
সাভারের আশুলিয়ায় স্বামীকে দুধের সঙ্গে চেতনানাশক খাইয়ে গোপনাঙ্গ কর্তনের অভিযোগে কুলসুম বেগম (২৮) নামের এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৩১ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে আশুলিয়ার ডেন্ডাবর দশতলা রোড এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। এর আগে, গত ২৪ মার্চ ভোর রাতে দুধের সঙ্গে চেতনানাশক খাইয়ে অচেতন করে ফল কাটার চাকু দিয়ে বাবুল ফকিরের (৪৫) গোপনাঙ্গ কর্তন করা হয়।
আটককৃত কুলসুম বেগম সিলেট জেলার বালাগঞ্জ থানার বড় হাজীপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি আশুলিয়ার ডেন্ডাবর দশতলা রোড এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন বলে জানা যায়।
এঘটনায় ভুক্তভোগী বাবুল ফকির (৪৫) ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা থানার বনেরসঙ্গী এলাকার আব্দুর রহমান ফকিরের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, পাঁচ বছর আগে বাবুল ফকিরের সঙ্গে আকলিমা বেগমের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুটি বাচ্চাও আছে। কিছুদিন আগে বাবুল ফকিরের চাকরি চলে গেলে আকলিমা তার দুই শিশু সন্তানকে বাবার বাড়িতে রেখে আসে। একপর্যায়ে সে বাবুলের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এর কিছুদিন পরে আকলিমা বাচ্চাদের খরচের জন্য বাবুলকে ফোন করে টাকা দাবি করে। এসময় সে কোথায় আছে জানতে চাইলে আকলিমা স্বামীকে আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় আসতে বলেন। আকলিমার কথা মতো বাবুল ফকির গত ২৩ মার্চ রাত সাড়ে ৮টার দিকে পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় আসলে তাকে ডেন্ডাবর এলাকায় খালা কুলসুমের বাসায় নিয়ে যায়।
সেখানে খালার কথা মতো দুধের সঙ্গে চেতনানাশক খাওয়ানো হলে বাবুল অচেতন হয়ে যায়। পরে তার খালার পরামর্শে আকলিমা বেগম ফল কাটার চাকু দিয়ে বাবুল ফকিরকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার গোপনাঙ্গ কর্তন করে। এঘটনায় বাবুল চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে আহত বাবুল ফকির বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
আশুলিয়া থানায় উপ-পরিদর্শক (এসআই) অপুর্ব সাহা বলেন, স্বামীর গোপনাঙ্গ কর্তনের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হলে শুক্রবার রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযুক্ত কুলসুমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এঘটনায় মামলার অপর আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
পাবনার আমিনপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা মিয়া সালাহ উদ্দিনের বাড়ি জোরপূর্বক দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে আমিনপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার না পেয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
আমিনপুর থানার লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা মিয়া সালাউদ্দিন একজন প্রবীণ সাংবাদিক। তিনি একটি জাতীয় দৈনিকের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক। চাকরিসূত্রে ঢাকায় থাকেন। পাবনার আমিনপুরে তার পৈতৃক বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে নানা কৌশলে তার প্রতিবেশী সৎ ভাই মিশর ও শিমুল তা দখলে নিতে চেষ্টা করছে। তারা প্রায়শই মিয়া সালাউদ্দিনের বাড়ির আসবাব, গাছের ফল, ফসল চুরি করছে। এর মধ্যে তারা বাড়ির টিন ও টিউবওয়েল চুরি করে বিক্রি করে। এসবের প্রতিবাদ করায় মিশর ও শিমুল আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
মিয়া সালাউদ্দিন জানান, গত ২৬ মে মিশর ও শিমুলের অন্যায় আচরণের প্রতিবাদ করায় তারা লাঠি নিয়ে আমার স্ত্রীকে মারতে আসে। তারা বাড়ির টিনের বেড়া ভেঙে ফেলে। কোনো মতে আমার স্ত্রী প্রাণে রক্ষা পায়। আমি ও আমার পরিবার জীবনের নিরপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি বিষয়টি বেড়া উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল হক বাবুসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও জানিয়েছি। কিন্তু পুলিশ এখনও তাদের গ্রেফতার করেনি। আমি দ্রুত তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে বেড়া উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল হক বাবু বলেন, মিয়া সালাহউদ্দিন আমাদের এলাকার স্বনামধন্য মুক্তিযোদ্ধা। তাদের পারিবারিক জমি নিয়ে বিরোধ দীর্ঘদিনের। এর আগেও শিমুলকে পুলিশ আটক করেছিলো। কিন্তু সে মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় তাকে ছেড়ে দিয়েছে।
আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, মিয়া সালাউদ্দিনের অভিযোগ পেয়ে পুলিশ সুপার স্যারের নির্দেশে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সালাউদ্দিন সাহেব বাড়িতে না থাকায় কিছু ছিঁচকে চুরির ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু তার সৎ ভাই শিমুল মানসিক ভারসাম্যহীন। তার ওপর নির্ভরশীল বয়োবৃদ্ধ মা রয়েছে। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে তাকে আটক করা হয়নি। এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। নির্দেশনা পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে, অভিযুক্ত মিশর ও শিমুলের বক্তব্য জানতে তাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহারে বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট সেবনে পিন্টু আগরওয়াল (৪৮) নামে এক মুদি দোকানির মৃত্যু হয়েছে। পিন্টু আগরওয়াল উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের ডালপট্টি এলাকার মৃত রাজকুমার আগরওয়ালের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার (৩১ মে ) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নিজ বাড়িতে আত্নহত্যার উদ্দেশ্যে গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করেন পিন্টু। পরে পরিবারের লোকজন জানতে পেয়ে পিন্টুকে প্রথমে নওগাঁর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টায় তার মৃত্যু হয়।
পরিবার জানায়, পিন্টু আগরওয়াল বেশ কিছুদিন ধরে ঋণে জর্জরিত ছিলেন। সম্প্রতি মানসিক বিকারগ্রস্তও হয়ে পড়েন তিনি। ঋণের দায়ে গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেতে পারেন বলে ধারণা এলাকাবাসীর।
এ বিষয়ে সান্তাহার পুলিশ ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ রেদোয়ানুর রহিম বলেন, ময়নাতদন্তের পর মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে আদমদীঘি থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত হওয়ার তিন মাস পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি হারুনুর রশিদ খাঁনের (৭৫) জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার মজলিশপুরের গ্রামের বাড়ির সামনের মাঠে এ জানাজা হয়। এ সময় তাকে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার দিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানো হয়।
পরে ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে নেয়া হয়। ময়নাতদন্ত শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে জানান পরিবারের সদস্যরা।
জানাজায় ছেলে আমিনুর রশীদ খান তাপস স্থানীয় প্রশাসনের কাছে বাবা হারুনুর রশিদ খাঁনের হত্যার বিচার দাবি করেন।
এ সময় তিনি মামলার আসামিদের মদদদাতাদেরও বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
জানাজা নামাজে স্থানীয় সংসদ সদস্য জহিরুল হক ভূইয়া মোহন, সাবেক সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি এম তালেব, সাধারণ সম্পাদক পীরজাদা মোহাম্মদ আলী, পলাশের সংসদ সদস্য ডা. আনোয়ারুল আশরাফ খাঁন দিলীপ, সাবেক সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খাঁন পোটন, নরসিংদী জেলা প্রশাসক আবু নঈম মোহাম্মদ মারুফ খাঁন, পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজিম বিভিন্ন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার কয়েক হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় অনেকেই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ হারুনুর রশিদ খাঁনের মরদেহ দেখে চোখের পানি আটকে রাখতে পারেনি। প্রিয় নেতাকে হারিয়ে তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় তারা হত্যায় জড়িত ঘাতক ও তাদের মদদদাতাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল সোয়া ৬টার দিকে শিবপুর পৌর এলাকার বাজার সড়কে নিজের বাড়িতে গুলিবিদ্ধ হন উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা হারুনুর রশিদ খান। ঘটনার পর তাকে প্রথমে শিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার পিঠে বিদ্ধ দুটি গুলি বের করা হয়।
