পার্বতীপুর রেলওয়ে পে অফিসের ৭৫১ কর্মকর্তা-কর্মচারীর পেনশন অনলাইনে
পার্বতীপর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি | ২৭ নভেম্বর, ২০২০ ১৫:১৯
দেশের প্রথম রেলওয়ে পশ্চিম জোনের প্রথম দিনাজপুরের পার্বতীপুর রেলওয়ে পে অফিসে পরিপূর্ণ ডিজিটাল পে অফিসে রূপান্তরিত করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে পার্বতীপুর পে অফিসের আওতাধীন ৭৫১ পেনশন ভোগীর গত সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের পেনশনের অর্থ অনলাইনে তাদের নিজ নিজ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে।
পার্বতীপুর ডিজিটাল পে অফিসকে মডেল ধরে পর্যায়ক্রমে পশ্চিম জোনের প্রতিটি ডিজিটাল পে অফিস হিসাবে রূপান্তরিত করা হবে। যাতে কেউ কোনোভাবে বেতন ও পেনশন বিতরণে অনিয়ম ও দুর্নীতি করতে না পারে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রেলওয়ে পশ্চিম জোনের পার্বতীপুর পে-অফিসে স্থানীয় সাংবাদিক ও পেনশন হোল্ডার কল্যাণ সমিতির নেতাদের নিয়ে এক ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় এ কথা জানিয়েছেন রেলওয়ের পশ্চিম জোনের অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান হিসাব কর্মকর্তা জামশেদ মিনহাজ রহমান।
গতকাল পার্বতীপুর রেলওয়ে পে-অফিসে স্থানীয় সাংবাদিক ও পেনশন হোল্ডার কল্যাণ সমিতির নেতাদের সঙ্গে আয়োজিত ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সংশ্লিষ্ট বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ বছরের আগস্ট মাসে পার্বতীপুর পে অফিসের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে বেতন ও পেনশন অর্থ বিতরণে অনিয়ম, দুর্নীতি ও উৎকোচ গ্রহণের নানা অভিযোগ ছিল। বিষয়টি রেলওয়ে পশ্চিম জোনের অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান হিসাব কর্মকর্তার নজরে আসে।
পরে এ ঘটনায় দ্রুত পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্তে পার্বতীপুর পে অফিসের তৎকালীন বিভাগীয় বেতন ব্যবস্থাপক মোস্তাফিজুর রহমান ও পার্বতীপুর রেলওয়ে পে অফিসের পে সহকারী কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে অবসরপ্রাপ্ত রেল কর্মকর্তা-কর্মচারীর নিকট হতে নিয়মিত উৎকোচ গ্রহণ ও নিয়ম লঙ্ঘন করে অর্থের বিনিময়ে মৃত পেনশন ভোগী ও তাদের মৃত উত্তরাধিকারীদের মাঝে পেনশনের অর্থ বিতরণের নামে অর্থ আত্মসাতের ঘটনার প্রমাণ মেলে।
এতে জড়িত দু’জনকে ওই সময় সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এ সময় পার্বতীপুরের বিভাগীয় বেতন ব্যবস্থাপক মোস্তাফিজুর রহমানের কাছ থেকে ২ লাখ ৮৭ হাজার ৪৪৬ ও পার্বতীপুর পে অফিসের পে সহকারী কামাল হোসেনের কাছ থেকে ২ লাখ ৫৭ হাজার ৩৮২ টাকাসহ আত্মসাত করা ৫ লাখ ৪৪ হাজার ৮২৮ টাকা উদ্ধার করা হয়। শাস্তি হিসেবে তাদের দুটি ইনক্রিমেন্ট বন্ধ ও সকল প্রকার কার্যক্রম থেকে তাদের বিরত রাখা হয়েছে।
এ ঘটনার পর থেকে পশ্চিম জোনের ২০ পে অফিসে শুরু করা হয় কঠোর শুদ্ধি অভিযান।
রেলওয়ের পশ্চিম জোনের অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান হিসাব কর্মকর্তা জামশেদ মিনহাজ রহমান বলেন, এ ঘটনার পর সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে কর্মসূচির সঙ্গে সংগতি রেখে ডিজিটাল পদ্ধতিতে বেতন ও পেনশন বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ইতিমধ্যে পার্বতীপুর পে অফিসে পরিপূর্ণ ডিজিটাল পে অফিসে রূপান্তরিত করা হয়েছে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
