বন্ধুর বোনের সঙ্গে প্রেম করায় সামাদকে হত্যা
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি | ৬ জুলাই, ২০২২ ১৬:১৫
ময়মনসিংহের তারাকান্দায় অটোরিকশা চালক আবদুস সামাদ হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুই সহোদরসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ।
ছোট বোনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক থাকায় সামাদকে হত্যার পর মরদেহ সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখেন দুই সহোদর ও তাদের বন্ধুরা।
বুধবার (৬ জুলাই) জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন উপজেলার দাদরা এলাকার মো. আলাল উদ্দিনের ছেলে মো. রবিন মিয়া (১৯), তার বড় ভাই মো. রোহান মিয়া (২৪), হাটপাড়া গ্রামের মো. মুস্তাফিজুর রহমান নাঈম (১৯) ও পঙ্গুয়াই গ্রামের মো. শাহীনুর ইসলাম (২২)। বুধবার দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ওসি আরও জানান, গ্রেপ্তার রবিন মিয়া নিহত অটোরিকশা চালক সামাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। বন্ধুর বাড়িতে আসা-যাওয়ার সুবাদে রবিনের ছোট বোনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে সামাদের। বিষয়টি জানাজানি হলে রবিন ও রোহান হত্যার পরিকল্পনা করে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী গত সোমবার সন্ধ্যার দিকে সামাদের অটোরিকশা নিয়ে বিভিন্ন জায়গা ঘোরাফেরা করে রাত সাড়ে ৮টার দিকে পঙ্গুয়াই উমেদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে নিয়ে যায় রবিন, রোহান ও নাঈম। সেখানে ঝোপের আড়ালে আগেই ওত পেতে ছিল শাহীনসহ আরও দুজন। পরে সামাদকে প্লাস্টিকের রশি পেঁচিয়ে হত্যা করে স্কুলের সেপটিক ট্যাংকে মরদেহ ফেলে রাখে তারা।
পরে মঙ্গলবার সকালে স্কুলের পাশে অটোরিকশা দেখে আশপাশে সামাদকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে লোকজন। এক পর্যায়ে সেপটিক ট্যাংকে লাশ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় নিহত সামাদের বাবা শাহজাহান মিয়া অজ্ঞাত আসামি করে তারাকান্দা থানায় হত্যা মামলা করেন। এরপরই অভিযানে নামে জেলা ডিবি পুলিশ। লাশ উদ্ধারের ৮ ঘণ্টার মধ্যেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনের দাবি করছে পুলিশ।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি | ৬ জুলাই, ২০২২ ১৬:১৫

ময়মনসিংহের তারাকান্দায় অটোরিকশা চালক আবদুস সামাদ হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুই সহোদরসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ।
ছোট বোনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক থাকায় সামাদকে হত্যার পর মরদেহ সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখেন দুই সহোদর ও তাদের বন্ধুরা।
বুধবার (৬ জুলাই) জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন উপজেলার দাদরা এলাকার মো. আলাল উদ্দিনের ছেলে মো. রবিন মিয়া (১৯), তার বড় ভাই মো. রোহান মিয়া (২৪), হাটপাড়া গ্রামের মো. মুস্তাফিজুর রহমান নাঈম (১৯) ও পঙ্গুয়াই গ্রামের মো. শাহীনুর ইসলাম (২২)। বুধবার দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ওসি আরও জানান, গ্রেপ্তার রবিন মিয়া নিহত অটোরিকশা চালক সামাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। বন্ধুর বাড়িতে আসা-যাওয়ার সুবাদে রবিনের ছোট বোনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে সামাদের। বিষয়টি জানাজানি হলে রবিন ও রোহান হত্যার পরিকল্পনা করে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী গত সোমবার সন্ধ্যার দিকে সামাদের অটোরিকশা নিয়ে বিভিন্ন জায়গা ঘোরাফেরা করে রাত সাড়ে ৮টার দিকে পঙ্গুয়াই উমেদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে নিয়ে যায় রবিন, রোহান ও নাঈম। সেখানে ঝোপের আড়ালে আগেই ওত পেতে ছিল শাহীনসহ আরও দুজন। পরে সামাদকে প্লাস্টিকের রশি পেঁচিয়ে হত্যা করে স্কুলের সেপটিক ট্যাংকে মরদেহ ফেলে রাখে তারা।
পরে মঙ্গলবার সকালে স্কুলের পাশে অটোরিকশা দেখে আশপাশে সামাদকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে লোকজন। এক পর্যায়ে সেপটিক ট্যাংকে লাশ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় নিহত সামাদের বাবা শাহজাহান মিয়া অজ্ঞাত আসামি করে তারাকান্দা থানায় হত্যা মামলা করেন। এরপরই অভিযানে নামে জেলা ডিবি পুলিশ। লাশ উদ্ধারের ৮ ঘণ্টার মধ্যেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনের দাবি করছে পুলিশ।