
ফরিদপুরের মধুখালীতে সন্তানকে দত্তক না দেওয়ায় বাবা ও তার ভাইকে স্কুলে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার নয় দিন পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হয়। গত ১৭মার্চ মধুখালী উপজেলার জাহাপুর ইউনিয়নের আড়ুয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ক্লাসরুমে এ ঘটনা ঘটে।
মেয়েকে দত্তক না দেওয়ায় স্কুলের শিক্ষক লিপি আক্তারের নির্দেশে নির্যাতন চালানো হয় বলে দাবি করেছেন নির্যাতনের শিকার ইয়ামিন মৃধা।
নির্যাতনের শিকার ইয়ামিন মৃধা বাদি হয়ে ২০মার্চ ঘটনার মূল হোতা মো. কুতুবউদ্দিন, ফয়সাল ও জহিরুলসহ অজ্ঞাত ৮-১০জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।
জানা যায়, ইয়ামিন তার ছেলে-মেয়েকে নিয়ে মাঝকান্দি এলাকায় ভাড়া থাকেন। মেয়েটি আড়ুয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী।
নির্যাতনের শিকার ইয়ামিন মৃধা জানান, আমার মেয়ে ইভাকে স্কুলে ভর্তি করার পর থেকে ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক লিপি আক্তার নিঃসন্তান হওয়ায় ইভাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে দত্তক নেওয়ার চেষ্টা করেন। মাস দুই আগে ইভাকে ওই শিক্ষক আমাকে না বলে তার বাড়িতে নিয়ে প্রায় সপ্তাহ খানিক রাখেন। নির্যাতনের ঘটনার তিনদিন আগে ইভাকে পুনরায় আমাকে না জানিয়ে তার বাড়িতে নিয়ে যান।
তিনি জানান, আমরা খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে জানতে পারি ওই শিক্ষকের ফরিদপুরের বাসায় ইভা আছে। পরে শিক্ষক লিপি আক্তারকে ফোন দিলে তিনি শুক্রবার (১৭ মার্চ) আমাকে ও ছেলেকে স্কুলে যেতে বলেন। প্রথমে আমি ছেলেকে স্কুলে পাঠালে তাকে আটকিয়ে রেখে আমাকে যেতে বলেন। আমি স্কুলেব যাওয়ার পর কুতুব উদ্দিনসহ আসামিরা মেয়েকে স্ট্যাম্পে লিখে দিতে বলে। তাদের কথায় রাজি না হওয়ায় আমাদের ওপর নির্যাতন চালান তারা।
তবে সহকারী শিক্ষক লিপি আক্তার তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি দশরথ চন্দ্র দাস বলেন, স্কুলে এত বড় একটা ঘটনা ঘটলেও তা প্রধান শিক্ষক আমাকে জানাননি। লোক মারফত জানতে পারি। তবে বাবা-ছেলেকে স্কুলের মধ্যে মারধরের একটি ভিডিও আমি শনিবার দেখেছি। এ রকম খারাপ কাজ যারা করেছে তাদের কঠিন শাস্তির আওতায় আনা হোক।
প্রধান শিক্ষক মো. কবিরুজ্জামান বলেন, বাবা-ছেলেকে পেটানোর ঘটনা জানার পর পুলিশকে খবর দেই। পুলিশ তাদের নিয়ে যায়। এমন ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে আমার জানা ছিল না।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য বা শিক্ষকরা জড়িত আছেন কি না সেটাও খতিয়ে দেখা হবে।
মধুখালী থানার ওসি মো. সহিদুল ইসলাম জানান, এক কিশোর ও তার বাবাকে নির্যাতনের অভিযোগে গত ২০ মার্চ থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলার পরপরই দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় রবিবার ফয়সাল নামে আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, দুধকুমার ও তিস্তা নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন আতঙ্কে দিন পার করছেন নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। ভাঙনে রোধে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙনরোধের চেষ্টা করা হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১ মাসে জেলার উলিপুর, চিলমারী ও কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ধরলা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে বাড়িঘর শত শত বিঘা আবাদি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের চর ভগবতীপুরে তীব্র ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে।
ফলে চরভগবতীপুরে উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি মসজিদ নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। এ ছাড়া হুমকির মুখে পড়েছে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক। সড়িয়ে নেওয়া হচ্ছে একটি আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দাদের।
সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের চর ভগবতীপুর এলাকার নুর ইসলাম বলেন, গত এক সপ্তাহে আমার দুই বিঘা আবাদি জমি নদীতে চলে গেছে। এখনও বন্যা আসে নাই এতেই যে ভাঙনের অবস্থা। পরে যে কি হবে বলা যাচ্ছে না।
চরভগবতীপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিন ধরে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে অনেক জমি বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। আমাদের কমিউনিটি ক্লিনিকটি ভাঙনের মুখে। গতকাল ক্লিনিকটির স্থাপনা নিলামে তোলা হয়েছিল। সরকারি শিডিউল অনুযায়ী মূল্য না ওঠায় বিক্রি করা সম্ভব হয় নাই। আজকে যে অবস্থা দেখছি যেকোনো মুহূর্তে ক্লিনিকটি নদী গর্ভে বিলীন হতে পারে।
