আশুলিয়ায় মাদ্রাসার এতিমখানায় ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু
সাভার প্রতিনিধি | ১৭ জানুয়ারি, ২০২২ ২৩:১৫
সাভারের আশুলিয়ায় আরাফাত হোসেন (১২) নামে এতিমখানার এক ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গুইসাপকে খাবার দিতে গিয়ে সীমানা প্রাচীর থেকে পড়ে গিয়ে ওই শিক্ষার্থী মারা গেছে বলে দাবি মাদ্রাসা অধ্যক্ষের।
সোমবার দুপুর ১২টার দিকে কবিরপুর এলাকার জামিয়াতুল মুজাফ্ফর এতিমখানার পূর্ব পাশের সীমানা প্রাচীরের পাশ থেকে ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা।
নিহত আরাফাত রাঙামাটি জেলার কলেজ গেট ভান্ডারি পাহাড় এলাকার আজাহার আলীর ছেলে। সে মাদ্রাসার এতিমখানায় থেকে নুরানি মক্তব শ্রেণিতে পড়াশোনা করত। একই এতিমখানায় তার বড় ভাই আবুল হোসেনও পড়াশোনা করে।
জামিয়াতুল মুজাফ্ফর এতিমখানার অধ্যক্ষ শায়খ মোহাম্মদ খালিদ হোসাাইন সাইফি জানান, সকালে তিনি মাদ্রাসায় ছিলেন না। তবে মাদ্রাসা থেকে তাকে মোবাইল ফোনে জানানো হয় আরাফাতকে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে মাদ্রাসার পূর্ব পাশের সীমানা প্রাচীরের পাশ থেকে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তাকে উদ্ধার করে দ্রুত স্থানীয় বাংলাদেশ কোরিয়া মৈত্রী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আরাফাতকে মৃত ঘোষণা করেন। ধারণা করা হচ্ছে আরাফাত গুইসাপকে খাবার দিতে গিয়ে ওয়াল থেকে পড়ে গিয়ে মারা গেছে। আরাফাত প্রতিদিন একটি গুইসাপকে ওয়ালের ওপর দিয়ে খাবার দিত বলেও জানান তিনি।
এদিকে, বাংলাদেশ কোরিয়া মৈত্রী হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার (ইএমও) ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ জানান, দুপুর সারে ১২টার দিকে মাদ্রাসার কয়েকজন ওই ছাত্রকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তবে হাসপাতালে আনার কমপক্ষে ২/৩ঘটা আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। বিষয়টি রহস্যজনক মনে হওয়ায় থানা-পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ নিহতের মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নূরুল ইসলাম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা রাঙামাটি জেলা থেকে আসছেন। পরিবারের লোকজন এলেই পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
সাভার প্রতিনিধি | ১৭ জানুয়ারি, ২০২২ ২৩:১৫

সাভারের আশুলিয়ায় আরাফাত হোসেন (১২) নামে এতিমখানার এক ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গুইসাপকে খাবার দিতে গিয়ে সীমানা প্রাচীর থেকে পড়ে গিয়ে ওই শিক্ষার্থী মারা গেছে বলে দাবি মাদ্রাসা অধ্যক্ষের।
সোমবার দুপুর ১২টার দিকে কবিরপুর এলাকার জামিয়াতুল মুজাফ্ফর এতিমখানার পূর্ব পাশের সীমানা প্রাচীরের পাশ থেকে ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা।
নিহত আরাফাত রাঙামাটি জেলার কলেজ গেট ভান্ডারি পাহাড় এলাকার আজাহার আলীর ছেলে। সে মাদ্রাসার এতিমখানায় থেকে নুরানি মক্তব শ্রেণিতে পড়াশোনা করত। একই এতিমখানায় তার বড় ভাই আবুল হোসেনও পড়াশোনা করে।
জামিয়াতুল মুজাফ্ফর এতিমখানার অধ্যক্ষ শায়খ মোহাম্মদ খালিদ হোসাাইন সাইফি জানান, সকালে তিনি মাদ্রাসায় ছিলেন না। তবে মাদ্রাসা থেকে তাকে মোবাইল ফোনে জানানো হয় আরাফাতকে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে মাদ্রাসার পূর্ব পাশের সীমানা প্রাচীরের পাশ থেকে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তাকে উদ্ধার করে দ্রুত স্থানীয় বাংলাদেশ কোরিয়া মৈত্রী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আরাফাতকে মৃত ঘোষণা করেন। ধারণা করা হচ্ছে আরাফাত গুইসাপকে খাবার দিতে গিয়ে ওয়াল থেকে পড়ে গিয়ে মারা গেছে। আরাফাত প্রতিদিন একটি গুইসাপকে ওয়ালের ওপর দিয়ে খাবার দিত বলেও জানান তিনি।
এদিকে, বাংলাদেশ কোরিয়া মৈত্রী হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার (ইএমও) ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ জানান, দুপুর সারে ১২টার দিকে মাদ্রাসার কয়েকজন ওই ছাত্রকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তবে হাসপাতালে আনার কমপক্ষে ২/৩ঘটা আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। বিষয়টি রহস্যজনক মনে হওয়ায় থানা-পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ নিহতের মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নূরুল ইসলাম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা রাঙামাটি জেলা থেকে আসছেন। পরিবারের লোকজন এলেই পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।