দুপুরেও রোদের দেখা নেই পঞ্চগড়ে
পঞ্চগড় প্রতিনিধি | ১৯ জানুয়ারি, ২০২১ ১১:৩১
হিমালয় কন্যা পঞ্চগড়ে মাঝে মাঝে তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। কোনো কোনো দিন আকাশ পরিষ্কার থকলে সকালেই মিষ্টি রোদের দেখা মিলছে। আবার কোনো কোনো দিন সকাল থেকেই ঘন কুয়াশায় আচ্ছাদিত থাকছে চারদিক।
মঙ্গলবার সকাল থেকে গোটা জেলায় ঘন কুয়াশায় ঢেকে ছিল চারদিক। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সকাল সাড়ে ১১টা) সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। রাস্তাঘাটে লোকজনের উপস্থিতি কম ছিল। যানবাহনগুলো হেডলাইট জালিয়ে চলাচল করছে।
মাঘের শুরুতে দুদিন শীতের দাপট ছিল সবচেয়ে বেশি। সারা দিন সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। হিমেল বাতাস ছিল। দিনে-রাতে শীতের দাপট ছিল সমান। কনকনে বাতাসে এলাকার মানুষ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। সে সময় এখানে তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সোমবার সকালেই সূর্যের মুখ দেখা গেছে। তবুও তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
সারা দিন সূর্যের উষ্ণতা ছিল। ফলে দিনের বেলা তেমন একটা শীত ছিল না। দিনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ২৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এবার মাঝে মাঝে দু-এক দিন শীতের তীব্রতা থাকলেও শীত মৌসুমের বেশির ভাগ সময় স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে।
এদিকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে শীত ও শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগী ভর্তির সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা বেশি দেখা যাচ্ছে। জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে জেলায় ৪০ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক ড. সাবিনা ইয়াসমিন।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে মঙ্গলবার ৯টায় ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, সাইবেরিয়ান বাতাস হিমালয়ে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে যখন দক্ষিণে প্রবেশ করে তখনই এই এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ দেখা দেয়। আকাশ পরিষ্কার থাকলে বাতাস সরাসরি প্রবাহিত হয় এ কারণে তখন তাপমাত্রা কমে যায় এবং শীতের দাপট বেড়ে যায়। আবার যখন ঘনকুয়াশা থাকে, আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকে তখন সাইবেরিয়ান বাতাস প্রবাহিত হতে পারে না এ কারণে এখানে তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
পঞ্চগড় প্রতিনিধি | ১৯ জানুয়ারি, ২০২১ ১১:৩১

হিমালয় কন্যা পঞ্চগড়ে মাঝে মাঝে তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। কোনো কোনো দিন আকাশ পরিষ্কার থকলে সকালেই মিষ্টি রোদের দেখা মিলছে। আবার কোনো কোনো দিন সকাল থেকেই ঘন কুয়াশায় আচ্ছাদিত থাকছে চারদিক।
মঙ্গলবার সকাল থেকে গোটা জেলায় ঘন কুয়াশায় ঢেকে ছিল চারদিক। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সকাল সাড়ে ১১টা) সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। রাস্তাঘাটে লোকজনের উপস্থিতি কম ছিল। যানবাহনগুলো হেডলাইট জালিয়ে চলাচল করছে।
মাঘের শুরুতে দুদিন শীতের দাপট ছিল সবচেয়ে বেশি। সারা দিন সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। হিমেল বাতাস ছিল। দিনে-রাতে শীতের দাপট ছিল সমান। কনকনে বাতাসে এলাকার মানুষ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। সে সময় এখানে তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সোমবার সকালেই সূর্যের মুখ দেখা গেছে। তবুও তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
সারা দিন সূর্যের উষ্ণতা ছিল। ফলে দিনের বেলা তেমন একটা শীত ছিল না। দিনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ২৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এবার মাঝে মাঝে দু-এক দিন শীতের তীব্রতা থাকলেও শীত মৌসুমের বেশির ভাগ সময় স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে।

এদিকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে শীত ও শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগী ভর্তির সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা বেশি দেখা যাচ্ছে। জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে জেলায় ৪০ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক ড. সাবিনা ইয়াসমিন।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে মঙ্গলবার ৯টায় ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, সাইবেরিয়ান বাতাস হিমালয়ে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে যখন দক্ষিণে প্রবেশ করে তখনই এই এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ দেখা দেয়। আকাশ পরিষ্কার থাকলে বাতাস সরাসরি প্রবাহিত হয় এ কারণে তখন তাপমাত্রা কমে যায় এবং শীতের দাপট বেড়ে যায়। আবার যখন ঘনকুয়াশা থাকে, আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকে তখন সাইবেরিয়ান বাতাস প্রবাহিত হতে পারে না এ কারণে এখানে তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকে।