নেশাগ্রস্ত বাবা টাকা না পেয়ে ২২ দিনের সন্তানকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

নির্মম এই ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকালে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার বারাইহাট এলাকার ভোলাপাড়া গ্রামে। নিহত শিশুর নাম সূর্য মহন্ত।

অভিযুক্ত সুভাষ চন্দ্র মহন্ত ফুলবাড়ী উপজেলার বারাইহাট এলাকার ভোলাপাড়া গ্রামের (২৮)  বাসিন্দা।

এ ঘটনায় তাকে আটক করেছে ফুলবাড়ী থানা-পুলিশ। আটক সুভাষ মহন্ত ওই গ্রামের সুনিল চন্দ্র মহন্তের ছেলে।

প্রতিবেশী ও থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সুভাষ মহন্তের সঙ্গে অনামিকার দুই বছর  আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। সুভাষ মহন্ত দীর্ঘদিন থেকে মাদকাসক্ত ছিলেন। তিনি মাঝেমধ্যেই নেশা করার জন্য পরিবারের সদস্যদের উপর নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে পারিবারিক অশান্তি লেগেই ছিল।

গত বুধবার সন্ধ্যা থেকে সুভাষ মহন্ত তার স্ত্রী অনামিকা মহন্তের সঙ্গে ঝগড়াঝাঁটি শুরু করার একপর্যায়ে তার স্ত্রী অনামিকা মহন্তকে মারধর করেন।

সুভাষ ও অনামিকার ঝগড়ার বিষয়টি এলাকাবাসী অনামিকার বাবার বাড়িতে খবর দিলে বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে দুই পরিবারের মধ্যে আলোচনায় বসে সমাধান করার কথা ছিল।

কিন্তু এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় সুভাষ মহন্তের বাড়ির দরজা বন্ধ ঘর থেকে চিৎকার শুনে এলাকাবাসী ছুটে আসেন। ঘরের চালার টিন খুলে ভেতরে প্রবেশ করে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই নবজাতকের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে এলাকাবাসী শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার করে এবং আহত অবস্থায় স্ত্রী অনামিকাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

সেসময় এলাকাবাসী সুভাষকে আটক করে থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে ফুলবাড়ী থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নবজাতকের লাশ উদ্ধার করে সুভাষ মহন্তকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাটি জানতে পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ওই নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার এবং সুভাষ চন্দ্র মহন্তকে আটক করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী থানায় একটি হত্যা এবং নারী ও শিশু দমন আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে। আসামি সুভাষ চন্দ্র মহন্তকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

নবজাতকের লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।