কালিয়ায় আ.লীগের মেয়রপ্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়ে ককটেল নিক্ষেপ
নড়াইল প্রতিনিধি | ২৪ জানুয়ারি, ২০২১ ১২:০৩
নড়াইলের কালিয়া পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ওয়াহিদুজ্জামান হীরার নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী কার্যালয়ে ককটেল নিক্ষেপ ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার দিবাগত রাত একটার দিকে বড়কালিয়ার ব্যাপারীপাড়া নির্বাচনী অফিসে এ ঘটনা ঘটে।
আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ওয়াহিদুজ্জামান হীরার ভাই শহীদুল ইসলাম শাহী জানান, শনিবার দিবাগত রাত একটার দিকে বিদ্রোহী প্রার্থী ফকির মুশফিকুর রহমান লিটনের কর্মী-সমর্থকেরা বড়কালিয়ার ব্যাপারীপাড়া নির্বাচনী অফিসে ককটেল নিক্ষেপ করে।
এ সময় তিনটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। পরে নির্বাচনী কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে লিটনের পক্ষে মিছিল দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। মিছিল থেকে কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণপদ ঘোষকে হত্যার হুমকি দিয়ে স্লোগান দেয়া হয়।
তবে এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান মেয়র ফকির মুশফিকুর রহমান বলেন, কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণপদ ঘোষ এসব ঘটনা ঘটিয়ে আমাদের ওপর দোষ চাপাচ্ছে। আমাদের নির্বাচনকে বানচাল করতে এই নাটক করা হয়েছে।
সহকারী পুলিশ সুপার (কালিয়া সার্কেল) রিপন চন্দ্র সরকার বলেন, ঘটনাস্থল থেকে দুটি ককটেল সদৃশ বস্তু ও দুটি ছ্যানদা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কালিয়ার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
আগামী ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় ধাপে কালিয়া পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পৌরসভায় ভোটার সংখ্যা ১৬ হাজার ৩৮৩জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮ হাজার ১৪৭ জন এবং নারী ভোটার ৮ হাজার ২৩৬ জন।
মেয়র পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থী ওয়াহিদুজ্জামান হীরা, বিএনপির এসএম ওয়াহিদুজ্জামান মিলু ও বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান মেয়র ফকির মুশফিকুর রহমান লিটন।
এছাড়া সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৯ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩২জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১৯৭৬ সালে গঠিত কালিয়া পৌরসভাটি ২০১১ সালে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত হয়।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নড়াইল প্রতিনিধি | ২৪ জানুয়ারি, ২০২১ ১২:০৩

নড়াইলের কালিয়া পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ওয়াহিদুজ্জামান হীরার নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী কার্যালয়ে ককটেল নিক্ষেপ ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার দিবাগত রাত একটার দিকে বড়কালিয়ার ব্যাপারীপাড়া নির্বাচনী অফিসে এ ঘটনা ঘটে।
আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ওয়াহিদুজ্জামান হীরার ভাই শহীদুল ইসলাম শাহী জানান, শনিবার দিবাগত রাত একটার দিকে বিদ্রোহী প্রার্থী ফকির মুশফিকুর রহমান লিটনের কর্মী-সমর্থকেরা বড়কালিয়ার ব্যাপারীপাড়া নির্বাচনী অফিসে ককটেল নিক্ষেপ করে।
এ সময় তিনটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। পরে নির্বাচনী কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে লিটনের পক্ষে মিছিল দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। মিছিল থেকে কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণপদ ঘোষকে হত্যার হুমকি দিয়ে স্লোগান দেয়া হয়।
তবে এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান মেয়র ফকির মুশফিকুর রহমান বলেন, কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণপদ ঘোষ এসব ঘটনা ঘটিয়ে আমাদের ওপর দোষ চাপাচ্ছে। আমাদের নির্বাচনকে বানচাল করতে এই নাটক করা হয়েছে।
সহকারী পুলিশ সুপার (কালিয়া সার্কেল) রিপন চন্দ্র সরকার বলেন, ঘটনাস্থল থেকে দুটি ককটেল সদৃশ বস্তু ও দুটি ছ্যানদা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কালিয়ার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
আগামী ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় ধাপে কালিয়া পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পৌরসভায় ভোটার সংখ্যা ১৬ হাজার ৩৮৩জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮ হাজার ১৪৭ জন এবং নারী ভোটার ৮ হাজার ২৩৬ জন।
মেয়র পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থী ওয়াহিদুজ্জামান হীরা, বিএনপির এসএম ওয়াহিদুজ্জামান মিলু ও বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান মেয়র ফকির মুশফিকুর রহমান লিটন।
এছাড়া সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৯ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩২জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১৯৭৬ সালে গঠিত কালিয়া পৌরসভাটি ২০১১ সালে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত হয়।