মনোনয়নপত্র বাতিলের ভয় দেখিয়ে ঘুষ নিতেন নির্বাচনী কর্মকর্তা!
ফরিদপুর প্রতিনিধি | ২৩ জানুয়ারি, ২০২২ ২০:১৪
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিলের ভয় এবং জাতীয় পরিচয়পত্র নেয়াসহ বিভিন্ন অজুহাতে উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে।
গত ২৮ নভেম্বর অত্র উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শেষে বিজয়ী চেয়ারম্যান-মেম্বাররা গেজেটভুক্ত হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন দপ্তরে উক্ত নির্বাচন অফিসারের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের লিখিত অভিযোগ করেছেন।
উপজেলার গাজীরটেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী আহসানুল হক মামুন ও একই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুর রউফ গত ৩০ ডিসেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে এর প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে বিষটির তদন্ত হয়েছে।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সহকারী সচিব (সংস্থাপন-১) মো. জিলহাজ উদ্দিন ও জেলা নির্বাচন অফিসার মো. হাবিবুর রহমান অভিযোগগুলো তদন্ত করেন।
তদন্তে প্রত্যেক প্রার্থীর কাছ থেকে তারা লিখিত জবানবন্দি গ্রহণ করার পর নির্বাচন অফিসারের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়।
এ ব্যাপারে শনিবার উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দাঁড় করানো হয়েছে এবং বিষয়টি তদন্তধীন আছে।
লিখিত অভিযোগে সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশগ্রহণকারী আহসানুল হক মামুন জানায়, নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র দাখিলের পরও উক্ত নির্বাচন অফিসার বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে প্রার্থিতা বাতিল করার ভয় দেখিয়ে তার কাছ থেকে প্রথম দফায় নগদ পৌনে দুই লাখ টাকা এবং পরে আরো দুই দফায় নগদ ৫০ হাজার টাকাসহ মোট সোয়া দুই লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন।
একই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুর রউফ জানান, মনোনয়নপত্র দাখিলের দিন সব কাগজপত্র চেক করে সবকিছু ঠিক বলে জানিয়ে দেওয়ার মাত্র দু’দিন পর নির্বাচন অফিসার ফোনে তাকে অফিসে ডেকে নিয়ে মনোনয়নপত্রের কোনো এক স্থানে স্বাক্ষর না থাকার কথা বলে প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যাবে হুমকী দিয়ে তার কাছ থেকে দুই দফায় নগদ মোট ২৫ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানজিলা কবির ত্রপা সাংবাদিকদের জানান, বৃহস্পতিবার প্রথম দফায় তদন্ত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো আমরাও খতিয়ে দেখব।
এ বিষেয় ফরিদপুরের সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি তদন্ত হয়েছে, তবে এখনো চূড়ান্ত হয়নি, আরো তদন্ত হবে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
ফরিদপুর প্রতিনিধি | ২৩ জানুয়ারি, ২০২২ ২০:১৪

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিলের ভয় এবং জাতীয় পরিচয়পত্র নেয়াসহ বিভিন্ন অজুহাতে উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে।
গত ২৮ নভেম্বর অত্র উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শেষে বিজয়ী চেয়ারম্যান-মেম্বাররা গেজেটভুক্ত হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন দপ্তরে উক্ত নির্বাচন অফিসারের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের লিখিত অভিযোগ করেছেন।
উপজেলার গাজীরটেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী আহসানুল হক মামুন ও একই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুর রউফ গত ৩০ ডিসেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে এর প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে বিষটির তদন্ত হয়েছে।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সহকারী সচিব (সংস্থাপন-১) মো. জিলহাজ উদ্দিন ও জেলা নির্বাচন অফিসার মো. হাবিবুর রহমান অভিযোগগুলো তদন্ত করেন।
তদন্তে প্রত্যেক প্রার্থীর কাছ থেকে তারা লিখিত জবানবন্দি গ্রহণ করার পর নির্বাচন অফিসারের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়।
এ ব্যাপারে শনিবার উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দাঁড় করানো হয়েছে এবং বিষয়টি তদন্তধীন আছে।
লিখিত অভিযোগে সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশগ্রহণকারী আহসানুল হক মামুন জানায়, নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র দাখিলের পরও উক্ত নির্বাচন অফিসার বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে প্রার্থিতা বাতিল করার ভয় দেখিয়ে তার কাছ থেকে প্রথম দফায় নগদ পৌনে দুই লাখ টাকা এবং পরে আরো দুই দফায় নগদ ৫০ হাজার টাকাসহ মোট সোয়া দুই লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন।
একই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুর রউফ জানান, মনোনয়নপত্র দাখিলের দিন সব কাগজপত্র চেক করে সবকিছু ঠিক বলে জানিয়ে দেওয়ার মাত্র দু’দিন পর নির্বাচন অফিসার ফোনে তাকে অফিসে ডেকে নিয়ে মনোনয়নপত্রের কোনো এক স্থানে স্বাক্ষর না থাকার কথা বলে প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যাবে হুমকী দিয়ে তার কাছ থেকে দুই দফায় নগদ মোট ২৫ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানজিলা কবির ত্রপা সাংবাদিকদের জানান, বৃহস্পতিবার প্রথম দফায় তদন্ত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো আমরাও খতিয়ে দেখব।
এ বিষেয় ফরিদপুরের সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি তদন্ত হয়েছে, তবে এখনো চূড়ান্ত হয়নি, আরো তদন্ত হবে।