মির্জাপুরে ২২ পরিবারের ৪৫ গরু চুরি
মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি | ১৬ জানুয়ারি, ২০২১ ১৪:৫৪
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে গরু চুরি রোধে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী সংবাদ সম্মেলন করেছে। শনিবার সকালে মির্জাপুর প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে উপজেলার উয়ার্শী ইউনিয়নের উয়ার্শী, খৈলসিন্দুর, হালুয়াপাড়া, দেউলীপাড়া, উত্তর রোয়াইলের ভুক্তভোগী ২২ পরিবারের সদস্যসহ শতাধিক এলাকাবাসী এই সংবাদ সম্মেলন করে।
সংবাদ সম্মেলনে এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উয়ার্শী গ্রামের বাসিন্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শরীফুল ইসলাম খান মিনার।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, গত দুই বছরে উয়ার্শী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে ২২ পরিবারের ৪৫টি গরু চুরি হয়েছে। চোরের দল রাতের আঁধারে পিকআপ নিয়ে গৃহস্থের গরু নিয়ে যায়। এসব গরু চুরের উৎপাতে ভুক্তভোগী ওই ২২ পরিবারসহ অনেক পরিবার নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। গরু চুরি হওয়ায় অনেক পরিবার ব্যাংক ও এনজিওর ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।
ভুক্তভোগীরা প্রথমে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এবং পরে থানায় অভিযোগ দিয়েও চোরের উৎপাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
গরু চুরি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া না হলে গরু পালন বন্ধ করে দেওয়া হবে ভুক্তভোগীরা জানান।
উয়ার্শী এলাকায় গরু চুরি রোধে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে পাঁচটি দাবি উত্থাপন করা হয়।
এলাকার প্রবেশ পথে চেকপোস্ট, কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা চালু, স্থানীয় সরকারের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করা, ভুক্তভোগীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া এবং গরুর বিমা চালু করা।
উয়ার্শী গ্রামের বাবর খান বলেন, তিনি অগ্রণী ব্যাংক এবং প্রয়াস এনজিও থেকে ৭০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে গরু কিনেছিলেন। গরু চুরি হওয়ায় ঋণের দায়ে এখন নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন।
উত্তর রোয়াইল গ্রামের সমর শিকদার বলেন, তার ৩টি গরু চুরে যাওয়ায় সংসারে অভাব অনটন দেখা দিয়েছে। একই অভিযোগ করেন উয়ার্শী গ্রামের রেহেনা বেগম।
মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রিজাউল হক দিপু ওই এলাকায় আর কোনো গরু চুরি না হওয়ার নিশ্চয়তা দিয়ে বলেন, ওই ইউনিয়নে পুলিশের বিশেষ টহল ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা জোরদার করে তাদেরকে লাঠি, বাঁশি ও টর্চ লাইট সরবরাহ করা হবে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি | ১৬ জানুয়ারি, ২০২১ ১৪:৫৪

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে গরু চুরি রোধে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী সংবাদ সম্মেলন করেছে। শনিবার সকালে মির্জাপুর প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে উপজেলার উয়ার্শী ইউনিয়নের উয়ার্শী, খৈলসিন্দুর, হালুয়াপাড়া, দেউলীপাড়া, উত্তর রোয়াইলের ভুক্তভোগী ২২ পরিবারের সদস্যসহ শতাধিক এলাকাবাসী এই সংবাদ সম্মেলন করে।
সংবাদ সম্মেলনে এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উয়ার্শী গ্রামের বাসিন্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শরীফুল ইসলাম খান মিনার।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, গত দুই বছরে উয়ার্শী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে ২২ পরিবারের ৪৫টি গরু চুরি হয়েছে। চোরের দল রাতের আঁধারে পিকআপ নিয়ে গৃহস্থের গরু নিয়ে যায়। এসব গরু চুরের উৎপাতে ভুক্তভোগী ওই ২২ পরিবারসহ অনেক পরিবার নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। গরু চুরি হওয়ায় অনেক পরিবার ব্যাংক ও এনজিওর ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।
ভুক্তভোগীরা প্রথমে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এবং পরে থানায় অভিযোগ দিয়েও চোরের উৎপাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
গরু চুরি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া না হলে গরু পালন বন্ধ করে দেওয়া হবে ভুক্তভোগীরা জানান।
উয়ার্শী এলাকায় গরু চুরি রোধে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে পাঁচটি দাবি উত্থাপন করা হয়।
এলাকার প্রবেশ পথে চেকপোস্ট, কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা চালু, স্থানীয় সরকারের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করা, ভুক্তভোগীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া এবং গরুর বিমা চালু করা।
উয়ার্শী গ্রামের বাবর খান বলেন, তিনি অগ্রণী ব্যাংক এবং প্রয়াস এনজিও থেকে ৭০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে গরু কিনেছিলেন। গরু চুরি হওয়ায় ঋণের দায়ে এখন নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন।
উত্তর রোয়াইল গ্রামের সমর শিকদার বলেন, তার ৩টি গরু চুরে যাওয়ায় সংসারে অভাব অনটন দেখা দিয়েছে। একই অভিযোগ করেন উয়ার্শী গ্রামের রেহেনা বেগম।
মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রিজাউল হক দিপু ওই এলাকায় আর কোনো গরু চুরি না হওয়ার নিশ্চয়তা দিয়ে বলেন, ওই ইউনিয়নে পুলিশের বিশেষ টহল ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা জোরদার করে তাদেরকে লাঠি, বাঁশি ও টর্চ লাইট সরবরাহ করা হবে।