শ্রীপুরে রিসোর্ট থেকে মহাবিপন্ন দুটি মায়া হরিণ উদ্ধার
রেজাউল করিম সোহাগ, শ্রীপুর | ৩ জুলাই, ২০২২ ২১:৪৮
গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি রিসোর্ট থেকে দুটি মায়া হরিণ উদ্ধার করেছে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট। রবিবার বিকেলে রাজাবাড়ি ইউনিয়নের চিনাশুখানিয়া গ্রামের সারাহ্ রিসোর্ট থেকে হরিণ দুটি উদ্ধার করা হয়। পরে উদ্ধার দুটি হরিণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের হরিণ বেষ্টনীতে অবমুক্ত করা হয়।
উদ্ধার অভিযানের সাফারি পার্কে কর্মকর্তারাও সঙ্গে ছিলেন।
জানা গেছে, বিপন্ন মায়ার হরিণ পালন বেআইনি বিষয়টি জানার পর পার্ক কর্তৃপক্ষ হরিণ দুটি হস্তান্তর করতে রাজি হয়। প্রথমে দিতে রাজি না হলেও পরে আইনের বাস্তবতা তুলে ধরা হলে তাদের ভুল স্বীকার করে দুটি হরিণ হস্তান্তর করে। ঢাকা বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিদর্শক (ওসি) নার্গিস সুলতানা লিজা হরিণ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের জুনিয়র ওয়াইল্ড লাইফ স্কাউট সাদেকুল ইসলাম জানান, রবিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সারাহ্ রিসোর্ট থেকে উদ্ধার হওয়া দুটি মায়া হরিণ গাড়ি করে নিয়ে গাজীপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে হস্তান্তর করা হয়। উদ্ধারের সময় পার্কে ভেটেরিনারি সার্জন ও বন বিভাগের অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিদর্শক (ওসি) নার্গিস সুলতানা লিজা দেশ রূপান্তরকে বলেন, আমরা গাজীপুরের বিভিন্ন রিসোর্টে খোঁজ রাখছি কোনো বন্যপ্রাণী আটকে রাখা হচ্ছে কি না। এমন কাজের মাধ্যমে জানতে পারি সারাহ্ রিসোর্টে দুটি মহাবিপন্ন মায়া হরিণ রাখা আছে। পরে সে দুটি জব্দ করা হয়। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বললে প্রথমে দিতে রাজি হয়নি। পরে বন্যপ্রাণী আইন সম্পর্কে বিস্তারিত অবহিত করা হয়। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন ২০১২ তাদের বোঝানো হয়। পরে তারা ভুল স্বীকার করে আমাদের কাছে দুটি মায়া হরিণ হস্তান্তর করে।
তিনি বলেন, ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী আইন অনুযায়ী হরিণের এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত ও বাংলাদেশে মহাবিপন্ন। এটি এখনো অল্প কিছু সুন্দরবনসহ আশপাশের পাহাড়ি এলাকায় দেখা যায়।
তিনি জানান, দুটি হরিণের মধ্যে একটি নারী অন্যটি পুরুষ। উদ্ধারের পর হরিণ দুটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে সাফারি পার্কের হরিণ বেষ্টনীতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। হরিণ জব্দ করার সময় শ্রীপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা মীর বজলুর রহমানও আমাদের সঙ্গে ছিলেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
রেজাউল করিম সোহাগ, শ্রীপুর | ৩ জুলাই, ২০২২ ২১:৪৮

গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি রিসোর্ট থেকে দুটি মায়া হরিণ উদ্ধার করেছে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট। রবিবার বিকেলে রাজাবাড়ি ইউনিয়নের চিনাশুখানিয়া গ্রামের সারাহ্ রিসোর্ট থেকে হরিণ দুটি উদ্ধার করা হয়। পরে উদ্ধার দুটি হরিণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের হরিণ বেষ্টনীতে অবমুক্ত করা হয়।
উদ্ধার অভিযানের সাফারি পার্কে কর্মকর্তারাও সঙ্গে ছিলেন।
জানা গেছে, বিপন্ন মায়ার হরিণ পালন বেআইনি বিষয়টি জানার পর পার্ক কর্তৃপক্ষ হরিণ দুটি হস্তান্তর করতে রাজি হয়। প্রথমে দিতে রাজি না হলেও পরে আইনের বাস্তবতা তুলে ধরা হলে তাদের ভুল স্বীকার করে দুটি হরিণ হস্তান্তর করে। ঢাকা বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিদর্শক (ওসি) নার্গিস সুলতানা লিজা হরিণ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের জুনিয়র ওয়াইল্ড লাইফ স্কাউট সাদেকুল ইসলাম জানান, রবিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সারাহ্ রিসোর্ট থেকে উদ্ধার হওয়া দুটি মায়া হরিণ গাড়ি করে নিয়ে গাজীপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে হস্তান্তর করা হয়। উদ্ধারের সময় পার্কে ভেটেরিনারি সার্জন ও বন বিভাগের অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিদর্শক (ওসি) নার্গিস সুলতানা লিজা দেশ রূপান্তরকে বলেন, আমরা গাজীপুরের বিভিন্ন রিসোর্টে খোঁজ রাখছি কোনো বন্যপ্রাণী আটকে রাখা হচ্ছে কি না। এমন কাজের মাধ্যমে জানতে পারি সারাহ্ রিসোর্টে দুটি মহাবিপন্ন মায়া হরিণ রাখা আছে। পরে সে দুটি জব্দ করা হয়। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বললে প্রথমে দিতে রাজি হয়নি। পরে বন্যপ্রাণী আইন সম্পর্কে বিস্তারিত অবহিত করা হয়। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন ২০১২ তাদের বোঝানো হয়। পরে তারা ভুল স্বীকার করে আমাদের কাছে দুটি মায়া হরিণ হস্তান্তর করে।
তিনি বলেন, ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী আইন অনুযায়ী হরিণের এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত ও বাংলাদেশে মহাবিপন্ন। এটি এখনো অল্প কিছু সুন্দরবনসহ আশপাশের পাহাড়ি এলাকায় দেখা যায়।
তিনি জানান, দুটি হরিণের মধ্যে একটি নারী অন্যটি পুরুষ। উদ্ধারের পর হরিণ দুটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে সাফারি পার্কের হরিণ বেষ্টনীতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। হরিণ জব্দ করার সময় শ্রীপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা মীর বজলুর রহমানও আমাদের সঙ্গে ছিলেন।