হামলার ঘটনার দুই দিন পর উপজেলা চেয়ারম্যানের ছেলে মো. আমিনুর রশীদ খান তাপস বাদী হয়ে পুটিয়া এলাকার আরিফ সরকারকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের নাম উল্লেখসহ ও অজ্ঞাত ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে শিবপুর মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে এজাহারনামীয় দুজন। এজাহারনামীয়দের মধ্যে নূর মোহাম্মদ নামের একজন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। এজাহারনামীয় প্রধান আসামিসহ চারজন দুবাইয়ে অবস্থান করছেন।
টাঙ্গাইল-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের মধুপুর এলাকায় বিনিময় পরিবহনের একটি যাত্রবাহী বাস ও ব্যাটারি চালিত একটি অটোরিকশার মুখোমুখী সংঘর্ষে স্বামী-স্ত্রী ও ছেলে সহ ৪ জন নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) পৌনে ৩টার দিকে মধুপুর উপজেলার গাংগাইরের গোমা বাসস্ট্যান্ডে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, ধনবাড়ী উপজেলার পটকা গ্রামের মৃত সিরাজ আলীর ছেলে মাইনুউদ্দিন (৪৫), তার স্ত্রী সাহেরা বেগম (৩৫), ছেলে সিয়াম (৭ বছর) এবং একই গ্রামের দরাজ আলীর ছেলে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালক ফরহাদ আলী (৩৫)।
স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্যাটারি চালিত একটি অটোরিকশা তিনজন যাত্রী নিয়ে মধুপরের দিকে যাচ্ছিল। এসময় বেপরোয়া গতির বিনিময় পরিবহনের টাঙ্গাইলগামী একটি যাত্রীবাহী বাস মধুপুরের গাংগাইর গোমা বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছলে মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিন জন নিহত ও এক জন গুরুতর আহত হন। আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখানে তারও মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় মধুপুর সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার ফারহানা আফরোজ জেমি জানান, গাংগাইর এলাকায় বাসের সঙ্গে মুখোমুখী সংঘর্ষে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার একই পরিবারের তিন জন ও অটোরিকশা চালক সড়কে ছিটকে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে তিন জন নিহত হয় ও অপর এক জন আহত হয়। পরে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে তিনজন ও হাসপাতাল থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। মরদেহের ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। নিহত চারজনের মধ্যে তিন জন একই পরিবারের। এ ঘটনায় ঘাতক বিনিময় পরিবহনের বাসটি জব্দ করা হয়েছে। বাসের চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মিসইউজ (অপপ্রয়োগ) হলেও এর প্রয়োজন রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম।
তিনি বলেন, কেউ বলছেন আইনটি বাতিল করতে হবে। আবার কেউ বলছেন এটা সংশোধন করা প্রয়োজন।
তবে তিনি মনে করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজন রয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নওগাঁ সার্কিট হাউস মিলনায়তনে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল আয়োজিত ‘প্রেস কাউন্সিল আইন ১৯৭৪ ও তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ অবহিতকরণ’ শীর্ষক সেমিনার ও মতবিনিময় সভায় তিনি এসব বলেন।
প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে এ আইনের অধীনে মামলার অধিকাংশ ধারা জামিন অযোগ্য। তবে মামলা হলে জামিন দেওয়া যাবে না এটা সব ক্ষেত্রে ঠিক নয়। বিচারক সাহেব জামিন দিতেও পারেন আবার নাও দিতে পারেন।
তবে মানুষ যাতে হয়রানির শিকার না হয় এমন আদেশ না দেওয়ার আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি বলেন, যারা সাংবাদিকতা করবেন তাদের প্রথম পেশা হতে হবে সাংবাদিকতাই। দ্বিতীয় পেশা অন্য কিছু হতে পারে। যিনি সাংবাদিকতা করবেন তাকে ন্যূনতম গ্র্যাজুয়েট হতে হবে অথবা সাংবাদিকতায় ন্যূনতম পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। সাংবাদিকদের ডেটাবেইস তৈরির জন্য জেলা প্রশাসক ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদকদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ২২টি জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের তালিকা পাওয়া গেছে। সারা দেশের সাংবাদিকদের তালিকা করা হবে।
অনুষ্ঠানে প্রেস কাউন্সিল আইন ও তথ্য অধিকার আইন বিষয়ে আলোচনা শেষে সাংবাদিকতার নীতি-নৈতিকতা, নীতিমালা, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, অপেশাদারি ও অপসাংবাদিকতা, সাংবাদিকদের বেতন-ভাতা, নিরাপত্তাসহ সাংবাদিকদের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন নওগাঁর সাংবাদিকেরা।
নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মিল্টন চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য দেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব মো. মাসুদ খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান, নওগাঁয় কর্মরত প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক মিডিয়া, অনলাইন পোর্টাল ও বিভিন্ন সংবাদ সংস্থার জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
রিয়াল মাদ্রিদের সংগে ১৪ বছরের সম্পর্ক চুকিয়ে ফেলছেন। ৪০ কোটি ইউরো চুক্তিতে সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আলো ইত্তিহাদে যোগ দিচ্ছেন।
ক'দিন ধরে এমন কথা শোনা যাচ্ছিল করিম বেনজেমাকে নিয়ে। বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন -এমন কথাও চাউর হয় স্পেনের সংবাদ মাধ্যমে।
কিন্তু সব কিছুতে জল ঢাললেন ব্যালন ডি অর জয়ী। স্পেনের গণমাধ্যম মার্কার দেয়া মার্কা লিজেন্ড এওয়ার্ড নিতে গিয়ে বললেন, 'আমি যখন রিয়ালেই আছি তখন ভবিষ্যৎ নিয়ে কেনো বলবো। ইন্টারনেটে যা প্রচার হচ্ছে তা ঠিক না। আমি এখানে ভালো আছি। শনিবার রিয়ালের ম্যাচ আছে, সব ফোকাস আমার সেই ম্যাচকে নিয়ে।'
ক্লাব প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজকে তাকে রিয়ালে আনার জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বেনজেমা বলেন, '২১ বছরের আমি এই ক্লাবে যোগ দিয়েছিলাম। এই ক্লাবে খেলার মতো আর কিছু হয় না, সান্তিয়াগো বার্নাবু দারুন এক জায়গা।'
রিয়ালের সংগে চুক্তির মেয়াদ এ মাসেই শেষ হচ্ছে বেনজেমার।
পাকিস্তানের প্রস্তাবিত হাইব্রিড মডেলে নয়, এশিয়া কাপ হবে একটি দেশে। আর সেটা শ্রীলংকা। পাকিস্তান তাতে অংশ না নিতে চাইলে তাদেরকে ছাড়াই হবে এশিয়া কাপ।
ভারতের তরফ থেকে পাকিস্তানকে এমন বার্তা দেয়া হয়েছে বলে খবর প্রকাশ করেছে কলকাতাভিত্তিক ইংরেজি দৈনিক দা টেলিগ্রাফ।
বিসিসিআই সেক্রেটারি জয় শাহ যিনি এসিসিরও প্রেসিডেন্ট পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে বলেছেন, শ্রীলংকায় এশিয়া কাপ খেলতে রাজি আছে ভারতসহ চার পূর্ণ সদস্য। বিষয়টি নিয়ে এসিসির নির্বাহী সভায় আলোচনা করা হবে। পাকিস্তান রাজি না হলে ৫ দল নিয়েই হবে এশিয়া কাপ।
বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ম্যাচ অন্য কোনো দেশে আয়োজনে পিসিবি চেয়ারম্যান নাজমা শেঠির দাবিও নাকচ করে দিয়েছেন জয় শাহ। টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, পাকিস্তানকে ভারতেই খেলতে হবে, না হলে না খেলবে। এ বার্তা পিসিবি এবং আইসিসির দুই কর্মকর্তা যারা সম্প্রতি পাকিস্তান সফর করেন তাদেরকে জানিয়ে দিয়েছে বিসিসিআই।
গাজীপুরের দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই দফায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে ভোটে পরাজিত করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী, দক্ষ, মেধাবী ও ভাবমূর্তি সম্পন্ন আজমত উল্লাকে বরং আরও ওপরে রাখতে চেষ্টা করছেন। দলীয় সভাপতি টের পেয়েছেন মেয়র প্রার্থী আজমত হারেননি, তাকে গাজীপুরের দলীয় রাজনীতিতে জোর করে হারানো হয়েছে।
গতকাল রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান। আজমতের সঙ্গে গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন চক্রান্তের ব্যাপারগুলো শেখ হাসিনা জানেন এবং জানান। গণভবনে পরাজিত প্রার্থী আজমতকে বোঝান পরাজয়ের কারণ আমরাই। বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রার্থী দেয়নি গাজীপুরের সিটি ভোটে। তারা নৌকা হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে জাহাঙ্গীর আলম। এর সঙ্গে দলেরও কেউ কেউ রসদ জুগিয়েছে। এতে রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে এমন নয়।
গণভবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজমত উল্লা খানকে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। ওই আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গত ১৫ মে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় ওই শূন্য আসনে আজমতকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
এই নিয়ে ঘনিষ্ঠ অনেকের কাছে জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ভিন্ন কোনো জটিলতার সৃষ্টি হলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের যেকোনো আসন থেকে মনোনয়ন পাবেন তিনি। সে ক্ষেত্রে গাজীপুর সিটির ভোটে যে সংসদ সদস্য দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করার তথ্য মিলবে তাকেই বাদ দেওয়া হবে। এ সিটি ভোটে হারের কারণ জানতে প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব একটি সংস্থাকে নির্ভুল তথ্য দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
