ট্রলারডুবি: স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার পেল ত্রাণকর্মীরা
নেত্রকোনা প্রতিনিধি | ২৯ জুন, ২০২২ ১৫:২৪
বন্যা দুর্গতদের ত্রাণ বিতরণ করতে যাওয়ার সময় নেত্রকোনায় ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এরপর ৯৯৯ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে কলমাকান্দা থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের দল। তারা ত্রাণের কিছু অংশ উদ্ধার করতে সক্ষম হন।
এ ঘটনায় টাঙ্গাইল থেকে ত্রাণ নিয়ে আসা ১২ জন ব্যবসায়ী স্থানীয়দের সহায়তায় প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। কোন হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও তিন-চতুর্থাংশ ত্রাণের প্যাকেট ভিজে নষ্ট হয়েছে।
ত্রাণকর্মীরা জানান, ছয়শো ত্রাণের প্রতি প্যাকেটে রয়েছে সাত কেজি চাল, এক কেজি করে লবণ, ডাল, আলু ও পেঁয়াজ এবং আধা লিটার ভোজ্য তেল।
বুধবার সকালের দিকে নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় নোয়াগাঁও এলাকার সোনাডুবি হাওরে ট্রলার ডুবির ঘটনাটি ঘটে।
ত্রাণ নিয়ে আসা টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার কালিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও গাড়ি ব্যবসায়ী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম, ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও পোল্ট্রি ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম তালুকদারসহ ১২ জন। তারা একই এলাকার বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী।
আব্দুল হালিম বলেন, ত্রাণ নিয়ে সুনামগঞ্জের মহেষখোলার বাগলি এলাকার বন্যার্তদের মাঝে বিতরণের উদ্দেশে রওনা দেই। পথে নোয়াগাঁও এলাকার সোনাডুবি হাওরে আমাদের বহনকারী ট্রলারটির সঙ্গে ডুবন্ত একটি পিলারের ধাক্কা লাগে। এতে ট্রলারের তলদেশের কাঠ ছিদ্র হয়ে পানি ঢুকে ডুবে যেতে থাকে। ট্রলারের নিচে বেশিরভাগ ত্রাণের প্যাকেট ছিল। কিছু সংখ্যক প্যাকেট নিয়ে আমরা ওপরে বসে ছিলাম।
আরও বলেন, আশপাশের কয়েকটি ছোট ছোট নৌকা উদ্ধারে এগিয়ে এসে আমাদের প্রাণে রক্ষা করে। ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ত্রাণসহ ট্রলারটিকে উদ্ধার করে। ত্রাণের প্যাকেটগুলো চার ভাগের তিন ভাগ ভিজে যায়। উদ্ধারের পরে যেগুলো ভালো ছিল তা দুর্গতদের মাঝে বিতরণ করতে পেরেছি।
কলমাকান্দার থানার ওসি মো. আবদুল আহাদ খান জানান, ৯৯৯ কল পেয়ে হাওর থেকে লোকজনসহ ত্রাণের মালামাল উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসা হয়েছে। এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নেত্রকোনা প্রতিনিধি | ২৯ জুন, ২০২২ ১৫:২৪

বন্যা দুর্গতদের ত্রাণ বিতরণ করতে যাওয়ার সময় নেত্রকোনায় ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এরপর ৯৯৯ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে কলমাকান্দা থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের দল। তারা ত্রাণের কিছু অংশ উদ্ধার করতে সক্ষম হন।
এ ঘটনায় টাঙ্গাইল থেকে ত্রাণ নিয়ে আসা ১২ জন ব্যবসায়ী স্থানীয়দের সহায়তায় প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। কোন হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও তিন-চতুর্থাংশ ত্রাণের প্যাকেট ভিজে নষ্ট হয়েছে।
ত্রাণকর্মীরা জানান, ছয়শো ত্রাণের প্রতি প্যাকেটে রয়েছে সাত কেজি চাল, এক কেজি করে লবণ, ডাল, আলু ও পেঁয়াজ এবং আধা লিটার ভোজ্য তেল।
বুধবার সকালের দিকে নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় নোয়াগাঁও এলাকার সোনাডুবি হাওরে ট্রলার ডুবির ঘটনাটি ঘটে।
ত্রাণ নিয়ে আসা টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার কালিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও গাড়ি ব্যবসায়ী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম, ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও পোল্ট্রি ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম তালুকদারসহ ১২ জন। তারা একই এলাকার বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী।
আব্দুল হালিম বলেন, ত্রাণ নিয়ে সুনামগঞ্জের মহেষখোলার বাগলি এলাকার বন্যার্তদের মাঝে বিতরণের উদ্দেশে রওনা দেই। পথে নোয়াগাঁও এলাকার সোনাডুবি হাওরে আমাদের বহনকারী ট্রলারটির সঙ্গে ডুবন্ত একটি পিলারের ধাক্কা লাগে। এতে ট্রলারের তলদেশের কাঠ ছিদ্র হয়ে পানি ঢুকে ডুবে যেতে থাকে। ট্রলারের নিচে বেশিরভাগ ত্রাণের প্যাকেট ছিল। কিছু সংখ্যক প্যাকেট নিয়ে আমরা ওপরে বসে ছিলাম।
আরও বলেন, আশপাশের কয়েকটি ছোট ছোট নৌকা উদ্ধারে এগিয়ে এসে আমাদের প্রাণে রক্ষা করে। ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ত্রাণসহ ট্রলারটিকে উদ্ধার করে। ত্রাণের প্যাকেটগুলো চার ভাগের তিন ভাগ ভিজে যায়। উদ্ধারের পরে যেগুলো ভালো ছিল তা দুর্গতদের মাঝে বিতরণ করতে পেরেছি।
কলমাকান্দার থানার ওসি মো. আবদুল আহাদ খান জানান, ৯৯৯ কল পেয়ে হাওর থেকে লোকজনসহ ত্রাণের মালামাল উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসা হয়েছে। এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।