‘১৯৭১ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়’
পাবনা প্রতিনিধি | ১৮ মে, ২০২২ ১৭:৪৪
এমপিপুত্র দোলন
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে ভুল তথ্য দিয়ে বক্তব্য দেয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন পাবনার ঈশ্বরদীর যুবলীগ নেতা ও এমপিপুত্র দোলন বিশ্বাস।
গতকাল মঙ্গলবার পাবনা ৪ (ঈশ্বরদী–আটঘরিয়া) আসনের এমপি নুরুজ্জামান বিশ্বাসের পুত্র ভুল তথ্য উপস্থাপন করেন।
তার বক্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ওই ভিডিওতে বলতে শোনা যায়, আনন্দ মিছিল শেষে নেতা কর্মীর উদ্দেশ্যে পথসভায় বক্তব্য রাখছেন দোলন বিশ্বাস। শুরুতেই তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ১৭ মে সামরিক জিয়া সরকারের হুমকি উপেক্ষা করে দেশে ফেরেন শেখ হাসিনা। এর কিছুক্ষণ পড়েই আবারো তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। সামরিক সরকারের ষড়যন্ত্রে দীর্ঘদিন বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যাকে দেশে ফিরতে দেয়া হয়নি। পরে, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের আন্দোলনের মুখে সামরিক সরকার শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরতে দিতে বাধ্য হয়।
বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক ও মেসেঞ্জারে মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে। ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন এমপিপুত্র দোলন। বক্তব্যে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ১৯৮১ সালের ১৭ মের স্থলে ১৯৭১ সাল এবং বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড ১৯৭১ সালের ১৫ আগস্ট উল্লেখ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন একাধিক সাবেক ছাত্রনেতা। একই সঙ্গে ১৯৮১ সালে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নামের কোনো সংগঠন ছিল না। সেখানেও দোলন বিশ্বাস ইতিহাস বিকৃত করেছেন বলে মন্তব্য করেন।
পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি কামরুজ্জামান রঞ্জন বলেন, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির কলঙ্কিত দিন। ছোট শিশুরাও জানে কবে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছ। আওয়ামী লীগের নেত্রীর ফিরে আসার দিন ১৯৮১ সালের ১৭ মে, সেটিও আওয়ামী চেতনার প্রতিটি মানুষের কাছে আবেগের দিন। ঐতিহাসিক ঘটনা। আওয়ামী পরিবারের মানুষের কাছ থেকে এসব ঐতিহাসিক দিন নিয়ে ভুল মেনে নেয়া যায় না। ভুল তথ্য দিয়ে দিয়ে তিনি সবার কাছে হাসির পাত্র হয়েছেন। দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন।
ঈশ্বরদী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জুবায়ের বিশ্বাস মন্তব্য করেন, ঐতিহাসিক বিষয়ে ভুল ইতিহাস বিকৃতির সমান। বিষয়টি দুঃখজনক একই সঙ্গে লজ্জার।
তবে, বক্তব্যের তথ্যগত ভুল স্বীকার করে এমপিপুত্র দোলন বিশ্বাস বলেন, বিষয়টি স্লিপ আব টাং হয়েছে। গতকাল প্রচণ্ড গরমের মাঝেও নেত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের সবচেয়ে বড় মিছিল আমরা করেছি। মিছিল শেষে অনেক নেতা কর্মী অস্থির হয়ে পড়েছিল। দ্রুত প্রোগ্রাম শেষ করতে গিয়ে বক্তব্যে কিছুটা ভুল হয়েছে। বিষয়টির জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করেছি। ক্ষমাও চেয়েছি। উপজেলা যুবলীগের সম্মেলনে প্রার্থী হওয়ায় একটি মহল বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে আমাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
পাবনা প্রতিনিধি | ১৮ মে, ২০২২ ১৭:৪৪

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে ভুল তথ্য দিয়ে বক্তব্য দেয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন পাবনার ঈশ্বরদীর যুবলীগ নেতা ও এমপিপুত্র দোলন বিশ্বাস।
গতকাল মঙ্গলবার পাবনা ৪ (ঈশ্বরদী–আটঘরিয়া) আসনের এমপি নুরুজ্জামান বিশ্বাসের পুত্র ভুল তথ্য উপস্থাপন করেন।
তার বক্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ওই ভিডিওতে বলতে শোনা যায়, আনন্দ মিছিল শেষে নেতা কর্মীর উদ্দেশ্যে পথসভায় বক্তব্য রাখছেন দোলন বিশ্বাস। শুরুতেই তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ১৭ মে সামরিক জিয়া সরকারের হুমকি উপেক্ষা করে দেশে ফেরেন শেখ হাসিনা। এর কিছুক্ষণ পড়েই আবারো তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। সামরিক সরকারের ষড়যন্ত্রে দীর্ঘদিন বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যাকে দেশে ফিরতে দেয়া হয়নি। পরে, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের আন্দোলনের মুখে সামরিক সরকার শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরতে দিতে বাধ্য হয়।
বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক ও মেসেঞ্জারে মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে। ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন এমপিপুত্র দোলন। বক্তব্যে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ১৯৮১ সালের ১৭ মের স্থলে ১৯৭১ সাল এবং বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড ১৯৭১ সালের ১৫ আগস্ট উল্লেখ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন একাধিক সাবেক ছাত্রনেতা। একই সঙ্গে ১৯৮১ সালে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নামের কোনো সংগঠন ছিল না। সেখানেও দোলন বিশ্বাস ইতিহাস বিকৃত করেছেন বলে মন্তব্য করেন।
পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি কামরুজ্জামান রঞ্জন বলেন, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির কলঙ্কিত দিন। ছোট শিশুরাও জানে কবে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছ। আওয়ামী লীগের নেত্রীর ফিরে আসার দিন ১৯৮১ সালের ১৭ মে, সেটিও আওয়ামী চেতনার প্রতিটি মানুষের কাছে আবেগের দিন। ঐতিহাসিক ঘটনা। আওয়ামী পরিবারের মানুষের কাছ থেকে এসব ঐতিহাসিক দিন নিয়ে ভুল মেনে নেয়া যায় না। ভুল তথ্য দিয়ে দিয়ে তিনি সবার কাছে হাসির পাত্র হয়েছেন। দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন।
ঈশ্বরদী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জুবায়ের বিশ্বাস মন্তব্য করেন, ঐতিহাসিক বিষয়ে ভুল ইতিহাস বিকৃতির সমান। বিষয়টি দুঃখজনক একই সঙ্গে লজ্জার।
তবে, বক্তব্যের তথ্যগত ভুল স্বীকার করে এমপিপুত্র দোলন বিশ্বাস বলেন, বিষয়টি স্লিপ আব টাং হয়েছে। গতকাল প্রচণ্ড গরমের মাঝেও নেত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের সবচেয়ে বড় মিছিল আমরা করেছি। মিছিল শেষে অনেক নেতা কর্মী অস্থির হয়ে পড়েছিল। দ্রুত প্রোগ্রাম শেষ করতে গিয়ে বক্তব্যে কিছুটা ভুল হয়েছে। বিষয়টির জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করেছি। ক্ষমাও চেয়েছি। উপজেলা যুবলীগের সম্মেলনে প্রার্থী হওয়ায় একটি মহল বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে আমাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে।