
তিনি এলএলবি পাস করে আইন পেশায় যুক্ত হন। আইন পেশায় থাকলেও রাজনীতিতে তিনি ছিলেন নিবেদিত।
অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী রেজাউল করিম দীর্ঘদিন সিপিবি’র জেলা শাখার সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি তার পদ থেকে সরে দাঁড়ান। ২০০১ সালের ১ অক্টোবরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিপিবি’র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
বাগেরহাট প্রতিনিধি | ২৬ নভেম্বর, ২০২০ ১২:৪৫

কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি’র) বাগেরহাট জেলা শাখার সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আইনজীবী এস এম রেজাউল করিম (৬৪) মারা গেছেন।
বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় বাগেরহাট শহরের সরুই এলাকার ভাড়া বাড়িতে রেজাউল করিমের মৃত্যু হয়।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগসহ নানা ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে শয্যাশায়ী ছিলেন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে, দুই ছেলেসহ অসংখ্য শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।
তার মৃত্যুতে সিপিবি, ছাত্র ইউনিয়ন, যুব ইউনিয়ন, ওয়ার্কার্স পার্টি, আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় নতুন জজ কোর্টের জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে শহরের পুরাতন কোর্ট চত্বরের সিপিবি কার্যালয়ের সামনে কমরেড রেজাউলের মরদেহ রাখা হয়।
বাগেরহাট জেলা সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক ফররুখ হাসান জুয়েল বলেন, কমরেড রেজাউল করিম দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগসহ নানা ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে শয্যাশায়ী ছিলেন। বুধবার সন্ধ্যায় তিনি শহরের ভাড়াবাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন। অসাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে ছিলেন আপসহীন। মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে তিনি সব সময় ছিলেন সাহসী। সিপিবি একজন সাহসী যোদ্ধাকে হারাল। তার মৃত্যুতে দল গভীরভাবে শোকাহত।
সেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বাগেরহাট শহরের স্বাধীনতা উদ্যানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নেয়া হয়। সেখানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
১৯৫৬ সালের ১ জানুয়ারি বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার আড়ুয়াবর্ণি গ্রামের সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন রেজাউল করিম।
ছাত্র অবস্থায় তিনি বাম ধারার রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ছাত্র অবস্থায় ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। ১৯৭২ সালে মাধ্যমিক, ১৯৭৪ সালে উচ্চ মাধ্যমিক, ১৯৭৯ সালে বিএ পাস করেন।
তিনি এলএলবি পাস করে আইন পেশায় যুক্ত হন। আইন পেশায় থাকলেও রাজনীতিতে তিনি ছিলেন নিবেদিত।
অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী রেজাউল করিম দীর্ঘদিন সিপিবি’র জেলা শাখার সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি তার পদ থেকে সরে দাঁড়ান। ২০০১ সালের ১ অক্টোবরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিপিবি’র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।