চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে বাড়ি নির্মাণ, অবরুদ্ধ ৯ পরিবার
দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি | ৬ জুলাই, ২০২২ ১৩:১৯
কোনো প্রকার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বাড়ি নির্মাণকাজ শুরু করায় ৯টি পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছে।
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের পেন্নাই হাজারী বাড়ির ভুক্তভোগী পরিবারগুলো এমন অভিযোগ তোলেন প্রতিবেশী খালেক হাজারীর বিরুদ্ধে।
প্রায় শত বছরের চলাচলের পথ বন্ধ করে ইমারত নির্মাণকাজ শুরু করায় যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে ওই পরিবারগুলোর।
অভিযোগ রয়েছে, বিষয়গুলো ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো সুরাহা পায়নি ভুক্তভোগী পরিবারগুলো। এতে কালাম হাজারী, প্রবাসী সফিক হাজারী ও জাকির হাজারীসহ ৯টি পরিবারের চলাচলের একমাত্র পথ বন্ধ হয়ে যায়।
ভুক্তভোগী কালাম হাজারী, জাকির হাজারী ও সেলিম হাজারী জানান, গৌরীপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পেন্নাই হাজারী বাড়ির প্রতিবেশী হাজী খালেক হাজারী বাড়িতে বহুতল ভবন নির্মাণ শুরু করেন।
স্থানীয়ভাবে চলাচলের পথ রেখে কাজ করার জন্য বলা হলেও তিনি শুনেননি।
পরে আমরা চেয়ারম্যানের নিকট সমাধানের জন্য মঙ্গলবার (৫ জুলাই) লিখিত দরখাস্ত করি। চেয়ারম্যানের নোটিশ নিয়ে দফাদার মমিন খালেক হাজারীর বাড়িতে গেলে নোটিশ গ্রহণ না করে উল্টো গালাগালি করে।
পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং গৌরীপুর পুলিশ ফাঁড়িতে লিখিত আবেদন করেও কোন সুরাহা হয়নি। বরং অভিযোগ করায় উল্টো আমাদের নামে মামলা করার হুমকি দেয়।
ভুক্তভোগীরা আরও জানান, বর্তমানে বাড়িতে প্রবেশের পথ একেবারেই বন্ধ করে দেওয়ায় কোনো প্রকার দুর্যোগ কিংবা দুর্ঘটনা ঘটলে, কেউ অসুস্থ হলে কোন প্রকার অ্যাম্বুলেন্স বা ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি অথবা কোন চিকিৎসক, উদ্ধারকর্মী যাতায়াত করতে পারবেন না।
এমনকি কেউ মারা গেলে খাটিয়ায় মরদেহ বের করাও সম্ভব হবে না। এ জন্যই আমরা রাস্তার জায়গার বিনিময়ে খালেক হাজারীকে অন্যদিকে জায়গা দিতেও চেয়েছি।
অভিযোগের বিষয়ে খালেক হাজারী বলেন, আমার মালিকানাধীন জায়গায় আমি ঘর করছি। তাদের দাবি মতে পাঁচ ফুট রাস্তা আমি দিতে পারবো না।
গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ রাকিবুল হাসান বলেন, ভুক্তভোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি সমাধানের জন্য উভয় পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলাম। কিন্তু খালেক হাজারীর অনড় অবস্থানের কারণে বিষয়টি মীমাংসা করা যায়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিনুল হাসান বলেন, ভুক্তভোগীদের অভিযোগ পেয়েছি, সরেজমিনে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি | ৬ জুলাই, ২০২২ ১৩:১৯

কোনো প্রকার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বাড়ি নির্মাণকাজ শুরু করায় ৯টি পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছে।
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের পেন্নাই হাজারী বাড়ির ভুক্তভোগী পরিবারগুলো এমন অভিযোগ তোলেন প্রতিবেশী খালেক হাজারীর বিরুদ্ধে।
প্রায় শত বছরের চলাচলের পথ বন্ধ করে ইমারত নির্মাণকাজ শুরু করায় যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে ওই পরিবারগুলোর।
অভিযোগ রয়েছে, বিষয়গুলো ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো সুরাহা পায়নি ভুক্তভোগী পরিবারগুলো। এতে কালাম হাজারী, প্রবাসী সফিক হাজারী ও জাকির হাজারীসহ ৯টি পরিবারের চলাচলের একমাত্র পথ বন্ধ হয়ে যায়।
ভুক্তভোগী কালাম হাজারী, জাকির হাজারী ও সেলিম হাজারী জানান, গৌরীপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পেন্নাই হাজারী বাড়ির প্রতিবেশী হাজী খালেক হাজারী বাড়িতে বহুতল ভবন নির্মাণ শুরু করেন।
স্থানীয়ভাবে চলাচলের পথ রেখে কাজ করার জন্য বলা হলেও তিনি শুনেননি।
পরে আমরা চেয়ারম্যানের নিকট সমাধানের জন্য মঙ্গলবার (৫ জুলাই) লিখিত দরখাস্ত করি। চেয়ারম্যানের নোটিশ নিয়ে দফাদার মমিন খালেক হাজারীর বাড়িতে গেলে নোটিশ গ্রহণ না করে উল্টো গালাগালি করে।
পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং গৌরীপুর পুলিশ ফাঁড়িতে লিখিত আবেদন করেও কোন সুরাহা হয়নি। বরং অভিযোগ করায় উল্টো আমাদের নামে মামলা করার হুমকি দেয়।
ভুক্তভোগীরা আরও জানান, বর্তমানে বাড়িতে প্রবেশের পথ একেবারেই বন্ধ করে দেওয়ায় কোনো প্রকার দুর্যোগ কিংবা দুর্ঘটনা ঘটলে, কেউ অসুস্থ হলে কোন প্রকার অ্যাম্বুলেন্স বা ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি অথবা কোন চিকিৎসক, উদ্ধারকর্মী যাতায়াত করতে পারবেন না।
এমনকি কেউ মারা গেলে খাটিয়ায় মরদেহ বের করাও সম্ভব হবে না। এ জন্যই আমরা রাস্তার জায়গার বিনিময়ে খালেক হাজারীকে অন্যদিকে জায়গা দিতেও চেয়েছি। অভিযোগের বিষয়ে খালেক হাজারী বলেন, আমার মালিকানাধীন জায়গায় আমি ঘর করছি। তাদের দাবি মতে পাঁচ ফুট রাস্তা আমি দিতে পারবো না।
গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ রাকিবুল হাসান বলেন, ভুক্তভোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি সমাধানের জন্য উভয় পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলাম। কিন্তু খালেক হাজারীর অনড় অবস্থানের কারণে বিষয়টি মীমাংসা করা যায়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিনুল হাসান বলেন, ভুক্তভোগীদের অভিযোগ পেয়েছি, সরেজমিনে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।