পার্বতীপর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি | ২৭ নভেম্বর, ২০২০ ১৫:১৯

দেশের প্রথম রেলওয়ে পশ্চিম জোনের প্রথম দিনাজপুরের পার্বতীপুর রেলওয়ে পে অফিসে পরিপূর্ণ ডিজিটাল পে অফিসে রূপান্তরিত করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে পার্বতীপুর পে অফিসের আওতাধীন ৭৫১ পেনশন ভোগীর গত সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের পেনশনের অর্থ অনলাইনে তাদের নিজ নিজ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে।
পার্বতীপুর ডিজিটাল পে অফিসকে মডেল ধরে পর্যায়ক্রমে পশ্চিম জোনের প্রতিটি ডিজিটাল পে অফিস হিসাবে রূপান্তরিত করা হবে। যাতে কেউ কোনোভাবে বেতন ও পেনশন বিতরণে অনিয়ম ও দুর্নীতি করতে না পারে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রেলওয়ে পশ্চিম জোনের পার্বতীপুর পে-অফিসে স্থানীয় সাংবাদিক ও পেনশন হোল্ডার কল্যাণ সমিতির নেতাদের নিয়ে এক ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় এ কথা জানিয়েছেন রেলওয়ের পশ্চিম জোনের অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান হিসাব কর্মকর্তা জামশেদ মিনহাজ রহমান।
গতকাল পার্বতীপুর রেলওয়ে পে-অফিসে স্থানীয় সাংবাদিক ও পেনশন হোল্ডার কল্যাণ সমিতির নেতাদের সঙ্গে আয়োজিত ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সংশ্লিষ্ট বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ বছরের আগস্ট মাসে পার্বতীপুর পে অফিসের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে বেতন ও পেনশন অর্থ বিতরণে অনিয়ম, দুর্নীতি ও উৎকোচ গ্রহণের নানা অভিযোগ ছিল। বিষয়টি রেলওয়ে পশ্চিম জোনের অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান হিসাব কর্মকর্তার নজরে আসে।
পরে এ ঘটনায় দ্রুত পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্তে পার্বতীপুর পে অফিসের তৎকালীন বিভাগীয় বেতন ব্যবস্থাপক মোস্তাফিজুর রহমান ও পার্বতীপুর রেলওয়ে পে অফিসের পে সহকারী কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে অবসরপ্রাপ্ত রেল কর্মকর্তা-কর্মচারীর নিকট হতে নিয়মিত উৎকোচ গ্রহণ ও নিয়ম লঙ্ঘন করে অর্থের বিনিময়ে মৃত পেনশন ভোগী ও তাদের মৃত উত্তরাধিকারীদের মাঝে পেনশনের অর্থ বিতরণের নামে অর্থ আত্মসাতের ঘটনার প্রমাণ মেলে।
এতে জড়িত দু’জনকে ওই সময় সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এ সময় পার্বতীপুরের বিভাগীয় বেতন ব্যবস্থাপক মোস্তাফিজুর রহমানের কাছ থেকে ২ লাখ ৮৭ হাজার ৪৪৬ ও পার্বতীপুর পে অফিসের পে সহকারী কামাল হোসেনের কাছ থেকে ২ লাখ ৫৭ হাজার ৩৮২ টাকাসহ আত্মসাত করা ৫ লাখ ৪৪ হাজার ৮২৮ টাকা উদ্ধার করা হয়। শাস্তি হিসেবে তাদের দুটি ইনক্রিমেন্ট বন্ধ ও সকল প্রকার কার্যক্রম থেকে তাদের বিরত রাখা হয়েছে।
এ ঘটনার পর থেকে পশ্চিম জোনের ২০ পে অফিসে শুরু করা হয় কঠোর শুদ্ধি অভিযান।
রেলওয়ের পশ্চিম জোনের অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান হিসাব কর্মকর্তা জামশেদ মিনহাজ রহমান বলেন, এ ঘটনার পর সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে কর্মসূচির সঙ্গে সংগতি রেখে ডিজিটাল পদ্ধতিতে বেতন ও পেনশন বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ইতিমধ্যে পার্বতীপুর পে অফিসে পরিপূর্ণ ডিজিটাল পে অফিসে রূপান্তরিত করা হয়েছে।