নির্বাচনকালীন সরকারে মন্ত্রীর দায়িত্বও পেতে পারেন আজমত, ওই সূত্র দাবি করে। সূত্রটি আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী যার ওপর ক্ষুব্ধ হন তার যেমন শাস্তি দেন যার ওপর সন্তুষ্ট ও যিনি ধৈর্য ধারণ করেন তাকে একই সঙ্গে সব দেন। গত ১৫ বছরে বহুজন এর উদাহরণ। গাজীপুরে মেয়র পদে আজমতকে হারা বা হারানোয়, প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীরের ভোটকে ঘিরে যে নাটকীয় আচরণ করেছেন সে সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গাজীপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আজমতকে নিয়ে যে খেলাধুলায় মেতেছে সে আজমতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আরও ওপরে।
প্রয়াত সংসদ সদস্য নায়ক ফারুক গাজীপুরের কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আজমতও টঙ্গী কালিগঞ্জের। তা ছাড়া ঢাকা লাগোয়া এই জেলার বাসিন্দা আজমত। গাজীপুরের অনেক মানুষ ওই আসনে বসবাসও করেন। এসব মিলিয়ে আজমত প্রায়োরিটি পেতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে।
আজমতের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনেরা এসব তথ্য দিলেও আজমত উল্লা খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, এসব ব্যাপারে তার কোনো কিছুই জানা নেই। চিন্তাও করেন না তিনি।
নানা অব্যবস্থাপনায় এগোচ্ছে না প্রাথমিক শিক্ষা। প্রায় শতভাগ শিশু ভর্তির আওতায় এসেছে অনেক আগে। এরপর মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতের কাজ অনেকটাই আটকে আছে। খোদ সরকারি সংস্থার গবেষণায় উঠে এসেছে প্রাথমিকে চরম দুরবস্থার কথা। গবেষয়ণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, কাক্সিক্ষত মানের চেয়ে শিশুরা অনেক পিছিয়ে আছে। কিছু শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু কাজ করার চেষ্টা করলেও কথায় কথায় তাদের ওপর নেমে আসছে শাস্তির খড়গ। মানের উন্নয়ন না হলেও ঠিকই অধিদপ্তরে বসে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন কর্মকর্তারা।
প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় সম্প্রতি এই গবেষণা করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। সেখানে দেখা যায়, করোনা সংক্রমণের আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা গড়ে ইংরেজি বিষয়ে যতটা শিখত, করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ফলে তা সাড়ে ১২ শতাংশ কমে গেছে। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের হার কমেছে প্রায় সাড়ে ১৬ শতাংশ। আর তৃতীয় শ্রেণির বাংলায় কমেছে ১৫ শতাংশের মতো।
গবেষণার তথ্য বলছে, করোনার আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ইংরেজিতে শিখন অর্জনের গড় হার ছিল প্রায় ৪৯ শতাংশ। করোনাকালে বন্ধের প্রভাবে এই হার কমে দাঁড়িয়েছে ৩৬ শতাংশ। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ^পরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের গড় হার ৫১ শতাংশের বেশি, যা আগে ছিল ৬৮ শতাংশের মতো। পঞ্চম শ্রেণির বাংলা, গণিত ও বিজ্ঞানেও ক্ষতি বেড়েছে।
এনসিটিবির সদস্য (প্রাথমিক শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষার ঘাটতি পূরণে এ ধরনের গবেষণার দরকার ছিল। আন্তর্জাতিক মানদ- বজায় রেখেই তা করা হয়েছে। আমরা এই গবেষণা প্রতিবেদন দু-এক দিনের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। আমরা অন্তত এক বছরের জন্য রেমিডিয়াল ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছি। মন্ত্রণালয় সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিচ্ছে।’
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রাথমিক শিক্ষা দিন দিন পিছিয়ে পড়লেও সেদিকে তেমন একটা নজর নেই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের। তারা ব্যস্ত আছে লাখ লাখ শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বদলি-পদায়ন নিয়ে। কেউ কথা বললেই তার ওপর নেমে আসছে শাস্তি। ফলে শিক্ষকরাও দিন দিন তাদের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন; কোনো রকমে দিন পার করছেন।
জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষায় উদ্ভাবনী ও অনন্য অবদানের জন্য ২০১৯ সালে সারা দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হন রাজবাড়ী জেলার স্বাবলম্বী ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম। একই বছর রাজধানীর মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খায়রুন নাহার লিপি শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষিক নির্বাচিত হন। সাধারণত আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এসব শিক্ষকের হাতে পদক তুলে দেন। শিক্ষকদের পাশাপাশি সেরা শিক্ষার্থীদের পদক দেওয়া হয় একই অনুষ্ঠানে। কিন্তু করোনাকালে তাদের হাতে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষক পদক তুলে দেওয়া যায়নি। গত ১২ মার্চ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তাদের হাতে এ পদক তুলে দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। তাই অনুষ্ঠানের কয়েক দিন আগে স্বাভাবিকভাবে তারা দাবি তুলেছিলেন, দেরি হলেও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে তারা পদক নেবেন; যা তাদের সারা জীবনের স্বপ্ন পূরণ করবে। কিন্তু সেটা না হওয়ায় তারা প্রতিমন্ত্রীর হাত থেকে ঠিকই পদক নেন। তবে এর ৬৮ দিনের মাথায় এই শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবি তোলায় চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। একই ঘটনায় জয়পুরহাটের হিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. মাহবুবুর রহমানকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। কারণ তার বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী এ পদক নিতে ১১ মার্চ ঢাকা এসেছিল। ওই শিক্ষকও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবিকে সমর্থন করেছিলেন। সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও তাদের কাউকে শোকজ করা হয়নি; যা বিধিবহির্ভূত বলছেন শিক্ষকরা।
জানতে চাইলে ঢাকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবদুল আজিজ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সাময়িক বরখাস্তের পরবর্তী যে প্রক্রিয়া আছে, সেদিকেই আমরা যাব।’ এর বেশি কিছু তিনি বলতে রাজি হননি। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের সঙ্গে এসব ব্যাপারে কথা বলার জন্য গতকাল একাধিকবার চেষ্টা করলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পদক নেওয়া একজন শিক্ষকের জীবনে সেরা প্রাপ্তি। এ জন্য শিক্ষকদের দাবি থাকতেই পারে, প্রত্যাশা থাকতেই পারে। তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে কাউকে শাস্তি দেওয়া যায় না। শিক্ষকদের যেভাবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, তা মোটেও ঠিক হয়নি বলে আমার মনে হয়। এর প্রভাব অন্যান্য শিক্ষকের মধ্যেও পড়বে, এটাই স্বাভাবিক।’
শুধু তা-ই নয়, করোনাকালে বন্ধ থাকা প্রাথমিক শিক্ষা চালু রাখতে কিছু শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু করেন; যাতে অনলাইন ক্লাস, শিক্ষকদের মধ্যে আলোচনাসহ নানা কাজ করা হয়। এতে প্রতিটি ফেসবুক গ্রুপে লাখ থেকে হাজারো শিক্ষক যুক্ত হয়েছেন। এখনো সেসব গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। কিন্তু সেই গ্রুপগুলোকেই এখন শায়েস্তা করার হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারের অজুহাত দেখিয়ে অনলাইনে যুক্ত থাকা অনেক শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাকেই দেওয়া হচ্ছে কারণ দর্শানো নোটিস (শোকজ)। সরকার যেখানে শিক্ষকদের ডিজিটালি আপডেট হওয়ার কথা বলছে, সেখানে প্রায় অনেকটাই উল্টো পথে হাঁটছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
শিক্ষকরা জানান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে দীর্ঘদিন ধরে আসন গেড়ে বসেছেন কিছু কর্মকর্তা। অনেকেই ৬ থেকে ১২ বছর ধরে একই দপ্তরে চাকরি করছেন। তাদের যে দায়িত্বই থাক না কেন যত লাভজনক কাজ আছে, সেগুলোতেই তারা হাত দিচ্ছেন। যোগ্য কর্মকর্তাকে অধিদপ্তরে আনলে তাদের সরে যেতে হবে, এ জন্য তারা নানাভাবে ঊর্ধ্বতনদের ভুল বুঝিয়ে মাঠপর্যায়ে শাস্তি দিয়ে সবাইকে ভীত করে তুলছেন। এতে পিছিয়ে পড়ছে প্রাথমিক শিক্ষার মান।
প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর গত মার্চ-এপ্রিলে অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি করা হয়। যদিও নিয়ম ছিল, অনলাইনে নির্দিষ্ট মানদন্ড পূরণ ছাড়া কেউ বদলি হতে পারবেন না। কিন্তু তা মানেনি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে নিয়ম ভেঙে কয়েক শো শিক্ষকের বদলির আদেশ জারি করা হয়। আর এই বদলি-পদায়নে বড় অঙ্কের অর্থ লেনদেন হয়েছে বলে দাবি শিক্ষকদের; যা ভাগ-বাটোয়ারা হয়েছে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে। আবার অনেক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও থানা শিক্ষা কর্মকর্তাদের বদলিতেও সমন্বয়হীনতা দেখা দিচ্ছে। কাউকে ক্ষোভের বশবর্তী হয়েও অনেক দূরে বদলি করে দেওয়া হচ্ছে। এতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়ন।
