নীলফামারীতে বাসের ধাক্কায় শ্রমিক নিহত, আহত ১১
নীলফামারী প্রতিনিধি | ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৫:১২
নীলফামারীতে বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার যাত্রী এক শ্রমিক নিহত ও ১১ জন আহত হয়েছেন।
নিহত মশিউর রহমান (৪০) জেলা সদরের ইটাখোলা ইউনিয়নের কানিয়ালখাতা মুন্সিপাড়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে।
শনিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে জেলা সদরের নীলফামারী-সৈয়দপুর সড়কের সংলগ্ন কামারপাড়া এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। হতাহতরা সকলেই উত্তরা ইপিজেডের বিভিন্ন কারখানার শ্রমিক।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে নীলফামারী সদর থানার উপপরিদর্শক পরিতোষ বর্মণ জানান, সকালের দিকে নীলফামারী শহর থেকে ১২জন শ্রমিক নিয়ে একটি অটোরিকশা উত্তরা ইপিজেডে যাওয়ার পথে জিসা পরিবহনের সাথে মুখোমুখি ধাক্কা খায়। এতে অটোরিকশার যাত্রীরা সড়কে ছিটকে পড়ে এবং অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় আহতদের উদ্ধার করে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে নিলে শ্রমিক মশিউর রহমানের মৃত্যু হয়।
নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. অমল রায় বলেন, শ্রমিক মশিউর রহমান হাসপাতালের জরুরি বিভাগে মারা যান। আহতদের মধ্যে শ্রমিক বেবি আকতার (২৮), শাহিনা বেগম (২৫) ও ইলিয়াস হোসেনের (২৮) অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
বর্তমানে সাত নারী শ্রমিকসহ আটজন শ্রমিক নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তারা হলে বানু বেগম (৩০), মাহমদুা বেগম (৩০), নুরনাহার (২৫), রোমানা বেগম (২৫), মোসলেমা (২৮), জেরিন (২০), রতন (৩৪) ও সোহেল রানা (২৫)।
নীলফামারী সদর থানা-পুলিশের পরিদর্শক মো. মাহমুদ উন নবী বলেন, ঘটনাস্থল থেকে দুমড়েমুচড়ে যাওয়া অটোরিকশা এবং হাসপাতাল থেকে নিহত মশিউর রহমানের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। জিসা পরিবহনের নৈশ কোচটি আটক করা হয়েছে তবে চালক, সুপারভাইজার এবং হেলপার পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কেউ কোন লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ দায়ের হলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নীলফামারী প্রতিনিধি | ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৫:১২

নীলফামারীতে বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার যাত্রী এক শ্রমিক নিহত ও ১১ জন আহত হয়েছেন।
নিহত মশিউর রহমান (৪০) জেলা সদরের ইটাখোলা ইউনিয়নের কানিয়ালখাতা মুন্সিপাড়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে।
শনিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে জেলা সদরের নীলফামারী-সৈয়দপুর সড়কের সংলগ্ন কামারপাড়া এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। হতাহতরা সকলেই উত্তরা ইপিজেডের বিভিন্ন কারখানার শ্রমিক।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে নীলফামারী সদর থানার উপপরিদর্শক পরিতোষ বর্মণ জানান, সকালের দিকে নীলফামারী শহর থেকে ১২জন শ্রমিক নিয়ে একটি অটোরিকশা উত্তরা ইপিজেডে যাওয়ার পথে জিসা পরিবহনের সাথে মুখোমুখি ধাক্কা খায়। এতে অটোরিকশার যাত্রীরা সড়কে ছিটকে পড়ে এবং অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় আহতদের উদ্ধার করে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে নিলে শ্রমিক মশিউর রহমানের মৃত্যু হয়।
নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. অমল রায় বলেন, শ্রমিক মশিউর রহমান হাসপাতালের জরুরি বিভাগে মারা যান। আহতদের মধ্যে শ্রমিক বেবি আকতার (২৮), শাহিনা বেগম (২৫) ও ইলিয়াস হোসেনের (২৮) অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
বর্তমানে সাত নারী শ্রমিকসহ আটজন শ্রমিক নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তারা হলে বানু বেগম (৩০), মাহমদুা বেগম (৩০), নুরনাহার (২৫), রোমানা বেগম (২৫), মোসলেমা (২৮), জেরিন (২০), রতন (৩৪) ও সোহেল রানা (২৫)।
নীলফামারী সদর থানা-পুলিশের পরিদর্শক মো. মাহমুদ উন নবী বলেন, ঘটনাস্থল থেকে দুমড়েমুচড়ে যাওয়া অটোরিকশা এবং হাসপাতাল থেকে নিহত মশিউর রহমানের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। জিসা পরিবহনের নৈশ কোচটি আটক করা হয়েছে তবে চালক, সুপারভাইজার এবং হেলপার পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কেউ কোন লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ দায়ের হলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।