হিলিতে বিক্রি না হওয়ায় আমদানিকারকদের গুদামে পচছে পেঁয়াজ
হাকিমপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি | ১৬ মে, ২০২২ ১৬:৩৯
আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি করতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা।
ইতিমধ্যেই অতিরিক্ত গরমে গুদামে মজুতকৃত পেঁয়াজে পচন ধরছে, গজিয়ে যাচ্ছে গাছ। এতে করে অনেক পেঁয়াজ ফেলে দিতে হচ্ছে। যার কারণে বাধ্য হয়ে খানিকটা কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন বন্দরের আমদানিকারকেরা।
তবে আইপি না থাকায় বর্তমানে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা সবুজ হোসেন বলেন, কিছুদিন আগে পেঁয়াজের দাম ছিল ১৪/১৫ টাকা কেজি। এতে করে আমাদের মতো সাধারণ মানুষদের পেঁয়াজ কিনা বেশ ভালোই ছিল। কিন্তু বর্তমানে পেঁয়াজের দাম বেড়ে ২৫/২৬ টাকায় উঠে গিয়েছে ভালো মানের পেঁয়াজের দাম এর উপরে উঠে গেছে। একে তো সব জিনিসের দাম বেশি এর উপরে পেঁয়াজের দাম বাড়ায় আমাদের মতো মানুষদের বেশ সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে।
হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা মনিরুল আলম বলেন, বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের কারণে বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের ওপর কিছুটা চাপ পড়েছে। যার কারণে আগে কম থাকলেও বর্তমানে ছোট আকারের পেঁয়াজ ২৪ থেকে ২৬ টাকা বড় আকারে পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৩৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
বর্তমানে বাজারে দেশীয় পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে যার কারণে দামও কম রয়েছে। প্রকারভেদে ১৬ টাকা থেকে ৩২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে দেশীয় পেঁয়াজ যার কারণে ভারতীয় পেঁয়াজের বিক্রি তেমন নেই বললেই চলে।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক শাহরিয়ার আলম বলেন, সরকার ৫ মে থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি না দেওয়ায় বন্দর দিয়ে ওই দিন থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যায়, যা এখন পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে।
তবে মে দিবস, ঈদুল ফিতর ও সাপ্তাহিক ছুটির কারণে ১ মে থেকে ৬ মে পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি রপ্তানি বন্ধের কারণে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত পূর্বের অনুমতি পাওয়া এলসির মাধ্যমে পর্যাপ্ত পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি করেন আমদানিকারকরা।
কিন্তু সেই তুলনায় ক্রেতা না থাকায় মোকামগুলোতে পেঁয়াজের তেমন চাহিদা না থাকার কারণে পেঁয়াজ বিক্রি না হওয়ায় আমদানিকারকদের গুদামে পর্যাপ্ত পরিমাণে পেঁয়াজের মজুত রয়েছে।
এদিকে গত কয়েক দিন ধরে প্রচণ্ড গরম আবার কখনো বৃষ্টির কারণে ইতিমধ্যেই গুদামে মজুতকৃত পেঁয়াজে পচন ধরে পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে আবার অনেক পেঁয়াজে গাছ গজিয়ে যাচ্ছে। ফ্যান দিয়ে শুকিয়ে তারপরে শ্রমিক লাগিয়ে পেঁয়াজ বাছাই করে ভালোমানের পেঁয়াজ পাইকারি ২৫/২৬ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে সর্বশেষ ৩০ এপ্রিল ৬৮টি ট্রাকে ১হাজার ৯০২ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল। এরপর থেকে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রয়েছে। আইপি না থাকার কারণে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করছেন না বলে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি। পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় সরকারের রাজস্ব যেমন কমেছে তেমনি বন্দর কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকের যে দৈনন্দিন আয় সেটিও কমেছে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
হাকিমপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি | ১৬ মে, ২০২২ ১৬:৩৯

আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি করতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা।
ইতিমধ্যেই অতিরিক্ত গরমে গুদামে মজুতকৃত পেঁয়াজে পচন ধরছে, গজিয়ে যাচ্ছে গাছ। এতে করে অনেক পেঁয়াজ ফেলে দিতে হচ্ছে। যার কারণে বাধ্য হয়ে খানিকটা কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন বন্দরের আমদানিকারকেরা।
তবে আইপি না থাকায় বর্তমানে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা সবুজ হোসেন বলেন, কিছুদিন আগে পেঁয়াজের দাম ছিল ১৪/১৫ টাকা কেজি। এতে করে আমাদের মতো সাধারণ মানুষদের পেঁয়াজ কিনা বেশ ভালোই ছিল। কিন্তু বর্তমানে পেঁয়াজের দাম বেড়ে ২৫/২৬ টাকায় উঠে গিয়েছে ভালো মানের পেঁয়াজের দাম এর উপরে উঠে গেছে। একে তো সব জিনিসের দাম বেশি এর উপরে পেঁয়াজের দাম বাড়ায় আমাদের মতো মানুষদের বেশ সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে।
হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা মনিরুল আলম বলেন, বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের কারণে বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের ওপর কিছুটা চাপ পড়েছে। যার কারণে আগে কম থাকলেও বর্তমানে ছোট আকারের পেঁয়াজ ২৪ থেকে ২৬ টাকা বড় আকারে পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৩৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
বর্তমানে বাজারে দেশীয় পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে যার কারণে দামও কম রয়েছে। প্রকারভেদে ১৬ টাকা থেকে ৩২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে দেশীয় পেঁয়াজ যার কারণে ভারতীয় পেঁয়াজের বিক্রি তেমন নেই বললেই চলে।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক শাহরিয়ার আলম বলেন, সরকার ৫ মে থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি না দেওয়ায় বন্দর দিয়ে ওই দিন থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যায়, যা এখন পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে।
তবে মে দিবস, ঈদুল ফিতর ও সাপ্তাহিক ছুটির কারণে ১ মে থেকে ৬ মে পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি রপ্তানি বন্ধের কারণে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত পূর্বের অনুমতি পাওয়া এলসির মাধ্যমে পর্যাপ্ত পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি করেন আমদানিকারকরা।
কিন্তু সেই তুলনায় ক্রেতা না থাকায় মোকামগুলোতে পেঁয়াজের তেমন চাহিদা না থাকার কারণে পেঁয়াজ বিক্রি না হওয়ায় আমদানিকারকদের গুদামে পর্যাপ্ত পরিমাণে পেঁয়াজের মজুত রয়েছে।
এদিকে গত কয়েক দিন ধরে প্রচণ্ড গরম আবার কখনো বৃষ্টির কারণে ইতিমধ্যেই গুদামে মজুতকৃত পেঁয়াজে পচন ধরে পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে আবার অনেক পেঁয়াজে গাছ গজিয়ে যাচ্ছে। ফ্যান দিয়ে শুকিয়ে তারপরে শ্রমিক লাগিয়ে পেঁয়াজ বাছাই করে ভালোমানের পেঁয়াজ পাইকারি ২৫/২৬ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে সর্বশেষ ৩০ এপ্রিল ৬৮টি ট্রাকে ১হাজার ৯০২ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল। এরপর থেকে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রয়েছে। আইপি না থাকার কারণে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করছেন না বলে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি। পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় সরকারের রাজস্ব যেমন কমেছে তেমনি বন্দর কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকের যে দৈনন্দিন আয় সেটিও কমেছে।