কৈলাশটিলার ৭ নম্বর কূপ থেকে উত্তোলন শুরু
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট | ১৪ মে, ২০২২ ২৩:৫০
সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের অধীন কৈলাশটিলার ৭ নম্বর কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়েছে।
শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ শুরু হয়। এই কূপ থেকে প্রতিদিন ১৯ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।
গ্যাস সরবরাহ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মাহবুব হোসেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (অপারেশন) মো. জাহাঙ্গীর আলম, বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশনের (পেট্রোবাংলা) চেয়ারম্যান, অতিরিক্ত সচিব নাজমুল আহসান, বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী, প্রকৌশলী শোয়েব আহমেদ প্রমুখ।
সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ৭ নম্বর কূপটি ২০১৬ সালে পরিত্যক্ত ঘোষণা হয়েছিল। পরবর্তীতে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনায় প্রায় ৬ মাস আগে এই কূপটিতে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল, গ্যাস অনুসন্ধানকারী কোম্পানি বাপেক্স অনুসন্ধান চালায়। কূপের ৩ হাজার মিটার গভীরে গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। সফল ওয়ার্ক ওভার শেষে গত ৭ মে থেকে ওই কূপ থেকে পরীক্ষামূলক গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়। এখন আনুষ্ঠানিকভাবে তা জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ শুরু হয়েছে। এই কূপ থেকে দৈনিক ১৯ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে বলে জানান তিনি।
সিলেট গ্যাস ফিল্ডস সূত্র জানায়, কৈলাসটিলার সাতটি কূপের মধ্যে এত দিন দুইটি কূপ থেকে দৈনিক ২ কোটি ৯০ লাখ ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হতো। এখন ৭ নম্বর কূপ থেকে দৈনিক আরও ১৯ মিলিয়ন ঘনফুট জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আরপিসের ধারণা কূপের এই স্তরে ৭৫৮ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুত রয়েছে। সব মিলিয়ে এখান থেকে ৪ কোটি ৪০ লাখ ঘনফুট গ্যাস প্রতিদিন যাচ্ছে জাতীয় গ্রিডে।
সূত্র আরও জানায়, ৭ নম্বর কূপটিতে ওয়ার্ক ওভার শুরুর সময় আশা করা হয়েছিল দৈনিক ১০ থেকে ১২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার। কিন্তু প্রত্যাশা ছাড়িয়ে এখন পাওয়া যাচ্ছে ১৯ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। এর সঙ্গে উপজাত হিসেবে প্রতিদিন মিলবে ২৫০ ব্যারেল কনডেন্সড। যা থেকে ২২ লাখ টাকার জ্বালানি তেল পাওয়া যাবে।
২০১৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেটের গোলাপগঞ্জ সফরকালে কৈলাশটিলা গ্যাসক্ষেত্রকে দেশের প্রথম তেল খনি হিসেবে ঘোষণা করে ৭ নম্বর কূপ খনন কাজের উদ্বোধন করেন। ২০১৫ সালের ৮ মার্চ খনন কাজ শেষে একটি স্তরে গ্যাসের সন্ধান পেলেও তেলের খোঁজ পায়নি বাপেক্স। ২০১৫ সালের ৫ সেপ্টেম্বর জাতীয় গ্রিডে ৮-১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ শুরু হয় এই কূপ থেকে। কিন্তু ২০১৬ সালের অক্টোবরে গ্যাস উত্তোলনের হার ০.৫ মিলিয়ন ঘনফুটে নেমে এলে ২ নভেম্বর বন্ধ হয়ে যায় এই কূপটি। ১৯৬২ সালে কৈলাশটিলা গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছিল। এরপর ১৯৮৩ সাল থেকে এখানে উৎপাদন শুরু হয়।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট | ১৪ মে, ২০২২ ২৩:৫০
সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের অধীন কৈলাশটিলার ৭ নম্বর কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়েছে।
শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ শুরু হয়। এই কূপ থেকে প্রতিদিন ১৯ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।
গ্যাস সরবরাহ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মাহবুব হোসেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (অপারেশন) মো. জাহাঙ্গীর আলম, বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশনের (পেট্রোবাংলা) চেয়ারম্যান, অতিরিক্ত সচিব নাজমুল আহসান, বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী, প্রকৌশলী শোয়েব আহমেদ প্রমুখ।
সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ৭ নম্বর কূপটি ২০১৬ সালে পরিত্যক্ত ঘোষণা হয়েছিল। পরবর্তীতে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনায় প্রায় ৬ মাস আগে এই কূপটিতে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল, গ্যাস অনুসন্ধানকারী কোম্পানি বাপেক্স অনুসন্ধান চালায়। কূপের ৩ হাজার মিটার গভীরে গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। সফল ওয়ার্ক ওভার শেষে গত ৭ মে থেকে ওই কূপ থেকে পরীক্ষামূলক গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়। এখন আনুষ্ঠানিকভাবে তা জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ শুরু হয়েছে। এই কূপ থেকে দৈনিক ১৯ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে বলে জানান তিনি।
সিলেট গ্যাস ফিল্ডস সূত্র জানায়, কৈলাসটিলার সাতটি কূপের মধ্যে এত দিন দুইটি কূপ থেকে দৈনিক ২ কোটি ৯০ লাখ ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হতো। এখন ৭ নম্বর কূপ থেকে দৈনিক আরও ১৯ মিলিয়ন ঘনফুট জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আরপিসের ধারণা কূপের এই স্তরে ৭৫৮ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুত রয়েছে। সব মিলিয়ে এখান থেকে ৪ কোটি ৪০ লাখ ঘনফুট গ্যাস প্রতিদিন যাচ্ছে জাতীয় গ্রিডে।
সূত্র আরও জানায়, ৭ নম্বর কূপটিতে ওয়ার্ক ওভার শুরুর সময় আশা করা হয়েছিল দৈনিক ১০ থেকে ১২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার। কিন্তু প্রত্যাশা ছাড়িয়ে এখন পাওয়া যাচ্ছে ১৯ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। এর সঙ্গে উপজাত হিসেবে প্রতিদিন মিলবে ২৫০ ব্যারেল কনডেন্সড। যা থেকে ২২ লাখ টাকার জ্বালানি তেল পাওয়া যাবে।
২০১৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেটের গোলাপগঞ্জ সফরকালে কৈলাশটিলা গ্যাসক্ষেত্রকে দেশের প্রথম তেল খনি হিসেবে ঘোষণা করে ৭ নম্বর কূপ খনন কাজের উদ্বোধন করেন। ২০১৫ সালের ৮ মার্চ খনন কাজ শেষে একটি স্তরে গ্যাসের সন্ধান পেলেও তেলের খোঁজ পায়নি বাপেক্স। ২০১৫ সালের ৫ সেপ্টেম্বর জাতীয় গ্রিডে ৮-১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ শুরু হয় এই কূপ থেকে। কিন্তু ২০১৬ সালের অক্টোবরে গ্যাস উত্তোলনের হার ০.৫ মিলিয়ন ঘনফুটে নেমে এলে ২ নভেম্বর বন্ধ হয়ে যায় এই কূপটি। ১৯৬২ সালে কৈলাশটিলা গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছিল। এরপর ১৯৮৩ সাল থেকে এখানে উৎপাদন শুরু হয়।