নরসিংদীতে ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন
নরসিংদী প্রতিনিধি | ৯ মার্চ, ২০২১ ১৪:০৬
নরসিংদীর মাধবদীতে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন হয়েছেন।
হত্যার পর মরদেহ পুকুরের নিচে মাটি চাপা দিয়ে গুম করে রাখা হয়। পরে ৯৯৯ এ ফোন দিলে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নরসিংদীর মাধবদীর মহিষাসুরা ইউনিয়নের দাইরের পার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সোহাগ (৩০) দাইরের পাড় গ্রামের সানাউল্লাহ মিয়ার ছেলে।
পুলিশ জানায়, মার্চ মাসের ২ তারিখ গত মঙ্গলবার রাতে নিহত সোহাগ নেশা জাতীয় দ্রব্য পান করে বাড়িতে আসেন।
ওই সময় সোহাগ তার মার সঙ্গে রাগারাগি ও গালিগালাজ করে। একপর্যায়ে সোহাগ উত্তেজিত হয়ে তার মাকে মারধর করতে থাকে। এতে তার বাবা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাকেও মারধর করেন। পরে ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। পরে ছোট ভাই জহিরুল ক্রিকেট বেট দিয়ে সোহাগের মাথায় আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে লাশ বাড়ির পাশে একটি পুকুর পাড়ে মাটি চাপা দিয়ে লাশ গুম করে রাখে।
এদিকে সোহাগকে দেখতে না পেয়ে স্থানীয় লোকজন ৯৯৯ ফোন করে বিষয়টি অবহিত করেন।
পরে মাধবদী থানা-পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেন। এরই মধ্যে মাধবদী থানা-পুলিশ নিহতের ছোট ভাইদের দুই বউকে আটক করে।
পরে তাদের দেয়া তথ্যমতে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে বাড়ির পাশে একটি পুকুরের পাড় থেকে বেকু মেশিন দিয়ে মাটি খুঁড়ে সোহাগের মরদেহ উদ্ধার করে।
মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দুজ্জামান বলেন, পারিবারিক বিরোধের জের ধরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণ করা হচ্ছে। হত্যার পর লাশটিকে গুম করে রাখা হয়েছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হচ্ছে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নরসিংদী প্রতিনিধি | ৯ মার্চ, ২০২১ ১৪:০৬

নরসিংদীর মাধবদীতে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন হয়েছেন।
হত্যার পর মরদেহ পুকুরের নিচে মাটি চাপা দিয়ে গুম করে রাখা হয়। পরে ৯৯৯ এ ফোন দিলে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নরসিংদীর মাধবদীর মহিষাসুরা ইউনিয়নের দাইরের পার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সোহাগ (৩০) দাইরের পাড় গ্রামের সানাউল্লাহ মিয়ার ছেলে।
পুলিশ জানায়, মার্চ মাসের ২ তারিখ গত মঙ্গলবার রাতে নিহত সোহাগ নেশা জাতীয় দ্রব্য পান করে বাড়িতে আসেন।
ওই সময় সোহাগ তার মার সঙ্গে রাগারাগি ও গালিগালাজ করে। একপর্যায়ে সোহাগ উত্তেজিত হয়ে তার মাকে মারধর করতে থাকে। এতে তার বাবা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাকেও মারধর করেন। পরে ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। পরে ছোট ভাই জহিরুল ক্রিকেট বেট দিয়ে সোহাগের মাথায় আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে লাশ বাড়ির পাশে একটি পুকুর পাড়ে মাটি চাপা দিয়ে লাশ গুম করে রাখে।
এদিকে সোহাগকে দেখতে না পেয়ে স্থানীয় লোকজন ৯৯৯ ফোন করে বিষয়টি অবহিত করেন।
পরে মাধবদী থানা-পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেন। এরই মধ্যে মাধবদী থানা-পুলিশ নিহতের ছোট ভাইদের দুই বউকে আটক করে।
পরে তাদের দেয়া তথ্যমতে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে বাড়ির পাশে একটি পুকুরের পাড় থেকে বেকু মেশিন দিয়ে মাটি খুঁড়ে সোহাগের মরদেহ উদ্ধার করে।
মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দুজ্জামান বলেন, পারিবারিক বিরোধের জের ধরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণ করা হচ্ছে। হত্যার পর লাশটিকে গুম করে রাখা হয়েছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হচ্ছে।