স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা, পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ
অনলাইন ডেস্ক | ২৬ জানুয়ারি, ২০২১ ২২:৪৫
রাজশাহীর বাগমারায় স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা হয়েছে। আর এ ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী।
অভিযোগ উঠেছে, এক নবদম্পতির মধ্যে সৃষ্ট বিরোধ মীমাংসা করে দেওয়ার জন্য থানায় ডেকে ধর্ষণ মামলায় আটক করা হয়েছে মামলার প্রধান আসামি কলেজছাত্র আরমান হোসেনকে (২৬)। মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশের ভূমিকার প্রতিবাদে এলাকার লোকজন প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। বুধবার প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন করা হবে।
জানা যায়, উপজেলার বুজরুককৌড় গ্রামের আনিসুর রহমানের কলেজপড়ুয়া ছেলে আরমান হোসেনের সঙ্গে একই উপজেলার একজন প্রবাসীর স্কুলপড়ুয়া মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক থেকে ছয় মাস আগে বিয়ে হয়। এরপর গত অক্টোবর মাসে আড়ম্বরপূর্ণ বউভাত অনুষ্ঠানের আয়োজন করে স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে বসবাস শুরু করেন। তবে সপ্তাহখানেক আগে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। এই বিষয়ে কনের পক্ষে বাগমারা থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার বিকেলে সমঝোতার কথা বলে পুলিশ উভয় পক্ষকে থানায় ডাকে। সে মোতাবেক নবদম্পতিসহ তাদের অভিভাবকেরা থানায় আসেন। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। একপর্যায়ে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিরুল ইসলাম সমঝোতা বৈঠক থেকে আরমান হোসেনকে তুলে নিয়ে থানাহাজতে আটকে রাখেন। রাতে তার স্ত্রীর কাছ থেকে একটি ধর্ষণ মামলা গ্রহণ করে মঙ্গলবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, এক আত্মীয়ের মাধ্যমে পরিচয়ের পর বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। মেয়েটিকে (স্ত্রী) বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে এজাহারে উল্লেখ রয়েছে।
এদিকে বর আরমান হোসেনের বাবা আনিসুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ থানায় সমঝোতার কথা বলে ডেকে ধর্ষণ মামলা নিয়ে তার ছেলেকে কারাগারে পাঠিয়েছে।
তিনি বলেন, তাদের বিয়ে হয়েছে এবং বউভাতের বড় আয়োজনের মাধ্যমে ছেলের বউকে ঘরে তুলে নেওয়া হয়েছে।
ওই বিয়ের মৌলভি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তিনি উভয় পক্ষের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে বিয়ের কালেমা পড়িয়েছেন।
এলাকার বাসিন্দারা বলেন, বিয়ের পর তিন মাস ধরে তারা একসঙ্গে বসবাস করে আসছেন। বরপক্ষ বউভাতেরও আয়োজন করেছে। স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিরুল ইসলাম বলেন, তাদের বিয়ে হয়েছে কি না, তা তিনি জানেন না। আরমানকে থানায় ডেকে মামলা নিয়ে গ্রেপ্তারের বিষয় এড়িয়ে গিয়ে তিনি বলেন, আসামি আরমান হোসেনকে এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এই বিষয়ে ছাত্রীর পরিবারের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ২৬ জানুয়ারি, ২০২১ ২২:৪৫

রাজশাহীর বাগমারায় স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা হয়েছে। আর এ ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী।
অভিযোগ উঠেছে, এক নবদম্পতির মধ্যে সৃষ্ট বিরোধ মীমাংসা করে দেওয়ার জন্য থানায় ডেকে ধর্ষণ মামলায় আটক করা হয়েছে মামলার প্রধান আসামি কলেজছাত্র আরমান হোসেনকে (২৬)। মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশের ভূমিকার প্রতিবাদে এলাকার লোকজন প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। বুধবার প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন করা হবে।
জানা যায়, উপজেলার বুজরুককৌড় গ্রামের আনিসুর রহমানের কলেজপড়ুয়া ছেলে আরমান হোসেনের সঙ্গে একই উপজেলার একজন প্রবাসীর স্কুলপড়ুয়া মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক থেকে ছয় মাস আগে বিয়ে হয়। এরপর গত অক্টোবর মাসে আড়ম্বরপূর্ণ বউভাত অনুষ্ঠানের আয়োজন করে স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে বসবাস শুরু করেন। তবে সপ্তাহখানেক আগে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। এই বিষয়ে কনের পক্ষে বাগমারা থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার বিকেলে সমঝোতার কথা বলে পুলিশ উভয় পক্ষকে থানায় ডাকে। সে মোতাবেক নবদম্পতিসহ তাদের অভিভাবকেরা থানায় আসেন। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। একপর্যায়ে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিরুল ইসলাম সমঝোতা বৈঠক থেকে আরমান হোসেনকে তুলে নিয়ে থানাহাজতে আটকে রাখেন। রাতে তার স্ত্রীর কাছ থেকে একটি ধর্ষণ মামলা গ্রহণ করে মঙ্গলবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, এক আত্মীয়ের মাধ্যমে পরিচয়ের পর বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। মেয়েটিকে (স্ত্রী) বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে এজাহারে উল্লেখ রয়েছে।
এদিকে বর আরমান হোসেনের বাবা আনিসুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ থানায় সমঝোতার কথা বলে ডেকে ধর্ষণ মামলা নিয়ে তার ছেলেকে কারাগারে পাঠিয়েছে।
তিনি বলেন, তাদের বিয়ে হয়েছে এবং বউভাতের বড় আয়োজনের মাধ্যমে ছেলের বউকে ঘরে তুলে নেওয়া হয়েছে।
ওই বিয়ের মৌলভি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তিনি উভয় পক্ষের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে বিয়ের কালেমা পড়িয়েছেন।
এলাকার বাসিন্দারা বলেন, বিয়ের পর তিন মাস ধরে তারা একসঙ্গে বসবাস করে আসছেন। বরপক্ষ বউভাতেরও আয়োজন করেছে। স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিরুল ইসলাম বলেন, তাদের বিয়ে হয়েছে কি না, তা তিনি জানেন না। আরমানকে থানায় ডেকে মামলা নিয়ে গ্রেপ্তারের বিষয় এড়িয়ে গিয়ে তিনি বলেন, আসামি আরমান হোসেনকে এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এই বিষয়ে ছাত্রীর পরিবারের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।