আমরা ক্লিনিকের ভেতরে সব আসবাব পত্র ও ওষুধ অন্য জায়গায় নিয়েছি। অস্থায়ী ভাবে সেখানে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে।
সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর বলেন, গত দুই সপ্তাহে আমার ইউনিয়নের চরভগবতীপুর গ্রামের প্রায় ৩৬টি বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। এদিকে একটি মাধ্যমিক স্কুল, একটি মসজিদ নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.নজরুল ইসলাম বলেন,অনেক চেষ্টা করেও ক্লিনিকটি রক্ষা করা গেলো না। আবার কবে ওই চরে ক্লিনিকের স্থাপনা হবে জানি না। তবে অস্থায়ী ভাবে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
কুড়িগ্রামের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়ছে। তবে মাত্রা কম। চরাঞ্চলে কিছু ভাঙন রয়েছে। এদিকে যাত্রাপুর ইউনিয়নের চর ভগবতীপুরের ভাঙন প্রতিরোধে জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের যথাসাধ্য চেষ্টা করছি আমরা।
নরসিংদীতে ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে বিরোধে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত আশরাফুল ইসলাম কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য ছিল না বলে দাবি করেছে পরিবার।
নিহত আশরাফুলের বাবা নরসিংদী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো. নাজমুল ইসলাম দুই সন্তানের জনক। তাদের মধ্যে আশরাফুল ছোট ।
তিনি বলেন, আলরফুল শহরের ভেলানগরের অরবিট পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে ১ম বর্ষের ছাত্র ছিল। বড় মেয়ে একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী। আশরাফুলের বয়স হয়েছিল ১৬ বছর ৪ মাস। সে কখনো কোনো রাজনৈতিক দলে সম্পৃক্ত ছিল না। সে কখনো ছাত্রদলের কোনো মিছিল-মিটিংয়ে যায়নি। অথচ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লেখা হয়েছে সে ছাত্র দল নেতা। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
গত ২৫ মে বিকেলে অরবিট পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে ক্লাশ শেষে বাসায় ফেরার পথে নরসিংদীর জেলখানার মোড় এলাকায় পৌঁছালে দুষ্কৃতিকারীদের গুলিতে আহত হয়ে পরদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে আশরাফুল।
এ ঘটনার পর পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়া। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে শিক্ষক বাবা নাজমুল হোসেন বলেন, আমার জীবনের সব কিছু শেষ হয়ে গেল ভাই। আমার আর বেঁচে থাকার কোনো ইচ্ছা নেই। তার মা ও বোনেরও একই অবস্থা।
অরবিট কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এনামুল হক জানান, ঘটনার দিন আড়াইটা পর্যন্ত সে কলেজে ছিল।
আশরাফুল গত ৪ মাস আগে এখানে ভর্তি হওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, সে ক্লাসে শতভাগ উপস্থিত থাকত না। তবে খুব মিশুক প্রকৃতির ছেলে ছিল।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ক্লাস শেষে সে তার সাটিরপাড়ার বাসায় চলে যায়। প্রতিবেশী রেজিয়ার ছেলে মোবারক তাকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। মোবারকের সঙ্গে নিজের মোটরসাইকেলে করে আশরাফুল ওই মিছিলে যায়।
আশরাফুলকে এই বয়সে কেন মোটরসাইকেল কিনে দিলেন, জানতে চাইলে তার বাবা বলেন, এসএসসি পাশ করার পর খুব বায়না ধরল মোটরসাইকেল কিনে দিতে। তাই কিনে না দিয়ে আর পারলাম না। এই মোটরসাইকেল কিনে দেওয়ার পর বিনা কাজেই সে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরে বেড়াত। শেষ পর্যন্ত এ মোটরসাইকেলই তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়াল।
নিহত অপরজন হলেন ছাত্রদলের সাবেক জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান (৩২)।
নরসিংদীতে কমিটি নিয়ে বিরোধের জেরে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে শহরের চিনিশপুরে বিএনপি কার্যালয়ের পাশে গুলিবিদ্ধ হয় তারা। প্রাথমিকভাবে আশরাফুলের বয়স ২০ বলা হলেও বাবা নাজমুল জানান তার বয়স ১৬।
গত ২৬ জানুয়ারি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদকে সভাপতি ও মেহেদী হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা ছাত্রদলের ৫ সদস্য বিশিষ্ট (আংশিক) কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। এরপর থেকে ঘোষিত কমিটি বাতিলের দাবিতে পদবঞ্চিত ছাত্রদল নেতাকর্মীরা আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন। এরই জেরে কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক খায়রুল কবীর খোকনের চিনিশপুরের বাসভবন তথা জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে একাধিকবার হামলার ঘটনা ঘটে।
