ঝুট ব্যবসা নিয়ে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের সংঘর্ষে আহত ২০
সাভার প্রতিনিধি | ২ মার্চ, ২০২১ ১৭:১৪
সাভারের আশুলিয়ায় ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে ধামসোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আবু সাদেক ভুইয়া ও আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির হোসেন সরকারের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার সকালে আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ দুজনকে আটক করেছে। আহতদের মধ্যে প্রাথমিকভাবে সেলিম, শাহিন, কবির ও ফারুকের নাম জানা গেছে।
ধামসোনা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সাদেক ভুইয়া বলেন, ডিইপিজেড এর এক্সপেরিয়েন্স ক্লোথিং কোম্পানি লিমিটেড নামক তৈরি পোশাক কারখানার ঝুট বিক্রয়ের বিষয়ে চুক্তিবদ্ধ হয়ে ব্যবসা করতেন কবির হোসেন সরকার। তবে সম্প্রতি তার সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কারখানা কর্তৃপক্ষ আমার ছেলে মনির হোসেন ভুইয়ার সঙ্গে চুক্তি করে। ওই কারখানা থেকে ঝুট আনার জন্য সোমবার সকালে লেবার পাঠানো হয়। হঠাৎ কবির হোসেনের লোকজন কারখানায় প্রবেশ করে আমাদের লেবার কারখানা থেকে বের করে দেয়।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে প্রায় দুই থেকে তিন শ সশস্ত্র লোক নিয়ে কবির সরকারের লোকজন আমার বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় তারা আমার বাড়ি লক্ষ করে অন্তত পাঁচ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে হামলাকারীরা ১৭টি মোটরসাইকেল ও একটি পিকআপ রেখে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে পিকআপ ও মোটরসাইকেলগুলো উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির হোসেন সরকার বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ওই কারখানার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে ঝুট ব্যবসা করে আসছি। ২৮ ফেব্রুয়ারি চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়। চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি। এর মধ্যে সোমবার সাদেক ভুইয়ার লোকজন ওই কারখানা থেকে গাড়ি ভর্তি করে ঝুট আনার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় আমি আশুলিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। পরে মঙ্গলবার সকালে আমার ম্যানেজার সেলিম ১৬/১৭টা মোটরসাইকেলে লোকজন নিয়ে ইপিজেডের দিকে যাওয়ার সময় সাদেক মেম্বারের বাড়ির সামনে পৌঁছালে তার লোকজন অতর্কিতে আমার ওপর হামলা চালিয়ে শাহিনসহ আমার দু’জন লোককে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে’।
এক্সপেরিয়েন্স ক্লোথিং লিমিটেডের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আসলাম বলেন, আমাদের কম্পানির ঝুট বিক্রয় সংক্রান্ত বিষয়ে কবির হোসেন সরকারের সাঙ্গে চুক্তি ছিল, চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আবু সাদেক ভুইয়ার ছেলে মনিরের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। তবে সংঘর্ষের বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।
আশুলিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সামিউল ইসলাম বলেন, কবির হোসেন সরকারের লোকজন ভাদাইলে সাদেক ভুইয়ার বাড়ির সামনে আসলে সাদেক ভুইয়ার লোকজন এলাকায় ডাকাত এসেছে বলে মাইকিং করে লোকজন জড়ো করে পাল্টা হামলায় জড়িয়ে পরে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয়পক্ষের ৪ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয়দের সহায়তায় নারী ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় পুলিশ দু’জনকে আটক করলেও তাদের নাম-পরিচয় জানাতে পারেনি। পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে ভাংচুর করা প্রায় ১৫/১৬টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
সাভার প্রতিনিধি | ২ মার্চ, ২০২১ ১৭:১৪

সাভারের আশুলিয়ায় ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে ধামসোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আবু সাদেক ভুইয়া ও আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির হোসেন সরকারের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার সকালে আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ দুজনকে আটক করেছে। আহতদের মধ্যে প্রাথমিকভাবে সেলিম, শাহিন, কবির ও ফারুকের নাম জানা গেছে।
ধামসোনা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সাদেক ভুইয়া বলেন, ডিইপিজেড এর এক্সপেরিয়েন্স ক্লোথিং কোম্পানি লিমিটেড নামক তৈরি পোশাক কারখানার ঝুট বিক্রয়ের বিষয়ে চুক্তিবদ্ধ হয়ে ব্যবসা করতেন কবির হোসেন সরকার। তবে সম্প্রতি তার সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কারখানা কর্তৃপক্ষ আমার ছেলে মনির হোসেন ভুইয়ার সঙ্গে চুক্তি করে। ওই কারখানা থেকে ঝুট আনার জন্য সোমবার সকালে লেবার পাঠানো হয়। হঠাৎ কবির হোসেনের লোকজন কারখানায় প্রবেশ করে আমাদের লেবার কারখানা থেকে বের করে দেয়।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে প্রায় দুই থেকে তিন শ সশস্ত্র লোক নিয়ে কবির সরকারের লোকজন আমার বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় তারা আমার বাড়ি লক্ষ করে অন্তত পাঁচ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে হামলাকারীরা ১৭টি মোটরসাইকেল ও একটি পিকআপ রেখে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে পিকআপ ও মোটরসাইকেলগুলো উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির হোসেন সরকার বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ওই কারখানার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে ঝুট ব্যবসা করে আসছি। ২৮ ফেব্রুয়ারি চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়। চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি। এর মধ্যে সোমবার সাদেক ভুইয়ার লোকজন ওই কারখানা থেকে গাড়ি ভর্তি করে ঝুট আনার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় আমি আশুলিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। পরে মঙ্গলবার সকালে আমার ম্যানেজার সেলিম ১৬/১৭টা মোটরসাইকেলে লোকজন নিয়ে ইপিজেডের দিকে যাওয়ার সময় সাদেক মেম্বারের বাড়ির সামনে পৌঁছালে তার লোকজন অতর্কিতে আমার ওপর হামলা চালিয়ে শাহিনসহ আমার দু’জন লোককে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে’।
এক্সপেরিয়েন্স ক্লোথিং লিমিটেডের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আসলাম বলেন, আমাদের কম্পানির ঝুট বিক্রয় সংক্রান্ত বিষয়ে কবির হোসেন সরকারের সাঙ্গে চুক্তি ছিল, চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আবু সাদেক ভুইয়ার ছেলে মনিরের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। তবে সংঘর্ষের বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।
আশুলিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সামিউল ইসলাম বলেন, কবির হোসেন সরকারের লোকজন ভাদাইলে সাদেক ভুইয়ার বাড়ির সামনে আসলে সাদেক ভুইয়ার লোকজন এলাকায় ডাকাত এসেছে বলে মাইকিং করে লোকজন জড়ো করে পাল্টা হামলায় জড়িয়ে পরে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয়পক্ষের ৪ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয়দের সহায়তায় নারী ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় পুলিশ দু’জনকে আটক করলেও তাদের নাম-পরিচয় জানাতে পারেনি। পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে ভাংচুর করা প্রায় ১৫/১৬টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।