সাংবাদিক আমির খসরুর মাকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ
পিরোজপুর প্রতিনিধি | ১৬ মে, ২০২২ ১৬:৩৬
জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আমির খসরুর মা সিতারা হালিমের (৭৪) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় পিরোজপুর শহরের সিআইপাড়া এলাকার নিজ বাসভবন থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পিরোজপুর সদর থানা-পুলিশ।
সিতারা হালিম পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মৃত প্রফেসর আব্দুল হালিম হাওলাদারের স্ত্রী।
সিতারা হালিমের মেয়ে সালমা আরজু বলেন, ‘সিআইপাড়া এলাকার বাসার দ্বিতীয় তলায় মা একা থাকতেন। গত রবিবার রাতে সর্বশেষ তার সঙ্গে কথা হয়। সকালে বাসায় রং করার জন্য আব্দুল কুদ্দুস নামে এক মিস্ত্রি বাসায় এসে দরজায় ডাকাডাকি করেন। কিন্তু মা দরজা না খুললে তিনি বাসার নিচতলার ভাড়াটিয়ার কাছে বিষয়টি জানান।
দীর্ঘ সময় পরও দরজা না খুললে ভাড়াটিয়া ও রংমিস্ত্রি পেছনের দরজা দিয়ে ডাকতে যান। এ সময় তারা দরজাটি খোলা দেখেন। বাসায় ঢুকে দেখেন, মা মেঝেতে পড়ে আছেন। এ সময় বাসার ভাড়াটিয়া আমাকে বিষয়টি ফোন করে জানান।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার স্বামীকে নিয়ে বাসায় এসে দেখি, ঘরের মেঝেতে তার মা পড়ে আছেন। তার গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। ঘরের আলমারি ভাঙা এবং আসবাবপত্র এলোমেলোভাবে পড়ে আছে। পুলিশকে খবর দিলে লাশ উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়।’
পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. স্বাগত হালদার জানান, সিতারা হালিমকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। তার গলায় চিকন কোনো কিছুর আঘাতের চিহ্ন আছে।
সাংবাদিক আমীর খসরু জানান, আমার মায়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্ত করে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
কাউন্সিলর আব্দুল সালাম বাতেন জানান, এই পরিবারটি আমার ওয়ার্ডের মধ্যে একটি স্বনামধন্য পরিবার। তাদের কোনো শত্রু নাই। কিন্তু কি কারণে এ ঘটনা ঘটল তা আমরা বোধগম্য নয়।
পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) খায়রুল হাসান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রাতের কোনও এক সময় তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করা হচ্ছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
পিরোজপুর প্রতিনিধি | ১৬ মে, ২০২২ ১৬:৩৬

জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আমির খসরুর মা সিতারা হালিমের (৭৪) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় পিরোজপুর শহরের সিআইপাড়া এলাকার নিজ বাসভবন থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পিরোজপুর সদর থানা-পুলিশ।
সিতারা হালিম পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মৃত প্রফেসর আব্দুল হালিম হাওলাদারের স্ত্রী।
সিতারা হালিমের মেয়ে সালমা আরজু বলেন, ‘সিআইপাড়া এলাকার বাসার দ্বিতীয় তলায় মা একা থাকতেন। গত রবিবার রাতে সর্বশেষ তার সঙ্গে কথা হয়। সকালে বাসায় রং করার জন্য আব্দুল কুদ্দুস নামে এক মিস্ত্রি বাসায় এসে দরজায় ডাকাডাকি করেন। কিন্তু মা দরজা না খুললে তিনি বাসার নিচতলার ভাড়াটিয়ার কাছে বিষয়টি জানান।
দীর্ঘ সময় পরও দরজা না খুললে ভাড়াটিয়া ও রংমিস্ত্রি পেছনের দরজা দিয়ে ডাকতে যান। এ সময় তারা দরজাটি খোলা দেখেন। বাসায় ঢুকে দেখেন, মা মেঝেতে পড়ে আছেন। এ সময় বাসার ভাড়াটিয়া আমাকে বিষয়টি ফোন করে জানান।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার স্বামীকে নিয়ে বাসায় এসে দেখি, ঘরের মেঝেতে তার মা পড়ে আছেন। তার গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। ঘরের আলমারি ভাঙা এবং আসবাবপত্র এলোমেলোভাবে পড়ে আছে। পুলিশকে খবর দিলে লাশ উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়।’
পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. স্বাগত হালদার জানান, সিতারা হালিমকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। তার গলায় চিকন কোনো কিছুর আঘাতের চিহ্ন আছে।
সাংবাদিক আমীর খসরু জানান, আমার মায়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্ত করে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
কাউন্সিলর আব্দুল সালাম বাতেন জানান, এই পরিবারটি আমার ওয়ার্ডের মধ্যে একটি স্বনামধন্য পরিবার। তাদের কোনো শত্রু নাই। কিন্তু কি কারণে এ ঘটনা ঘটল তা আমরা বোধগম্য নয়।
পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) খায়রুল হাসান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রাতের কোনও এক সময় তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করা হচ্ছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।