রোহিঙ্গাদের জন্য উন্নত ভবিষ্যৎ কেবল মিয়ানমারেই সম্ভব, বাংলাদেশে নয়। ফলে তাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়াই তাদের জন্য ভালো বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। আজ সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিডিয়া যে ইস্যুগুলো তুলেছে তা নয়, চীনের ভাইস পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে এসেছেন রোহিঙ্গা নিয়ে আলোচনা করতে। চীন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহায়তা করছে।
চীনের গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (জিডিআই) বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি (চীনা উপমন্ত্রী) সেই বিষয়টির কাছাকাছিও ছিলেন না।
বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের নিরাপদে ও দ্রুত প্রত্যাবাসনের জন্য চীন সরকারকে ধন্যবাদ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
রোহিঙ্গারা কবে থেকে মিয়ানমারে ফিরতে শুরু করবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্দিষ্ট কোনো তারিখ সম্পর্কে তার কোনো ধারণা নেই।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন এবং চীনের ভাইস পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান ওয়েইডং উভয়েই একই মত প্রকাশ করেছেন যে সমস্যাটির একটি জরুরি সমাধান প্রয়োজন, কারণ যদি আর কোনো সমাধান না করা হয় তবে এটি আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য একটি বাস্তব হুমকি হিসেবে বিকশিত হতে পারে।
মোমেন বলেন, ত্রিপক্ষীয় প্রচেষ্টা রয়েছে। আমাদের অগ্রাধিকার রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন দেখা। অনেক রোহিঙ্গা ফিরে যেতে ইচ্ছুক এবং কিছু রোহিঙ্গা নাগরিকত্বের মতো সমস্যা উত্থাপন করেছে।
রবিবার ড. মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে চীনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
মোমেন বলেন, চীনের ভাইস মিনিস্টার পদ্মা সেতু পরিদর্শন করেছেন। তিনি স্বীকার করেছেন যে বাংলাদেশ গত ১০ বছরে এমন কিছু সম্ভব করেছে যা অসম্ভব বলে মনে হচ্ছে।
মোমেন বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় চীনের উল্লেখযোগ্য অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, চীনের উপমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানালেও ঢাকা জানিয়ে দেয় প্রধানমন্ত্রী ওই সময় নিউইয়র্কে থাকবেন।
সিলেট বিভাগের সেরা জেলা শিক্ষা অফিসার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন হবিগঞ্জের জেলা শিক্ষা অফিসার মো. রুহুল্লাহ। আজ সোমবার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৩ বিভাগীয় পর্যায়ে তাকে সেরা হিসেবে নির্বাচিত করে।
বিভাগীয় সেরা হওয়ার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, করোনাকালীন সময়ে অনলাইনে ক্লাস চলমান রাখা, জেলায় ৩৪টি রেকর্ডিং স্টুডিও স্থাপন, মিড-ডে মিল সফলভাবে বাস্তবায়ন ও জেলায় শতাধিক আইসিটি ফর এডুকেশন অ্যাম্বাসেডর তৈরীতে বিশেষ ভূমিকা পালন করায় মো. রুহুল্লাকে সিলেট বিভাগের সেরা জেলা শিক্ষা অফিসার হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
এছাড়া জেলা শিক্ষা অফিসে দৃষ্টিনন্দন ছাদ বাগান তৈরীর পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাদে ছাদ বাগান তৈরীতেও তার বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। তিনি, সিলেটের শিক্ষা অফিসারদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনেও এগিয়ে রয়েছেন।
ফরিদপুরের মধুখালীতে মাদ্রাসার শিক্ষকের বলাৎকারের ঘটনা দেখে ফেলায় ৭ বছরের শিশু শিক্ষার্থীকে নির্মম নির্যাতনের পর শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ ওই মাদ্রাসা শিক্ষককে আটক করেছে।
আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার মধুখালী পৌরসভার পূর্ব গাড়াখোলা মোহাম্মদিয়া আছিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় এ ঘটনা ঘটে।
হত্যাকারী শিক্ষকের নাম মো. হেদায়েতুল্লাহ (২৬)। তিনি মাদ্রাসায় ১৪ দিন আগে শিক্ষক হিসেবে নিযোগ পান। তার বাড়ি নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার পীরের চর গ্রামে।
হত্যাকাণ্ডের শিকার শিক্ষার্থী ইমান আলী। সে নওপাড়া ইউনিয়নের সমেশকান্দি গ্রামের বাসিন্দা রাজমিস্ত্রী হৃদয় মোল্লার ছেলে।
সহকারি পুলিশ সুপার (মধুখালী সার্কেল) সুমন কর বলেন, হত্যা ছাড়াও ওই মাদ্রাসার আরেকটি শিশুকে ধর্ষণ করেছেন ওই শিক্ষক। সে ব্যাপারেও আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা জানায়, হেদায়েতুল্লাহ শিক্ষক হিসেবে যোগ দেওয়ার পর থেকে শিক্ষার্থীদের কারনে অকারণে মারপিট করতেন এবং অশ্লীল আচরণ করতেন।
মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি সালাম মিয়া জানান, বাড়ি থেকে মাদ্রাসায় পড়তে আসা শিশু ইমান আলী ওই শিক্ষকের মারপিট ও অশ্লীল আচরণ সম্পর্কিত বিষয় ফাঁস করে দিতে পারে এ রাগের বশবতী হয়ে নাক মুখ চেপে ধরে শিশু ইমানকে হত্যা করেন। পরে তিনি বাসে করে ফরিদপুরের দিকে পালিয়ে যান। মাদ্রাসার অন্য এক শিক্ষক মোটর সাইকেল নিয়ে মাঝকান্দি এলাকায় বাসটি আটকে হেদায়েতুল্লাহকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। পরে মধুখালী থানা পুলিশ এসে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, কয়েকদিন আগে মাদ্রাসার এক শিশু শিক্ষার্থীকে বলাৎকার করেন হেদায়েতুল্লাহ। এ ঘটনাটি দেখে ফেলে নিহত শিশু ইমান আলী। বিষয়টি সে অন্য শিক্ষকদের জানিয়ে দিলে তার ওপর ক্ষুব্ধ হন হেদায়েতুল্লাহ। এ কারণে তাকে হত্যা করা হয় বলে জানান তারা।
ওই মাদ্রসার মোহতামিম শামসুল হক বলেন, হেদায়েতুল্লাহকে ১৪দিন আগে অস্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হয়। এর মধ্যে তার বিরুদ্ধে শিশুদের মারপিট ও অসৌজন্য আচরণ করার অভিযোগ ওঠে। এ জন্য তাকে একাধিকবার সতর্ক করা হয়েছে। তাতেও কাজ না হওয়ায় তাকে চাকুরিচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ওই শিক্ষককে থানায় নিয়ে আসে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হেদায়েতুল্লাহ হত্যার কথা শিকার করেছেন। মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
প্রথম সেট ২৫ মিনিট, দ্বিতীয়টি ২৮ মিনিটে জিতলেন কার্লোস আলকারাজ। মনে হচ্ছিল কোয়ালিফায়ার ফ্যাভিও কোবোলিকে বুঝি উড়িয়েই দিচ্ছেন শীর্ষ বাছাই।
না, তৃতীয় সেটতে প্রতিরোধ গড়লেন ইতালিয়ান। সময় গড়ালো ঘন্টায়। শেষপর্যন্ত জয় এসেছে ৬৬ মিনিটে। ৬-০, ৬-২, ৭-৫ গেমে প্রথম রাউন্ডের ম্যাচ জিতে রাফায়েল নাদালের উত্তরসুরি ক্লে কোর্টের সর্বোচ্চ আসর শুরু করলেন।
নাদালের চোটজনিত অনুপস্থিতিতে শীর্ষবাছাই আলকারাজ। ২০২১ এ তৃতীয় রাউন্ড, গতবার কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নিয়েছিলেন। এবার আরো এগোলে সেমিফাইনালে নোভাক জকোভিচের সংগে দেখা হওয়ার সম্ভাবনা।
সে দেখা যাবে। আপাতত দ্বিতীয় রাউন্ডে আলকারাজকে টপকাতে হবে জাপানের টি. দানিয়লেকে।
আইপিএলের পঞ্চম শিরোপা জিততে চেন্নাই সুপার কিংসের চাই ১৫ ওভারে ১৭১ রান। আহমেদাবাদে রাত ১২.৪০ মিনিটে শুরু হবে খেলা। গুজরাট টাইট্যান্সের ২১৪ রানের জবাবে খেলতে নেমে ৩ বলে ৪ রান করার পর বৃ্স্টিতে বন্ধ হয় ফাইনাল। অর্থাৎ বাকি ১৪.৩ ওভারে আরো ১৬৭ রান চাই ধোনীর দলের।
নতুন পে-স্কেল কিংবা মহার্ঘ ভাতা নয়, সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাড়বে বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি বা ইনক্রিমেন্ট অনুযায়ী। তাদের বেতন প্রতি বছর যতটা বাড়ার কথা এবার তার চেয়ে বেশি বাড়বে। আর তা চলতি বছরের মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় করে বাড়ানো হবে। অর্থাৎ আগামী অর্থবছরে সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়মিত ইনক্রিমেন্ট ৫ শতাংশের বাইরে বাড়ানো হবে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে।
এ বিষয়ে পলিসি রিচার্স ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর দেশ রূপান্তরকে বলেন, গত প্রায় এক বছর ধরে দ্রব্যমূল্য বাড়ার কারণে সাধারণ মানুষ কষ্টে আছেন। সরকারি কর্মকর্তাদের বেশিরভাগের একমাত্র আয় বেতন-ভাতা। বৈশি^ক মন্দার কারণে সরকারও খানিকটা সংকটে আছে। এ পরিস্থিতিতে পে-স্কেল দেওয়ার মতো বড় ধরনের ব্যয় বাড়ানো সরকারের পক্ষে কঠিন হবে। ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হলে সরকারের ওপর চাপ বেশি হবে না।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে সরকারি কর্মরতদের খানিকটা স্বস্তি দিতে কোন খাতে কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় এমন প্রস্তাব চাওয়া হয়। একই সঙ্গে বাজেটবিষয়ক বিভিন্ন বৈঠকে সরকারি নীতিনির্ধারকরাও এ বিষয়ে আলোচনা করেন। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে যাচাই-বাছাই করে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার প্রস্তাব করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে উপস্থাপন করে। চলতি মাসে গণভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে অর্থমন্ত্রী, পরিকল্পনামন্ত্রী এ বিষয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী ওই বৈঠকে মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হলে কত বাড়তি ব্যয় হবে তা হিসাব করে পরের বৈঠকে উপস্থাপন করতে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বড় ধরনের ব্যয় না বাড়িয়ে একটা উপায় বের করতেও বলেন। শেষ পর্যন্ত ইনক্রিমেন্ট বাড়ানো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যা চলতি মাসে প্রধানমন্ত্রীর সর্বশেষ সংবাদ সম্মেলনে নিজেই জানিয়েছেন।
