শেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজার বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। গত ২৬ জুন রেজা শহরের নবীনগর মহল্লার আউয়াল নামে এক ব্যবসায়ীর ওপর হামলা চালান বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় মামলা দায়ের হলেও আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী।

রোববার দুপুরে শহরের নিউমার্কেট মোড়ে জেলা মোটরযান ওয়ার্কশপ শ্রমিক ইউনিয়ন ও এলাকাবাসীর পক্ষে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় মোটরযান শ্রমিক নেতা, স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ ও পরিবারের সদস্যরা বক্তব্য রাখেন। বক্তারা দ্রুত ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজাসহ মামলার এজাহারভুক্ত সব আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানান।

মামলা সূত্র এবং পরিবারের সদস্যরা জানায়, গত ২৬ জুন রাতে শহরের নবীনগর মহল্লায় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা তার দলবল নিয়ে জেলা মোটরযান ওয়ার্কশপ শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান বুদুর ছেলে জিহাদ ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের মালিক ব্যবসায়ী আব্দুল আউয়ালের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে তার মাথার খুলি ফেটে মগজ বের হয়ে যায়। পরে তাকে প্রথমে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে ঢাকায় সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

তার অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন বলে পরিবারের সদস্যরা জানান।

এ ঘটনায় ওই রাতেই আব্দুল আউয়ালের বড় ভাই মো. কামাল হোসেন বাদী হয়ে ১১ জনকে ও অজ্ঞাত আরো ১০/১২ জনকে আসামি করে হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। এ হামলার চার দিন পর ১ জুলাই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ শেরপুর জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মো. হান্নান মিয়া জানায়, ওই ব্যবসায়ীর ওপর হামলা মামলায় প্রধান আসামি ছাত্রলীগ নেতা রেজাউল করিম রেজাসহ অন্যদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে । আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যে আশা করি সব আসামিকে গ্রেপ্তারে সক্ষম হব। আমরা সেভাবেই এগিয়ে যাচ্ছি। এ ব্যাপারে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।