জানা যায়, চলতি বছর থেকে প্রথম শ্রেণিতে চালু হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রম। আর আগামী বছর থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে এবং ২০২৫ সাল থেকে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। কিন্তু তা পড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নেই অধিদপ্তরের। শিক্ষকদের নামমাত্র প্রশিক্ষণেই দায়িত্ব শেষ করা হয়েছে। আসলে এই শিক্ষাক্রম শিক্ষার্থীরা কতটুকু আত্মস্থ করতে পারছে বা এ জন্য আর কী করা প্রয়োজন, সে ব্যাপারে তেমন নজর নেই।
এ ছাড়া এখনো প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা বেতন পান ১১তম গ্রেডে ও সহকারী শিক্ষকরা পান ১৩তম গ্রেডে। দুই ধরনের প্রায় চার লাখ শিক্ষকই ১০ম গ্রেডে বেতনের দাবি করে আসছেন। এ ছাড়া সহকারী থানা শিক্ষা অফিসার ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারাও দীর্ঘদিন ধরে নবম গ্রেডের দাবি করছেন। আর মাঠে কাজ করা এসব শিক্ষক ও কর্মকর্তার পদোন্নতিও নেই বললেই চলে। কিন্তু এগুলো সমাধানেও তেমন কোনো উদ্যোগ নেই মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের; যা প্রাথমিকের মান উন্নীতের ক্ষেত্রে বড় অন্তরায় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
প্রবীণ শিক্ষক নেতা মো. সিদ্দিকুর রহমান আরও বলেন, ‘এখনো মফস্বলে বা দুর্গম অঞ্চলের অনেক স্কুলেই এক-দুজন শিক্ষক। অনেক স্কুলে শিক্ষকের পদ তিন-চার বছর ধরে শূন্য। শিক্ষক না থাকলে এর প্রভাব শিক্ষার্থীদের ওপরও পড়ে। এ ছাড়া সরকারি প্রাথমিকে সাধারণত দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা আসে। তাদের একটু আলাদা যতœ নেওয়া প্রয়োজন। সেগুলোও হচ্ছে না। শিক্ষকরাও তাদের বেতন-ভাতায় সন্তুষ্ট নন। সব মিলিয়ে আমরা প্রাথমিক শিক্ষায় কাক্সিক্ষত মান অর্জন করতে পারছি না।’
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে হেরে যাওয়া প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে।
গণভবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজমত উল্লা খানকে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। ওই আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গত ১৫ মে থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় ওই শূন্য আসনে আজমতকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
গাজীপুরের দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই দফায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে ভোটে পরাজিত করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী, দক্ষ, মেধাবী ও ভাবমূর্তি সম্পন্ন আজমত উল্লাকে বরং আরও ওপরে রাখতে চেষ্টা করছেন। দলীয় সভাপতি টের পেয়েছেন মেয়র প্রার্থী আজমত হারেননি, তাকে গাজীপুরের দলীয় রাজনীতি জোর করে হারানো হয়েছে।
গত রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান। আজমতের সঙ্গে গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন চক্রান্তের ব্যাপারগুলো শেখ হাসিনা জানেন এবং জানান। গণভবনে পরাজিত প্রার্থী আজমতকে বোঝান পরাজয়ের কারণ আমরাই। বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রার্থী দেয়নি গাজীপুরের সিটি ভোটে। তারা নৌকা হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে জাহাঙ্গীর আলম। এর সঙ্গে দলেরও কেউ কেউ রসদ জুগিয়েছে। এতে রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে এমন নয়।
সূত্রটি আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী যার ওপর ক্ষুব্ধ হন তার যেমন শাস্তি দেন তেমনি যার ওপর সন্তুষ্ট ও যিনি ধৈর্য ধারণ করেন তাকে একই সঙ্গে সব দেন। গত ১৫ বছরে বহুজন এর উদাহরণ। গাজীপুরে মেয়র পদে আজমতকে হারা বা হারানোয়, প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীরের ভোটকে ঘিরে যে নাটকীয় আচরণ করেছেন সে সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গাজীপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আজমতকে নিয়ে যে খেলাধুলায় মেতেছে সে আজমতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আরও ওপরে।
প্রয়াত সংসদ সদস্য নায়ক ফারুক গাজীপুরের কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আজমতও টঙ্গী কালিগঞ্জের। তা ছাড়া ঢাকা লাগোয়া এই জেলার বাসিন্দা আজমত। গাজীপুরের অনেক মানুষ ওই আসনে বসবাসও করেন। এসব মিলিয়ে আজমত প্রায়োরিটি পেতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে।
আজমতের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনেরা এসব তথ্য দিলেও আজমত উল্লা খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, এসব ব্যাপারে তার কোনো কিছুই জানা নেই। চিন্তাও করেন না তিনি।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন জায়েদা খাতুন।
তিনি ঘড়ি প্রতীকে মোট ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আজমত উল্লা খান পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় এ সিটির ৪৮০টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) রাতে রির্টানিং কর্মকর্তা স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।
নির্বাচনের অন্য মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন ১৬ হাজার ৩৬২ ভোট, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. রাজু আহাম্মেদ ৭ হাজার ২০৬ ভোট, মাছ প্রতীকে গণফ্রন্টের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম ১৬ হাজার ৯৭৪ ভোট, স্বতন্ত্রপ্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের মো. হারুন-অর-রশীদ ২ হাজার ৪২৬ ভোট এবং হাতি প্রতীকের সরকার শাহনূর ইসলাম ২৩ হাজার ২৬৫ ভোট পেয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, গাজীপুর সিটিতে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। তাদের মধ্যে ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন পুরুষ, ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন নারী ও ১৮ জন হিজড়া। এই সিটিতে ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড আছে। মোট ভোটকেন্দ্র ৪৮০টি, মোট ভোটকক্ষ ৩ হাজার ৪৯৭টি।
দুই দশকেরও বেশি ক্যারিয়ারে অসংখ্য নাটক-টেলিছবি নির্মাণ করেছেন শিহাব শাহীন, উপহার দিয়েছেন হিট প্রোডাকশন। নিজেকে শুধু রোমান্টিক জনরায় আটকে না রেখে কাজ করেছেন বহুমাত্রিক ঘরানায়। নিজেকে প্রমাণ করেছেন সব্যসাচী নির্মাতা হিসেবে। নিজেকে শুধু টেলিভিশনেই আটকে রাখেননি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনিও পাল্টেছেন প্লাটফর্ম এবং সেখানেও দেখিয়েছেন নিজের মুন্সিয়ানা।
সর্বশেষ গেল ঈদে তুমুল সাড়া ফেলেছে তার নির্মিত স্পিন অফ সিরিজ ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’। সাফল্যের পর কিছুদিন আগেই অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এর সাকসেস পার্টি যেখানে উপস্থিত ছিলেন টিমের কলাকুশলী থেকে শুরু করে অন্যান্য নির্মাতা ও শিল্পীরা। সেই ধারাবাহিকতায় এবার তিনি নিয়ে আসছেন সিরিজটির সিক্যুয়াল। শুধু তাই নয়, একসঙ্গে একাধিক সিরিজ ও ফিল্ম নিয়ে আসছেন জনপ্রিয় নির্মাতা।
শিহাব শাহীন বলেন, ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’ নিয়ে এতটা প্রত্যাশা ছিল না কিন্তু সে সাড়া পেয়েছি তা প্রত্যাশার চেয়েও বেশি। দর্শকরাই কাজটিকে গ্রহণ করেছেন আর তাই এখন এর সিক্যুয়াল নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছি। স্পিন অফে দেখিয়েছি অ্যালেন স্বপনের পেছনের গল্প। সিন্ডিকেটে তাকে আমরা দেখিয়েছিলাম ২০২২ সালে, সে ঢাকায় আসার পর এর মাঝের সময়টার গল্পই থাকবে সিক্যুয়ালে। যেটার সংযোগ থাকতে পারে ‘সিন্ডিকেট ২’-তে। ঈদের পরপর এটার শুট করার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই সিক্যুয়াল ছাড়াও আরও বেশ কিছু সিরিজ ও ফিল্ম নিয়ে সবকিছু চূড়ান্ত হয়েছে বলেও জানান এ নির্মাতা। তিনি বলেন, মোস্তফা সরয়ার ফারুকির তত্ত্বাবধানে ওটিটি প্লাটফর্ম চরকির ‘মিনিস্ট্রি অফ লাভ’ সিরিজের একটা কনটেন্ট করবো। এখনও কাস্টিং চূড়ান্ত হয়নি। এছাড়া হইচইয়ের একটি সিরিজ ও বিঞ্জের একটি ফিল্ম করা হবে। নাম চূড়ান্ত হয়নি। তবে দুটোতেই জিয়াউল ফারুক অপূর্ব থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
মাঝে শোনা গিয়েছিল, আফরান নিশোকে নিয়ে ‘সিন্ডিকেট ২’ নাকি হবে না, এটা কতটুকু সত্য? এমন প্রশ্নে শিহাব শাহীন বলেন, এটা ভূয়া তথ্য। ডিসেম্বরের শেষ দিকে ‘সিন্ডিকেট ২’ করবো তার আগে সেপ্টেম্বরে শুরু করবো ‘রসু খাঁ’।
জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি জমাচ্ছেন শিহাব শাহীন। দেশে ফিরবেন মাসের শেষ নাগাদ এরপর কাজে নামবেন।