যশোরে মাদকাসক্ত বাবার হাতে ছেলে খুন
যশোর প্রতিনিধি | ১৬ মে, ২০২২ ১৭:৪৫
যশোর সদর উপজেলার চাঁনপাড়া গ্রামে রুহুল আমীন (১৩) নামে এক কিশোর তার বাবার হাতে খুন হয়েছেন। রবিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত নুরুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহতের মামা মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, নুরুল ইসলাম একজন মাদকসেবী। রোববার রাত ১১টার দিকে বড় ছেলে রুহুল আমীনকে ঘরের ভেতর বৈদ্যুতিক শক দিয়ে এবং গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন তিনি।
এরপর মাথায় টুপি পরিয়ে ঘরে খাটে বিছানায় শুইয়ে রাখে। পরে চানপাড়া হাফেজী মাদ্রাসায় পড়ুয়া ছোট ছেলে আল আমিনকে মারার জন্য নুরুল ইসলাম রাতে মাদ্রাসায় যান। সেখানে মাদ্রাসার সুপার মাওলানা জাহিদুল ইসলামকে জানায় সে তার বড় ছেলেকে মেরে ফেলেছে। এ ছেলেকেও মেরে ফেলবে। এ কথা বলার পর মাওলানা জাহিদুল ইসলাম আলামিনকে দিতে অস্বীকৃতি জানান।
তখন নুরুল ইসলাম সেখান থেকে বাড়িতে ফিরে আসেন এবং ঘরের ভেতরে থাকা মৃত রুহুল আমীনকে তালাবদ্ধ করে রেখে সামনে ধারালো দা হাতে বসে থাকে।
ঘটনার সময় নুরুল ইসলামের স্ত্রী শান্তনা বেগম বাড়িতে ছিলেন না। স্বামীর হাতে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে তিনি এ দিন সকালে বাঘারপাড়া উপজেলার পুকুরিয়া গ্রামে বাবার বাড়ি চলে যান। স্ত্রীর অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে নুরুল ইসলাম এ ঘটনা ঘটান।
মনিরুজ্জামান আরও জানান, খবর পেয়ে ভাগনেকে উদ্ধার করার জন্য ভোরে তিনি ভগ্নিপতি নুরুল ইসলামের বাড়িতে আসেন। এ সময় নুরুল ইসলাম তাকেও মারধর করেন। কেউ ঘরে ঢুকলে তাকে খুন করা হবে বলে হুমকি দেন।
মনিরুজ্জামানের অভিযোগ, মাদকসেবী নুরুল ইসলামের ৬ বিঘা জমি ছিল তা সব বিক্রি করে ফেলেছে। এখন মাত্র ৬ শতক জমির উপর ভিটে বাড়ি আছে। ওই জমিটুকুও সে বিক্রি করতে চায়। কিন্তু স্ত্রী, ছেলেমেয়েরা বাকি জমি বিক্রি করতে বাধা দেয়ার কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে নুরুল ইসলাম নিজ ছেলেকে হত্যা করেছে।
সোমবার সকালে যশোর কোতোয়ালি থানা-পুলিশ আলামিনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল মর্গে পাঠায় এবং তার বাবাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
যশোর প্রতিনিধি | ১৬ মে, ২০২২ ১৭:৪৫

যশোর সদর উপজেলার চাঁনপাড়া গ্রামে রুহুল আমীন (১৩) নামে এক কিশোর তার বাবার হাতে খুন হয়েছেন। রবিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত নুরুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহতের মামা মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, নুরুল ইসলাম একজন মাদকসেবী। রোববার রাত ১১টার দিকে বড় ছেলে রুহুল আমীনকে ঘরের ভেতর বৈদ্যুতিক শক দিয়ে এবং গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন তিনি।
এরপর মাথায় টুপি পরিয়ে ঘরে খাটে বিছানায় শুইয়ে রাখে। পরে চানপাড়া হাফেজী মাদ্রাসায় পড়ুয়া ছোট ছেলে আল আমিনকে মারার জন্য নুরুল ইসলাম রাতে মাদ্রাসায় যান। সেখানে মাদ্রাসার সুপার মাওলানা জাহিদুল ইসলামকে জানায় সে তার বড় ছেলেকে মেরে ফেলেছে। এ ছেলেকেও মেরে ফেলবে। এ কথা বলার পর মাওলানা জাহিদুল ইসলাম আলামিনকে দিতে অস্বীকৃতি জানান।
তখন নুরুল ইসলাম সেখান থেকে বাড়িতে ফিরে আসেন এবং ঘরের ভেতরে থাকা মৃত রুহুল আমীনকে তালাবদ্ধ করে রেখে সামনে ধারালো দা হাতে বসে থাকে।
ঘটনার সময় নুরুল ইসলামের স্ত্রী শান্তনা বেগম বাড়িতে ছিলেন না। স্বামীর হাতে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে তিনি এ দিন সকালে বাঘারপাড়া উপজেলার পুকুরিয়া গ্রামে বাবার বাড়ি চলে যান। স্ত্রীর অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে নুরুল ইসলাম এ ঘটনা ঘটান।
মনিরুজ্জামান আরও জানান, খবর পেয়ে ভাগনেকে উদ্ধার করার জন্য ভোরে তিনি ভগ্নিপতি নুরুল ইসলামের বাড়িতে আসেন। এ সময় নুরুল ইসলাম তাকেও মারধর করেন। কেউ ঘরে ঢুকলে তাকে খুন করা হবে বলে হুমকি দেন।
মনিরুজ্জামানের অভিযোগ, মাদকসেবী নুরুল ইসলামের ৬ বিঘা জমি ছিল তা সব বিক্রি করে ফেলেছে। এখন মাত্র ৬ শতক জমির উপর ভিটে বাড়ি আছে। ওই জমিটুকুও সে বিক্রি করতে চায়। কিন্তু স্ত্রী, ছেলেমেয়েরা বাকি জমি বিক্রি করতে বাধা দেয়ার কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে নুরুল ইসলাম নিজ ছেলেকে হত্যা করেছে।
সোমবার সকালে যশোর কোতোয়ালি থানা-পুলিশ আলামিনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল মর্গে পাঠায় এবং তার বাবাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।