বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিকদের আন্দোলন প্রত্যাহার
দিনাজপুর প্রতিনিধি | ১৪ মে, ২০২২ ২৩:২৮
দাবি মেনে নেয়ায় দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিএমসি-এক্সএমসি কনসোর্টিয়ামের অধীনে কর্মরত দেশি শ্রমিকদের আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়েছে। আন্দোলনরত শ্রমিকরা ধাপে ধাপে কাজে যোগ দেবেন।
খনি শ্রমিকরা জানান, শনিবার সকালে প্রথম দফায় ২১২ জন শ্রমিকের করোনা নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে যেসব শ্রমিকের নেগেটিভ আসবে তারাই শুধু খনিতে প্রবেশ করে ১ সপ্তাহের কোয়ারেন্টিন শেষে কাজে যোগ দেবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, একইভাবে প্রতি সপ্তাহে ২০০ জন করে মোট ৮৫০ জন শ্রমিককে পর্যায়ক্রমে খনিতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।
এর আগে, শুক্রবার রাতে খনিতে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আন্দোলনরত শ্রমিকদের একটি প্রতিনিধি দলের বৈঠক হয়। সেখানে আন্দোলনকারী শ্রমিকদের আংশিক দাবি মেনে নিলে আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান জানান, শুক্রবার রাতে খনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের একটি বৈঠক হয়। তাতে কর্তৃপক্ষ আমাদের আংশিক দাবি মেনে নিলে আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করি।
বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান খান বলেন, 'শুক্রবার রাতে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে শনিবার ২১২ জন শ্রমিকের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। ফলাফল পেলে তারা খনির অভ্যন্তরে প্রবেশ করবে এবং ৭ থেকে ১০ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকার পর কাজে যোগ দেবেন।'
তিনি আরও বলেন, 'বর্তমানে খনির উৎপাদন কাজ বন্ধ আছে। কারণ নতুন ফেজের উন্নয়ন কাজ চলছে।'
উল্লেখ্য যে, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের শ্রমিকরা গত ১১ এপ্রিল খনি কর্তৃপক্ষের কাছে কাজে যোগদানের একটি স্মারকলিপি দেন। গত ২৪ এপ্রিল খনির কর্তৃপক্ষকে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন আন্দোলনরত শ্রমিকরা। পরে দাবি মানায় গত ২৭ এপ্রিল থেকে খনির গেটে আন্দোলন শুরু করেন শ্রমিকরা।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
দিনাজপুর প্রতিনিধি | ১৪ মে, ২০২২ ২৩:২৮

দাবি মেনে নেয়ায় দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিএমসি-এক্সএমসি কনসোর্টিয়ামের অধীনে কর্মরত দেশি শ্রমিকদের আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়েছে। আন্দোলনরত শ্রমিকরা ধাপে ধাপে কাজে যোগ দেবেন।
খনি শ্রমিকরা জানান, শনিবার সকালে প্রথম দফায় ২১২ জন শ্রমিকের করোনা নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে যেসব শ্রমিকের নেগেটিভ আসবে তারাই শুধু খনিতে প্রবেশ করে ১ সপ্তাহের কোয়ারেন্টিন শেষে কাজে যোগ দেবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, একইভাবে প্রতি সপ্তাহে ২০০ জন করে মোট ৮৫০ জন শ্রমিককে পর্যায়ক্রমে খনিতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।
এর আগে, শুক্রবার রাতে খনিতে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আন্দোলনরত শ্রমিকদের একটি প্রতিনিধি দলের বৈঠক হয়। সেখানে আন্দোলনকারী শ্রমিকদের আংশিক দাবি মেনে নিলে আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান জানান, শুক্রবার রাতে খনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের একটি বৈঠক হয়। তাতে কর্তৃপক্ষ আমাদের আংশিক দাবি মেনে নিলে আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করি।
বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান খান বলেন, 'শুক্রবার রাতে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে শনিবার ২১২ জন শ্রমিকের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। ফলাফল পেলে তারা খনির অভ্যন্তরে প্রবেশ করবে এবং ৭ থেকে ১০ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকার পর কাজে যোগ দেবেন।'
তিনি আরও বলেন, 'বর্তমানে খনির উৎপাদন কাজ বন্ধ আছে। কারণ নতুন ফেজের উন্নয়ন কাজ চলছে।'
উল্লেখ্য যে, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের শ্রমিকরা গত ১১ এপ্রিল খনি কর্তৃপক্ষের কাছে কাজে যোগদানের একটি স্মারকলিপি দেন। গত ২৪ এপ্রিল খনির কর্তৃপক্ষকে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন আন্দোলনরত শ্রমিকরা। পরে দাবি মানায় গত ২৭ এপ্রিল থেকে খনির গেটে আন্দোলন শুরু করেন শ্রমিকরা।