বাসচাপায় ২ সচিব নিহতের এক যুগ পর জামিনে পলাতক চালকের নয় বছর জেল
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি | ২৪ মে, ২০২২ ২২:৫৮
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার উথলী সংযোগ মোড়ে বাসচাপায় দুই সচিব নিহতের ঘটনায় বাসচালককে নয় বছরের সশ্রম কারাদন্ডাদেশ ও দুই লাখ ছয় হাজার টাকার অর্থদণ্ড দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন মানিকগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক উৎপল ভট্টাচার্য্য।
নিহতরা হলেন মহিলাবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব রিজিয়া বেগম ও বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান।
দণ্ডাদেশ পাওয়া আসামি হলেন দ্রুতি পরিবহনের বাসচালক মো. আনোয়ার হোসেন। তিনি ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার কামার খেলা গ্রামের মৃত হানিফের ছেলে। তিনি বর্তমানে জামিনে পলাতক রয়েছেন।
আনোয়ারের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো প্রমাণিত হওয়ায় আদালত দণ্ডবিধির ১৮৬০ এর ২৭৯ ধারায় ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৩ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ৩০৪-খ ধারায় ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড, ৩৩৮-ক ধারায় ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৩ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৪২৭ ধারায় ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে।
বর্ণিত সাজাগুলো একটির পর একটি কার্যকর হবে। একই সাথে আসামির ওপর ৩০৪-খ ধারায় আরোপিত অর্থদণ্ডের টাকা আদায় করে নিহত দুই পরিবারকে সমহারে প্রদান করার নির্দেশও দেয় আদালত।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ৩১ জুলাই মহিলাবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব রিজিয়া বেগম ও বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান। পাজারো জিপ গাড়িতে করে গোপালগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। শিবালয় উপজেলার উথলী সংযোগ মোড়ে সকাল ৭টার দিকে দ্রতি পরিবহনের বাসটি তাদের গাড়িকে চাপা দেয়। এতে গুরুতর আহত হলে তাদের মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় সেদিনই বিসিক প্রধান কার্যালয় ঢাকার এজিএম মো. সামসুল হক বাদী হয়ে শিবালয় থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বরংগাইল হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এসআই নুরুল ইসলাম ভূইয়া ২০১০ সালে একজনের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ রায় ঘোষণা করা হয়।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি | ২৪ মে, ২০২২ ২২:৫৮

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার উথলী সংযোগ মোড়ে বাসচাপায় দুই সচিব নিহতের ঘটনায় বাসচালককে নয় বছরের সশ্রম কারাদন্ডাদেশ ও দুই লাখ ছয় হাজার টাকার অর্থদণ্ড দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন মানিকগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক উৎপল ভট্টাচার্য্য।
নিহতরা হলেন মহিলাবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব রিজিয়া বেগম ও বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান।
দণ্ডাদেশ পাওয়া আসামি হলেন দ্রুতি পরিবহনের বাসচালক মো. আনোয়ার হোসেন। তিনি ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার কামার খেলা গ্রামের মৃত হানিফের ছেলে। তিনি বর্তমানে জামিনে পলাতক রয়েছেন।
আনোয়ারের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো প্রমাণিত হওয়ায় আদালত দণ্ডবিধির ১৮৬০ এর ২৭৯ ধারায় ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৩ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ৩০৪-খ ধারায় ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড, ৩৩৮-ক ধারায় ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৩ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৪২৭ ধারায় ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে।
বর্ণিত সাজাগুলো একটির পর একটি কার্যকর হবে। একই সাথে আসামির ওপর ৩০৪-খ ধারায় আরোপিত অর্থদণ্ডের টাকা আদায় করে নিহত দুই পরিবারকে সমহারে প্রদান করার নির্দেশও দেয় আদালত।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ৩১ জুলাই মহিলাবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব রিজিয়া বেগম ও বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান। পাজারো জিপ গাড়িতে করে গোপালগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। শিবালয় উপজেলার উথলী সংযোগ মোড়ে সকাল ৭টার দিকে দ্রতি পরিবহনের বাসটি তাদের গাড়িকে চাপা দেয়। এতে গুরুতর আহত হলে তাদের মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় সেদিনই বিসিক প্রধান কার্যালয় ঢাকার এজিএম মো. সামসুল হক বাদী হয়ে শিবালয় থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বরংগাইল হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এসআই নুরুল ইসলাম ভূইয়া ২০১০ সালে একজনের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ রায় ঘোষণা করা হয়।