কোভিড-১৯ মহামারীতে মানুষের পাশে ছিলেন ডা. শহীদুল ইসলাম
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২১ জানুয়ারি, ২০২২ ২১:০৭
করোনায় বাংলাদেশ পুলিশ সারাদেশে ডাক্তারদের পাশাপাশি সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে মূল দায়িত্ব পালন করেছে। করোনা মোকাবেলায় এক নতুন অধ্যায় তৈরি করেছে পুলিশ। অনেক পুলিশ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আর তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে। করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের পাশে ছিলেন তৎকালীন পুলিশ সুপার ডা. এস, এম, শহীদুল ইসলাম।
জানা গেছে, পুলিশ সুপার ডা. এস, এম, শহীদুল ইসলাম করোনার ক্রান্তিলগ্নে ব্যাপক অবদান রাখেন। করোনাভাইরাস বাংলাদেশে শনাক্তের সময় থেকে তিনি ব্যাপক সচেতনতামূলক কার্যক্রম প্রচার ও কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন। করোনার ক্রান্তিলগ্নে তিনি করোনা রোগীদের পাশে থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করেন। তিনি করোনার ক্রান্তিলগ্নে অসহায় রোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিপুল জীবন রক্ষাকারী অক্সিজেন সিলিন্ডার, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, নগদ অর্থ ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, ডা. এস, এম, শহীদুল ইসলাম পিপিএম আকুপাংচার ও চাইনিজ থেরাপি চিকিৎসায় অনন্য অবদান রাখছেন।
তিনি জানান, সেদিন বেশী দুরে নয়, বিদেশ থেকে রোগী চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশে আসবেন। মটর নিউরন ডিজিজ, স্ট্রোক, প্যারালাইসিস, করোনা পরবর্তী জটিলতায়, সেরিব্রাল পালসি বা অন্য কোনো কারণে কথা বলতে না পারা বা কথা বলার অস্পষ্টতা, স্টিও আর্থ্রাইটিস, রিওমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, ইউরিক এসিড, গাউটসহ যেকোনো বাতের ব্যথা, অটিজম, সেরেব্রাল পালসিসহ যে কোনো নিউরোলজিক্যাল ডিজঅর্ডার, কোমর ব্যথা, হাঁটু ব্যথা, ঘাড় ব্যথা, ফ্রোজেন শোল্ডারসহ যেকোন ব্যথা, মাইগ্রেন, মাথা ব্যথা অনিদ্রা, যৌন অক্ষমতা, প্যারালাইসিস, পারকিনসন্স ডিজিজসহ যেকোন নিউরোলজিক্যাল সমস্যা ও দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত রোগী তার কাছে আকুপাংচার চিকিৎসায় দ্রুত ফল লাভ করছেন।
ডা. এস, এম, শহীদুল ইসলাম চাকরি জীবনে তিনি দেশে-বিদেশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ সুনামের সঙ্গে সম্পন্ন ও জাতিসংঘ মিশনে কর্মরত থাকাকালীন অসীম সাহসিকতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।
কর্মদক্ষতা, প্রজ্ঞা, সততা, বিচক্ষণতা ও সেবামূলক কাজের জন্য তিনি ২০১৮ সালের পিপিএম (রাষ্ট্রপতি পদক) পদকে ভূষিত হন।
তিনি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি হতে প্রথম স্থান অধিকার করে প্রেসিডেন্ট গোল্ড মেডেল পেয়ে এমপিএইচ ডিগ্রি অর্জন করেন।
এ ছাড়া তিনি এমবিএ ও এলএলবি ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডিতে অধ্যয়নরত।
এছাড়া তিনি বায়ো সেফটি ও বায়ো-সিকিউরিটি সংক্রান্ত ন্যাশনাল রিসোর্স পারসন হিসাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আন্তর্জাতিক জার্নালে ইতিমধ্যে তার ৩টি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে।
ডা. এস, এম শহীদুল ইসলাম চাকরি জীবনে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, জামালপুর সার্কেল, কেরানীগঞ্জ সার্কেল, এসবি ও সিটিএসবি হিসেবে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি রাজাররাগে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের (সিপিএইচ) চিকিৎসা সেবার মান বৃদ্ধি ও সেবামূলক কার্যক্রম গতিশীল করতে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তিনি বর্তমানে ওয়েসিস মাদকাসক্তি নিরাময় ও মানসিক পরামর্শ কেন্দ্র, ঢাকা এবং ঢাকা বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতাল (প্রস্তাবিত) এর পরিচালক হিসাবে কর্মরত আছেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২১ জানুয়ারি, ২০২২ ২১:০৭

করোনায় বাংলাদেশ পুলিশ সারাদেশে ডাক্তারদের পাশাপাশি সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে মূল দায়িত্ব পালন করেছে। করোনা মোকাবেলায় এক নতুন অধ্যায় তৈরি করেছে পুলিশ। অনেক পুলিশ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আর তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে। করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের পাশে ছিলেন তৎকালীন পুলিশ সুপার ডা. এস, এম, শহীদুল ইসলাম।
জানা গেছে, পুলিশ সুপার ডা. এস, এম, শহীদুল ইসলাম করোনার ক্রান্তিলগ্নে ব্যাপক অবদান রাখেন। করোনাভাইরাস বাংলাদেশে শনাক্তের সময় থেকে তিনি ব্যাপক সচেতনতামূলক কার্যক্রম প্রচার ও কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন। করোনার ক্রান্তিলগ্নে তিনি করোনা রোগীদের পাশে থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করেন। তিনি করোনার ক্রান্তিলগ্নে অসহায় রোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিপুল জীবন রক্ষাকারী অক্সিজেন সিলিন্ডার, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, নগদ অর্থ ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, ডা. এস, এম, শহীদুল ইসলাম পিপিএম আকুপাংচার ও চাইনিজ থেরাপি চিকিৎসায় অনন্য অবদান রাখছেন।
তিনি জানান, সেদিন বেশী দুরে নয়, বিদেশ থেকে রোগী চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশে আসবেন। মটর নিউরন ডিজিজ, স্ট্রোক, প্যারালাইসিস, করোনা পরবর্তী জটিলতায়, সেরিব্রাল পালসি বা অন্য কোনো কারণে কথা বলতে না পারা বা কথা বলার অস্পষ্টতা, স্টিও আর্থ্রাইটিস, রিওমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, ইউরিক এসিড, গাউটসহ যেকোনো বাতের ব্যথা, অটিজম, সেরেব্রাল পালসিসহ যে কোনো নিউরোলজিক্যাল ডিজঅর্ডার, কোমর ব্যথা, হাঁটু ব্যথা, ঘাড় ব্যথা, ফ্রোজেন শোল্ডারসহ যেকোন ব্যথা, মাইগ্রেন, মাথা ব্যথা অনিদ্রা, যৌন অক্ষমতা, প্যারালাইসিস, পারকিনসন্স ডিজিজসহ যেকোন নিউরোলজিক্যাল সমস্যা ও দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত রোগী তার কাছে আকুপাংচার চিকিৎসায় দ্রুত ফল লাভ করছেন।
ডা. এস, এম, শহীদুল ইসলাম চাকরি জীবনে তিনি দেশে-বিদেশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ সুনামের সঙ্গে সম্পন্ন ও জাতিসংঘ মিশনে কর্মরত থাকাকালীন অসীম সাহসিকতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।
কর্মদক্ষতা, প্রজ্ঞা, সততা, বিচক্ষণতা ও সেবামূলক কাজের জন্য তিনি ২০১৮ সালের পিপিএম (রাষ্ট্রপতি পদক) পদকে ভূষিত হন।
তিনি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি হতে প্রথম স্থান অধিকার করে প্রেসিডেন্ট গোল্ড মেডেল পেয়ে এমপিএইচ ডিগ্রি অর্জন করেন।
এ ছাড়া তিনি এমবিএ ও এলএলবি ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডিতে অধ্যয়নরত।
এছাড়া তিনি বায়ো সেফটি ও বায়ো-সিকিউরিটি সংক্রান্ত ন্যাশনাল রিসোর্স পারসন হিসাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আন্তর্জাতিক জার্নালে ইতিমধ্যে তার ৩টি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে।
ডা. এস, এম শহীদুল ইসলাম চাকরি জীবনে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, জামালপুর সার্কেল, কেরানীগঞ্জ সার্কেল, এসবি ও সিটিএসবি হিসেবে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি রাজাররাগে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের (সিপিএইচ) চিকিৎসা সেবার মান বৃদ্ধি ও সেবামূলক কার্যক্রম গতিশীল করতে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তিনি বর্তমানে ওয়েসিস মাদকাসক্তি নিরাময় ও মানসিক পরামর্শ কেন্দ্র, ঢাকা এবং ঢাকা বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতাল (প্রস্তাবিত) এর পরিচালক হিসাবে কর্মরত আছেন।