শিশু ছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলা: না জানাতে কোরআন ছুঁইয়ে শপথ!
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি | ৩ জুলাই, ২০২২ ২০:৩৮
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় এক মাদ্রাসাছাত্রী (৯) দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের ঘটনা কাউকে না জানাতে ওই ছাত্রীকে পবিত্র কোরআন ছুঁইয়ে শপথ করানো হয় বলেও অভিযোগ। ধর্ষণের পর ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে জানা যায় তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এরপর শিশুটি বাবা-মাকে বিস্তারিত জানায়।
এ ঘটনায় রোববার (৩ জুলাই) সকালে ভুক্তভোগী ওই শিশু ছাত্রীর মা বাদী হয়ে দুজনের নাম উল্লেখ করে আড়াইহাজার থানায় মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হলেন উপজেলার চনপাড়ার আল মাহি (২২) ও একই এলাকার মো. আসলাম (১৮)।
মামলায় ওই ছাত্রীর মা উল্লেখ করেন, ভুক্তভোগী স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ২য় শ্রেণির ছাত্রী। ওই ছাত্রী রফিকুলের বাড়িতে প্রাইভেট পড়তে যায়। এ সময় তার সঙ্গে পড়তে যেত আল মাহি ও মো. আসলাম। তারা বিভিন্ন সময় ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করত ও স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালাত। গত ২৯ জুলাই রাত ৮টায় প্রাইভেট পড়া শেষে মো. আসলাম ও আল মাহি দুজন মিলে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। পরে এ বিষয়ে কাউকে না জানাতে ওই ছাত্রীকে পবিত্র কোরআন ছুঁইয়ে শপথ করানো হয় এবং বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখানো হয়।
আড়াইহাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিজুল হক হাওলাদার বলেন, ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে দুজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ওই ছাত্রীকে চিকিৎসার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি | ৩ জুলাই, ২০২২ ২০:৩৮

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় এক মাদ্রাসাছাত্রী (৯) দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের ঘটনা কাউকে না জানাতে ওই ছাত্রীকে পবিত্র কোরআন ছুঁইয়ে শপথ করানো হয় বলেও অভিযোগ। ধর্ষণের পর ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে জানা যায় তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এরপর শিশুটি বাবা-মাকে বিস্তারিত জানায়।
এ ঘটনায় রোববার (৩ জুলাই) সকালে ভুক্তভোগী ওই শিশু ছাত্রীর মা বাদী হয়ে দুজনের নাম উল্লেখ করে আড়াইহাজার থানায় মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হলেন উপজেলার চনপাড়ার আল মাহি (২২) ও একই এলাকার মো. আসলাম (১৮)।
মামলায় ওই ছাত্রীর মা উল্লেখ করেন, ভুক্তভোগী স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ২য় শ্রেণির ছাত্রী। ওই ছাত্রী রফিকুলের বাড়িতে প্রাইভেট পড়তে যায়। এ সময় তার সঙ্গে পড়তে যেত আল মাহি ও মো. আসলাম। তারা বিভিন্ন সময় ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করত ও স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালাত। গত ২৯ জুলাই রাত ৮টায় প্রাইভেট পড়া শেষে মো. আসলাম ও আল মাহি দুজন মিলে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। পরে এ বিষয়ে কাউকে না জানাতে ওই ছাত্রীকে পবিত্র কোরআন ছুঁইয়ে শপথ করানো হয় এবং বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখানো হয়।
আড়াইহাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিজুল হক হাওলাদার বলেন, ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে দুজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ওই ছাত্রীকে চিকিৎসার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।