ফেনী জেনারেল হাসপাতালে রোগীর স্বজনকে পিটিয়ে আহত
ফেনী প্রতিনিধি | ২৩ জুন, ২০২২ ১৬:১৩
ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তিকৃত এক রোগীর স্বজনদের আটক করে লাঞ্ছিত ও পিটিয়েছেন হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মীরা। এতে হাসপাতালে হই-হট্টগোল সৃষ্টি হয়। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় জরুরি বিভাগের সামনে ঘটনাটি ঘটে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তিকৃত এক নারী রোগীকে (শাহানা আক্তার) দেখতে হাসপাতালে আসেন সুজা মিয়া ও তোফাজ্জল।
হাসপাতালে নিরাপত্তায় নিয়োজিত অস্থায়ী কর্মচারী শাহাদাত তাদেরকে হাসপাতালে প্রবেশ করতে বাধা দেন।
এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তাদের হাসপাতালের ভেতরে ঢুকিয়ে গেট বন্ধ করে দেয়। শাহাদাত ও অন্যান্য নিরাপত্তা কর্মীরাসহ রোগীর স্বজনদের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন।
এ সময় হাসপাতালে নিরাপত্তা নিয়োজিত পুলিশ থাকলেও তারা এগিয়ে আসে নাই। তাদের মারধরের ছবি ওঠানোর সময় ফেনী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও যুগান্তরের প্রতিনিধি যতন মজুমদারের মোবাইল ফোনটি শাহাদাত ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
কিছুক্ষণ পর ছবি মুছে ফেলার শর্তে অন্য কর্মচারীরা মোবাইল ফোনটি ফেরত দেন।
ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. ইকবাল হোসেন ভূঞা বলেন, একসাথে ২/৩ জন প্রবেশ করতে চাইলে নিরাপত্তা কর্মীরা বাধা দেয়। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়।
ফেনী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার মো. আবুল খায়ের মিয়াজী বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।
সাংবাদিকের মোবাইল ছিনিয়ে নেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, হাসপাতালে কারও ছবি বা ভিডিও করার অনুমতি নেই।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রোগীর স্বজনরা বলেন, হাসপাতালে প্রবেশ ফি ১০০ টাকা দিতে হয়। এ রকম প্রবেশ ফি কোনো সরকারি হাসপাতালে নেই। নিরাপত্তায় নিয়োজিত কর্মচারীরা টাকার বিনিময়ে স্বজনদের ভেতরে যেতে দেয়। টাকা না দিলে দুর্ব্যবহার করে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
ফেনী প্রতিনিধি | ২৩ জুন, ২০২২ ১৬:১৩

ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তিকৃত এক রোগীর স্বজনদের আটক করে লাঞ্ছিত ও পিটিয়েছেন হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মীরা। এতে হাসপাতালে হই-হট্টগোল সৃষ্টি হয়। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় জরুরি বিভাগের সামনে ঘটনাটি ঘটে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তিকৃত এক নারী রোগীকে (শাহানা আক্তার) দেখতে হাসপাতালে আসেন সুজা মিয়া ও তোফাজ্জল।
হাসপাতালে নিরাপত্তায় নিয়োজিত অস্থায়ী কর্মচারী শাহাদাত তাদেরকে হাসপাতালে প্রবেশ করতে বাধা দেন।
এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তাদের হাসপাতালের ভেতরে ঢুকিয়ে গেট বন্ধ করে দেয়। শাহাদাত ও অন্যান্য নিরাপত্তা কর্মীরাসহ রোগীর স্বজনদের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন।
এ সময় হাসপাতালে নিরাপত্তা নিয়োজিত পুলিশ থাকলেও তারা এগিয়ে আসে নাই। তাদের মারধরের ছবি ওঠানোর সময় ফেনী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও যুগান্তরের প্রতিনিধি যতন মজুমদারের মোবাইল ফোনটি শাহাদাত ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
কিছুক্ষণ পর ছবি মুছে ফেলার শর্তে অন্য কর্মচারীরা মোবাইল ফোনটি ফেরত দেন।
ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. ইকবাল হোসেন ভূঞা বলেন, একসাথে ২/৩ জন প্রবেশ করতে চাইলে নিরাপত্তা কর্মীরা বাধা দেয়। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়।
ফেনী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার মো. আবুল খায়ের মিয়াজী বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।
সাংবাদিকের মোবাইল ছিনিয়ে নেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, হাসপাতালে কারও ছবি বা ভিডিও করার অনুমতি নেই।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রোগীর স্বজনরা বলেন, হাসপাতালে প্রবেশ ফি ১০০ টাকা দিতে হয়। এ রকম প্রবেশ ফি কোনো সরকারি হাসপাতালে নেই। নিরাপত্তায় নিয়োজিত কর্মচারীরা টাকার বিনিময়ে স্বজনদের ভেতরে যেতে দেয়। টাকা না দিলে দুর্ব্যবহার করে।