বর্তমানে সরকারি কর্মচারীরা ২০১৫ সালের বেতন কমিশন অনুযায়ী বেতন-ভাতা পাচ্ছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বে গঠিত কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী এ বেতন কমিশন প্রণীত হয়েছিল। এ কমিশনের সুপারিশে বলা হয়, আর নতুন বেতন কমিশন গঠন করা হবে না। প্রতি বছর ৫ শতাংশ হারে ইনক্রিমেন্ট বা বেতন বাড়ানো হবে। এ কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী তা হয়ে আসছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি হিসাব অনুযায়ী, দেশে সরকারি কর্মচারী ১৪ লাখ। বিভিন্ন করপোরেশন এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের নিয়ে হিসাব করলে প্রায় ২২ লাখ।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আগামী অর্থবছরের বাজেটে নিয়মিত ইনক্রিমেন্টের বাইরে আরও কতটা বাড়ানো যায় তা হিসাব করে নির্ধারণ করা হবে। এ কাজ করতে বাজেট প্রস্তাব পেশ করার পর আলাদা কমিটি গঠন করা হবে। এ কমিটি মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় করে যাচাই-বাছাই শেষে ইনক্রিমেন্টের হার সুপারিশ করবে। এ ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতির হার বিবেচনা করে বিদ্যমান ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্টের সঙ্গে প্রতি মাসে বেতন বাড়ানো হবে, নাকি গড় মূল্যস্ফীতির হার বিবেচনা করে ইনক্রিমেন্টের হার বাড়ানো হবে, তা খতিয়ে দেখা হবে। ২০তম গ্রেড থেকে প্রথম গ্রেড পর্যন্ত সবার জন্য একই হারে বেতন বাড়নো হবে কি না, তা আরও খতিয়ে দেখা হবে। চূড়ান্ত হিসাব অর্থমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর দাপ্তরিক প্রক্রিয়া শেষে প্রকাশ করা হবে। যে তারিখেই প্রকাশ করা হোক না কেন, আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকরী ধরা হবে।
এখানে মহার্ঘ ভাতা ১০ শতাংশ দেওয়া হলে এ হিসাবে ৪ হাজার কোটি টাকা যোগ করতে হবে। ১৫ শতাংশ দেওয়া হলে ৬ হাজার কোটি এবং ২০ শতাংশ দেওয়া হলে ৮ হাজার কোটি টাকা যোগ করতে হবে। অর্থাৎ মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হলে আগামী অর্থবছরে সরকারের ব্যয় বাড়বে। আর এতে সরকার ব্যয় কমিয়েও সরকারি কর্মকর্তাদের সন্তুষ্টিতে ইনক্রিমেন্ট বাড়ানো পথে হেঁটেছে।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের আকার ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি কর্মরতদের বেতন-ভাতা বাবদ রাখা হয়েছে ছিল ৭৪ হাজার ২৬৬ কোটি টাকা। খরচ না হওয়ায় সংশোধিত বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ ১ হাজার ৯৩ কোটি টাকা কমানো হয়েছে। আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৯৯২ কোটি টাকা বাজেট হওয়ার কথা আছে। এ বাজেট সরকারি কর্মরতদের বেতন-ভাতার জন্য বরাদ্দ ৭৭ হাজার কোটি টাকা রাখা হতে পারে। সরকারি কর্মকর্তাদের অনেক পদ এখনো খালি আছে। এতে ইনক্রিমেন্ট বাড়ানো হলেও সরকারের ব্যয়ে বড় ধরনের চাপ বাড়বে না।
গাজীপুরের দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই দফায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে ভোটে পরাজিত করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী, দক্ষ, মেধাবী ও ভাবমূর্তি সম্পন্ন আজমত উল্লাকে বরং আরও ওপরে রাখতে চেষ্টা করছেন। দলীয় সভাপতি টের পেয়েছেন মেয়র প্রার্থী আজমত হারেননি, তাকে গাজীপুরের দলীয় রাজনীতিতে জোর করে হারানো হয়েছে।
গতকাল রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান। আজমতের সঙ্গে গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন চক্রান্তের ব্যাপারগুলো শেখ হাসিনা জানেন এবং জানান। গণভবনে পরাজিত প্রার্থী আজমতকে বোঝান পরাজয়ের কারণ আমরাই। বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রার্থী দেয়নি গাজীপুরের সিটি ভোটে। তারা নৌকা হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে জাহাঙ্গীর আলম। এর সঙ্গে দলেরও কেউ কেউ রসদ জুগিয়েছে। এতে রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে এমন নয়।
গণভবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজমত উল্লা খানকে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। ওই আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গত ১৫ মে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় ওই শূন্য আসনে আজমতকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
