মামুনুল ইস্যুতে আরো ৩ পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি | ৭ এপ্রিল, ২০২১ ২৩:৪৭
হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হক ইস্যুতে আরো তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। হেফাজতের হরতালের দিনের ভাঙচুরের ছবি ফেইসবুকে শেয়ার করায় সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় আফজাল খান নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের এক নেতাকে পুলিশের সামনে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় ওসি দেলোয়ার হোসেনসহ তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বুধবার রাতে পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ধর্মপাশার থানার ওসি দেলোয়ার হোসেনকে সুনামগঞ্জ পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। এর আগে এ ঘটনায় বুধবার দুপুরে ধর্মপাশা থানার এসআই জহিরুল ইসলাম ও এএসআই আনোয়ার হোসেনকেও প্রত্যাহার করা হয়েছিল।
২৯ মার্চ জয়শ্রী ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের আফজাল খান দেশব্যাপী হেফাজতে ইসলামের হরতালের দিন হামলা ও আক্রমণের কিছু ছবি তার ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করেন। তবে পরে তিনি পোস্টটি ‘অনলি মি’ করে রাখেন। যদিও পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় কয়েকজন যুবক এর স্ক্রিনশট রেখে দেন।
পুলিশ জানায়, পোস্টের ব্যাখ্যা চাইতে স্থানীয় যুবকরা মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার জয়শ্রী বাজারে আফজাল খানের কাছে যান। এ সময় তাদের সঙ্গে যান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও হরিপুর সাতঘরিয়া গ্রামের আবুল হাসেম আলমের ছেলে আল মোজাহিদসহ ২০/৩০ জন। আফজল খান পোস্টটি তার নয় বলে দাবি করেন। এ সময় মোজাহিদ ও আফজালদের মধ্যে কথাকাটাকাটি ও ঝগড়া হয়। পরে মোজাহিদ ও তার লোকজন আফজালকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
খবর পেয়ে ধর্মপাশা থানার এসআই জহিরুল ইসলাম ও এএসআই আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের নিয়ন্ত্রণ করতে আফজাল হোসেনকে হাতকড়া পড়িয়ে উপস্থিত সবার কাছে ক্ষমা চাইতে বলেন।
সবার কাছে ক্ষমা চাওয়ার পর তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। থানায় নিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর রেখে পরে রাতে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা আফজাল খান নান, ‘ফেইসবুকে আমি এ ধরনের কোনো পোস্ট দিইনি। মোজাহিদ শিবিরকর্মী ছিল, তার বিরোধ থেকেই আমাকে এমনটা করেছে। আর পুলিশ আমাকে বাধ্য করেছে সবার কাছে ক্ষমা চাইতে। আমি এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব’।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ওই নেতাকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় জয়শ্রী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম আলমকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়।
বুধবার বিকেলে ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি | ৭ এপ্রিল, ২০২১ ২৩:৪৭

হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হক ইস্যুতে আরো তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। হেফাজতের হরতালের দিনের ভাঙচুরের ছবি ফেইসবুকে শেয়ার করায় সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় আফজাল খান নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের এক নেতাকে পুলিশের সামনে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় ওসি দেলোয়ার হোসেনসহ তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বুধবার রাতে পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ধর্মপাশার থানার ওসি দেলোয়ার হোসেনকে সুনামগঞ্জ পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। এর আগে এ ঘটনায় বুধবার দুপুরে ধর্মপাশা থানার এসআই জহিরুল ইসলাম ও এএসআই আনোয়ার হোসেনকেও প্রত্যাহার করা হয়েছিল।
২৯ মার্চ জয়শ্রী ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের আফজাল খান দেশব্যাপী হেফাজতে ইসলামের হরতালের দিন হামলা ও আক্রমণের কিছু ছবি তার ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করেন। তবে পরে তিনি পোস্টটি ‘অনলি মি’ করে রাখেন। যদিও পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় কয়েকজন যুবক এর স্ক্রিনশট রেখে দেন।
পুলিশ জানায়, পোস্টের ব্যাখ্যা চাইতে স্থানীয় যুবকরা মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার জয়শ্রী বাজারে আফজাল খানের কাছে যান। এ সময় তাদের সঙ্গে যান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও হরিপুর সাতঘরিয়া গ্রামের আবুল হাসেম আলমের ছেলে আল মোজাহিদসহ ২০/৩০ জন। আফজল খান পোস্টটি তার নয় বলে দাবি করেন। এ সময় মোজাহিদ ও আফজালদের মধ্যে কথাকাটাকাটি ও ঝগড়া হয়। পরে মোজাহিদ ও তার লোকজন আফজালকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
খবর পেয়ে ধর্মপাশা থানার এসআই জহিরুল ইসলাম ও এএসআই আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের নিয়ন্ত্রণ করতে আফজাল হোসেনকে হাতকড়া পড়িয়ে উপস্থিত সবার কাছে ক্ষমা চাইতে বলেন।
সবার কাছে ক্ষমা চাওয়ার পর তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। থানায় নিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর রেখে পরে রাতে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা আফজাল খান নান, ‘ফেইসবুকে আমি এ ধরনের কোনো পোস্ট দিইনি। মোজাহিদ শিবিরকর্মী ছিল, তার বিরোধ থেকেই আমাকে এমনটা করেছে। আর পুলিশ আমাকে বাধ্য করেছে সবার কাছে ক্ষমা চাইতে। আমি এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব’।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ওই নেতাকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় জয়শ্রী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম আলমকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়।
বুধবার বিকেলে ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ।