পদ্মা সেতু নিয়ে অপপ্রচারের অভিযোগে টিকটক হেলাল গ্রেপ্তার
শরীয়তপুর প্রতিনিধি | ২৫ মে, ২০২২ ১১:৪৮
পদ্মা সেতু নিয়ে টিকটক ভিডিও বানিয়ে অপপ্রচারের অভিযোগে হেলাল উদ্দিন ঢালী (২৩) নামের এক তরুণকে আটক করেছে সেনাবাহিনীর একটি টহলদল। সোমবার বিকেলে শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার পশ্চিম নাওডোবা এলাকার সেতুর ৪২ নন্বর পিলারের কাছ থেকে তাকে আটক করে।
পরে মঙ্গলবার জাজিরা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে তাকে শরীয়তপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
হেলাল উদ্দিন ঢালী শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বিকেনগর পূর্ব কাজীকান্দি গ্রামের সিরাজ ঢালীর ছেলে। তিনি পদ্মা সেতুর নদীশাসন প্রকল্পের স্থানীয় শ্রমিকের কাজ করতেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, হেলাল পদ্মা সেতুর নদীশাসন প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিনোহাইড্রোতে শ্রমিকের কাজ করতেন। সোমবার বিকেলে সেতুর নিরাপত্তায় নিয়োজিত শেখ রাসেল সেনানিবাসের সেনাসদস্যরা পশ্চিম নাওডোবা এলাকায় টহল দিচ্ছিলেন। তাঁরা দেখতে পান সেতুর ৪২ নন্বর পিলারের কাছে হেলাল উদ্দিন টিকটক ভিডিও বানাচ্ছেন। তখন তাঁকে আটক করা হয়। জব্দ করা হয় দুটি মুঠোফোন। মুঠোফোনে পদ্মা সেতু নিয়ে বিভিন্ন নেতিবাচক প্রচারণার টিকটক ভিডিও পাওয়া যায়। পরে সেনাসদস্যরা হেলালকে জাজিরায় নিয়ে যান। সেখানে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা দিয়ে মঙ্গলবার হেলালকে জাজিরা থানায় হস্তান্তর করেন সেনাসদস্যরা। জাজিরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে হেলালের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। এ মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে শরীয়তপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে হাজির করা হয়। বিচারক আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে হেলালকে জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
তথ্যটি নিশ্চিত করে মামলার বাদি এসআই জসিম উদ্দিন বলেন, হেলাল উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে সেতুর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অপপ্রচারমূলক ভিডিও বানাচ্ছিলেন। সেই ভিডিও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে এসব অভিযোগ স্বীকার করেছেন হেলাল।
জাজিরা থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইকরাম হোসেন বলেন, হেলালের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার পর শরীয়তপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে হাজির করা হয়। বিচারক আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
শরীয়তপুর প্রতিনিধি | ২৫ মে, ২০২২ ১১:৪৮

পদ্মা সেতু নিয়ে টিকটক ভিডিও বানিয়ে অপপ্রচারের অভিযোগে হেলাল উদ্দিন ঢালী (২৩) নামের এক তরুণকে আটক করেছে সেনাবাহিনীর একটি টহলদল। সোমবার বিকেলে শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার পশ্চিম নাওডোবা এলাকার সেতুর ৪২ নন্বর পিলারের কাছ থেকে তাকে আটক করে।
পরে মঙ্গলবার জাজিরা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে তাকে শরীয়তপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
হেলাল উদ্দিন ঢালী শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বিকেনগর পূর্ব কাজীকান্দি গ্রামের সিরাজ ঢালীর ছেলে। তিনি পদ্মা সেতুর নদীশাসন প্রকল্পের স্থানীয় শ্রমিকের কাজ করতেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, হেলাল পদ্মা সেতুর নদীশাসন প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিনোহাইড্রোতে শ্রমিকের কাজ করতেন। সোমবার বিকেলে সেতুর নিরাপত্তায় নিয়োজিত শেখ রাসেল সেনানিবাসের সেনাসদস্যরা পশ্চিম নাওডোবা এলাকায় টহল দিচ্ছিলেন। তাঁরা দেখতে পান সেতুর ৪২ নন্বর পিলারের কাছে হেলাল উদ্দিন টিকটক ভিডিও বানাচ্ছেন। তখন তাঁকে আটক করা হয়। জব্দ করা হয় দুটি মুঠোফোন। মুঠোফোনে পদ্মা সেতু নিয়ে বিভিন্ন নেতিবাচক প্রচারণার টিকটক ভিডিও পাওয়া যায়। পরে সেনাসদস্যরা হেলালকে জাজিরায় নিয়ে যান। সেখানে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা দিয়ে মঙ্গলবার হেলালকে জাজিরা থানায় হস্তান্তর করেন সেনাসদস্যরা। জাজিরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে হেলালের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। এ মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে শরীয়তপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে হাজির করা হয়। বিচারক আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে হেলালকে জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
তথ্যটি নিশ্চিত করে মামলার বাদি এসআই জসিম উদ্দিন বলেন, হেলাল উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে সেতুর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অপপ্রচারমূলক ভিডিও বানাচ্ছিলেন। সেই ভিডিও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে এসব অভিযোগ স্বীকার করেছেন হেলাল।
জাজিরা থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইকরাম হোসেন বলেন, হেলালের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার পর শরীয়তপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে হাজির করা হয়। বিচারক আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।