এই নিয়ে ঘনিষ্ঠ অনেকের কাছে জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ভিন্ন কোনো জটিলতার সৃষ্টি হলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের যেকোনো আসন থেকে মনোনয়ন পাবেন তিনি। সে ক্ষেত্রে গাজীপুর সিটির ভোটে যে সংসদ সদস্য দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করার তথ্য মিলবে তাকেই বাদ দেওয়া হবে। এ সিটি ভোটে হারের কারণ জানতে প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব একটি সংস্থাকে নির্ভুল তথ্য দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
নির্বাচনকালীন সরকারে মন্ত্রীর দায়িত্বও পেতে পারেন আজমত, ওই সূত্র দাবি করে। সূত্রটি আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী যার ওপর ক্ষুব্ধ হন তার যেমন শাস্তি দেন যার ওপর সন্তুষ্ট ও যিনি ধৈর্য ধারণ করেন তাকে একই সঙ্গে সব দেন। গত ১৫ বছরে বহুজন এর উদাহরণ। গাজীপুরে মেয়র পদে আজমতকে হারা বা হারানোয়, প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীরের ভোটকে ঘিরে যে নাটকীয় আচরণ করেছেন সে সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গাজীপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আজমতকে নিয়ে যে খেলাধুলায় মেতেছে সে আজমতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আরও ওপরে।
প্রয়াত সংসদ সদস্য নায়ক ফারুক গাজীপুরের কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আজমতও টঙ্গী কালিগঞ্জের। তা ছাড়া ঢাকা লাগোয়া এই জেলার বাসিন্দা আজমত। গাজীপুরের অনেক মানুষ ওই আসনে বসবাসও করেন। এসব মিলিয়ে আজমত প্রায়োরিটি পেতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে।
আজমতের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনেরা এসব তথ্য দিলেও আজমত উল্লা খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, এসব ব্যাপারে তার কোনো কিছুই জানা নেই। চিন্তাও করেন না তিনি।
নানা অব্যবস্থাপনায় এগোচ্ছে না প্রাথমিক শিক্ষা। প্রায় শতভাগ শিশু ভর্তির আওতায় এসেছে অনেক আগে। এরপর মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতের কাজ অনেকটাই আটকে আছে। খোদ সরকারি সংস্থার গবেষণায় উঠে এসেছে প্রাথমিকে চরম দুরবস্থার কথা। গবেষয়ণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, কাক্সিক্ষত মানের চেয়ে শিশুরা অনেক পিছিয়ে আছে। কিছু শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু কাজ করার চেষ্টা করলেও কথায় কথায় তাদের ওপর নেমে আসছে শাস্তির খড়গ। মানের উন্নয়ন না হলেও ঠিকই অধিদপ্তরে বসে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন কর্মকর্তারা।
প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় সম্প্রতি এই গবেষণা করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। সেখানে দেখা যায়, করোনা সংক্রমণের আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা গড়ে ইংরেজি বিষয়ে যতটা শিখত, করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ফলে তা সাড়ে ১২ শতাংশ কমে গেছে। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের হার কমেছে প্রায় সাড়ে ১৬ শতাংশ। আর তৃতীয় শ্রেণির বাংলায় কমেছে ১৫ শতাংশের মতো।
গবেষণার তথ্য বলছে, করোনার আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ইংরেজিতে শিখন অর্জনের গড় হার ছিল প্রায় ৪৯ শতাংশ। করোনাকালে বন্ধের প্রভাবে এই হার কমে দাঁড়িয়েছে ৩৬ শতাংশ। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ^পরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের গড় হার ৫১ শতাংশের বেশি, যা আগে ছিল ৬৮ শতাংশের মতো। পঞ্চম শ্রেণির বাংলা, গণিত ও বিজ্ঞানেও ক্ষতি বেড়েছে।
এনসিটিবির সদস্য (প্রাথমিক শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষার ঘাটতি পূরণে এ ধরনের গবেষণার দরকার ছিল। আন্তর্জাতিক মানদ- বজায় রেখেই তা করা হয়েছে। আমরা এই গবেষণা প্রতিবেদন দু-এক দিনের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। আমরা অন্তত এক বছরের জন্য রেমিডিয়াল ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছি। মন্ত্রণালয় সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিচ্ছে।’
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রাথমিক শিক্ষা দিন দিন পিছিয়ে পড়লেও সেদিকে তেমন একটা নজর নেই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের। তারা ব্যস্ত আছে লাখ লাখ শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বদলি-পদায়ন নিয়ে। কেউ কথা বললেই তার ওপর নেমে আসছে শাস্তি। ফলে শিক্ষকরাও দিন দিন তাদের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন; কোনো রকমে দিন পার করছেন।
জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষায় উদ্ভাবনী ও অনন্য অবদানের জন্য ২০১৯ সালে সারা দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হন রাজবাড়ী জেলার স্বাবলম্বী ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম। একই বছর রাজধানীর মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খায়রুন নাহার লিপি শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষিক নির্বাচিত হন। সাধারণত আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এসব শিক্ষকের হাতে পদক তুলে দেন। শিক্ষকদের পাশাপাশি সেরা শিক্ষার্থীদের পদক দেওয়া হয় একই অনুষ্ঠানে। কিন্তু করোনাকালে তাদের হাতে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষক পদক তুলে দেওয়া যায়নি। গত ১২ মার্চ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তাদের হাতে এ পদক তুলে দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। তাই অনুষ্ঠানের কয়েক দিন আগে স্বাভাবিকভাবে তারা দাবি তুলেছিলেন, দেরি হলেও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে তারা পদক নেবেন; যা তাদের সারা জীবনের স্বপ্ন পূরণ করবে। কিন্তু সেটা না হওয়ায় তারা প্রতিমন্ত্রীর হাত থেকে ঠিকই পদক নেন। তবে এর ৬৮ দিনের মাথায় এই শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবি তোলায় চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। একই ঘটনায় জয়পুরহাটের হিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. মাহবুবুর রহমানকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। কারণ তার বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী এ পদক নিতে ১১ মার্চ ঢাকা এসেছিল। ওই শিক্ষকও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবিকে সমর্থন করেছিলেন। সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও তাদের কাউকে শোকজ করা হয়নি; যা বিধিবহির্ভূত বলছেন শিক্ষকরা।
জানতে চাইলে ঢাকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবদুল আজিজ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সাময়িক বরখাস্তের পরবর্তী যে প্রক্রিয়া আছে, সেদিকেই আমরা যাব।’ এর বেশি কিছু তিনি বলতে রাজি হননি। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের সঙ্গে এসব ব্যাপারে কথা বলার জন্য গতকাল একাধিকবার চেষ্টা করলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পদক নেওয়া একজন শিক্ষকের জীবনে সেরা প্রাপ্তি। এ জন্য শিক্ষকদের দাবি থাকতেই পারে, প্রত্যাশা থাকতেই পারে। তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে কাউকে শাস্তি দেওয়া যায় না। শিক্ষকদের যেভাবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, তা মোটেও ঠিক হয়নি বলে আমার মনে হয়। এর প্রভাব অন্যান্য শিক্ষকের মধ্যেও পড়বে, এটাই স্বাভাবিক।’
শুধু তা-ই নয়, করোনাকালে বন্ধ থাকা প্রাথমিক শিক্ষা চালু রাখতে কিছু শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু করেন; যাতে অনলাইন ক্লাস, শিক্ষকদের মধ্যে আলোচনাসহ নানা কাজ করা হয়। এতে প্রতিটি ফেসবুক গ্রুপে লাখ থেকে হাজারো শিক্ষক যুক্ত হয়েছেন। এখনো সেসব গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। কিন্তু সেই গ্রুপগুলোকেই এখন শায়েস্তা করার হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারের অজুহাত দেখিয়ে অনলাইনে যুক্ত থাকা অনেক শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাকেই দেওয়া হচ্ছে কারণ দর্শানো নোটিস (শোকজ)। সরকার যেখানে শিক্ষকদের ডিজিটালি আপডেট হওয়ার কথা বলছে, সেখানে প্রায় অনেকটাই উল্টো পথে হাঁটছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
শিক্ষকরা জানান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে দীর্ঘদিন ধরে আসন গেড়ে বসেছেন কিছু কর্মকর্তা। অনেকেই ৬ থেকে ১২ বছর ধরে একই দপ্তরে চাকরি করছেন। তাদের যে দায়িত্বই থাক না কেন যত লাভজনক কাজ আছে, সেগুলোতেই তারা হাত দিচ্ছেন। যোগ্য কর্মকর্তাকে অধিদপ্তরে আনলে তাদের সরে যেতে হবে, এ জন্য তারা নানাভাবে ঊর্ধ্বতনদের ভুল বুঝিয়ে মাঠপর্যায়ে শাস্তি দিয়ে সবাইকে ভীত করে তুলছেন। এতে পিছিয়ে পড়ছে প্রাথমিক শিক্ষার মান।
প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর গত মার্চ-এপ্রিলে অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি করা হয়। যদিও নিয়ম ছিল, অনলাইনে নির্দিষ্ট মানদন্ড পূরণ ছাড়া কেউ বদলি হতে পারবেন না। কিন্তু তা মানেনি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে নিয়ম ভেঙে কয়েক শো শিক্ষকের বদলির আদেশ জারি করা হয়। আর এই বদলি-পদায়নে বড় অঙ্কের অর্থ লেনদেন হয়েছে বলে দাবি শিক্ষকদের; যা ভাগ-বাটোয়ারা হয়েছে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে। আবার অনেক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও থানা শিক্ষা কর্মকর্তাদের বদলিতেও সমন্বয়হীনতা দেখা দিচ্ছে। কাউকে ক্ষোভের বশবর্তী হয়েও অনেক দূরে বদলি করে দেওয়া হচ্ছে। এতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়ন।
জানা যায়, চলতি বছর থেকে প্রথম শ্রেণিতে চালু হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রম। আর আগামী বছর থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে এবং ২০২৫ সাল থেকে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। কিন্তু তা পড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নেই অধিদপ্তরের। শিক্ষকদের নামমাত্র প্রশিক্ষণেই দায়িত্ব শেষ করা হয়েছে। আসলে এই শিক্ষাক্রম শিক্ষার্থীরা কতটুকু আত্মস্থ করতে পারছে বা এ জন্য আর কী করা প্রয়োজন, সে ব্যাপারে তেমন নজর নেই।
এ ছাড়া এখনো প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা বেতন পান ১১তম গ্রেডে ও সহকারী শিক্ষকরা পান ১৩তম গ্রেডে। দুই ধরনের প্রায় চার লাখ শিক্ষকই ১০ম গ্রেডে বেতনের দাবি করে আসছেন। এ ছাড়া সহকারী থানা শিক্ষা অফিসার ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারাও দীর্ঘদিন ধরে নবম গ্রেডের দাবি করছেন। আর মাঠে কাজ করা এসব শিক্ষক ও কর্মকর্তার পদোন্নতিও নেই বললেই চলে। কিন্তু এগুলো সমাধানেও তেমন কোনো উদ্যোগ নেই মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের; যা প্রাথমিকের মান উন্নীতের ক্ষেত্রে বড় অন্তরায় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
প্রবীণ শিক্ষক নেতা মো. সিদ্দিকুর রহমান আরও বলেন, ‘এখনো মফস্বলে বা দুর্গম অঞ্চলের অনেক স্কুলেই এক-দুজন শিক্ষক। অনেক স্কুলে শিক্ষকের পদ তিন-চার বছর ধরে শূন্য। শিক্ষক না থাকলে এর প্রভাব শিক্ষার্থীদের ওপরও পড়ে। এ ছাড়া সরকারি প্রাথমিকে সাধারণত দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা আসে। তাদের একটু আলাদা যতœ নেওয়া প্রয়োজন। সেগুলোও হচ্ছে না। শিক্ষকরাও তাদের বেতন-ভাতায় সন্তুষ্ট নন। সব মিলিয়ে আমরা প্রাথমিক শিক্ষায় কাক্সিক্ষত মান অর্জন করতে পারছি না।’
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন জায়েদা খাতুন।
তিনি ঘড়ি প্রতীকে মোট ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আজমত উল্লা খান পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় এ সিটির ৪৮০টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) রাতে রির্টানিং কর্মকর্তা স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।
নির্বাচনের অন্য মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন ১৬ হাজার ৩৬২ ভোট, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. রাজু আহাম্মেদ ৭ হাজার ২০৬ ভোট, মাছ প্রতীকে গণফ্রন্টের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম ১৬ হাজার ৯৭৪ ভোট, স্বতন্ত্রপ্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের মো. হারুন-অর-রশীদ ২ হাজার ৪২৬ ভোট এবং হাতি প্রতীকের সরকার শাহনূর ইসলাম ২৩ হাজার ২৬৫ ভোট পেয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, গাজীপুর সিটিতে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। তাদের মধ্যে ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন পুরুষ, ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন নারী ও ১৮ জন হিজড়া। এই সিটিতে ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড আছে। মোট ভোটকেন্দ্র ৪৮০টি, মোট ভোটকক্ষ ৩ হাজার ৪৯৭টি।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) নির্মিত হয়েছে বিশেষ কবিতা আবৃত্তির অনুষ্ঠান ‘ও ভোরের পাখি’। ঈমাম হোসাইনের প্রযোজনায় এটি উপস্থাপনা করেছেন তামান্ন তিথি। অনুষ্ঠানটিতে আবৃত্তি করেছেন আশরাফুল আলম, মীর বরকত, রফিকুল ইসলাম, পলি পারভিন, শাকিলা মতিন মৃদুলা, মাসকুর-এ সাত্তার কল্লোল, আসলাম শিশির, সংগীতা চৌধুরী, আহসান উল্লাহ তমাল। প্রচারিত হয় ২৫ মে সকাল সাড়ে ৯টায়।
এছাড়াও নির্মিত হয়েছে বিশেষ অনুষ্ঠান ‘আমারে দেবো না ভুলিতে’। অনুষ্ঠানটিতে গান, কবিতা ও আলোচনার সমন্বয়ে কবিকে সামগ্রিকভাবে তুলে ধরা হয়েছে। জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও বাচিকশিল্পীদের অংশগ্রহণ অনুষ্ঠানটিতে ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে। ইয়াসমিন মুসতারী, সালাউদ্দিন আহমেদ, শেলু বড়ুয়া, ছন্দা চক্রবর্ত্তী ও ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়ের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেছেন প্রফেসর মুন্সী আবু সাইফ। মনিরুল হাসানের প্রযোজনায় অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হচ্ছে ২৫ মে দুপুর ১ টা ০৫ মিনিটে। আরও প্রচারিত হবে সংগীতানুষ্ঠান ‘দোলনচাঁপা’ ও ‘সন্ধ্যামালতী’। রাত ৯টায় প্রচারিত হবে নাটক ‘বনের পাপিয়া’ (পুনপ্রচার)।