ফ্লোরা আহমেদকে নিয়ে কয়েকটি কথা
সৌভিক রেজা | ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১৬:৪০
রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী ফ্লোরা আহমেদ (বায়ে) ও পূর্বা দাম (ডানে)।
রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী পূর্বা দাম চলে গেলেন। ৮৬ বছর বয়সে একজন গায়ক বা গায়িকার মৃত্যুকে আমরা অকাল মৃত্যু বলি না ঠিকই, কিন্তু যে-কোনও মৃত্যুই তো বিষাদের, শূন্যতার, কষ্টের। পূর্বা দামের মৃত্যুতে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা, সোশ্যাল মিডিয়ায়—শুধুই পশ্চিমবঙ্গে নয়, বাংলাদেশেও—যে-প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে, সেটা একেবারেই স্বাভাবিক, প্রত্যাশিতও বটে।
২.
পূর্বাকে নিয়ে লেখা নানাজনের এইসব প্রতিক্রিয়া পড়তে-পড়তে মনটা কয়েক মাস পিছিয়ে যায়। রবীন্দ্রসঙ্গীতের আমাদের অন্যতম গুণী গায়িকা ফ্লোরা আহমেদ কয়েক মাস আগেই তো চলে গেলেন। একেবারেই নিঃশব্দে। কোনো পত্রিকায়, কোনো টিভি চ্যানেলে, সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর সেই চলে যাওয়া নিয়ে কারো একটু কোনও রকমের সাড়াশব্দ নজরে পড়েনি। এই হচ্ছে আমাদের বাংলাদেশ। এক বুক রক্ত ঢেলে স্বাধীন-করা একটি দেশ!
৩.
ফ্লোরা আহমেদের গান শোনার অভিজ্ঞতা যাঁদের হয়েছে, তাঁরা জানেন, গানের মর্মবাণীকে আত্মস্থ করে, কী অসামান্য দরদ দিয়ে, কণ্ঠের মাধুরী মিশিয়ে তিনি রবীন্দ্রনাথের গানগুলো গাইতেন। তাঁর ‘প্রকাশিত সিডি’ থেকে কয়েকটি উদাহরণ দিই—
ক.‘দুঃখরাতে, হে নাথ, কে ডাকিলে—
জাগি হেরিনু তব প্রেমমুখচ্ছবি।’
[ পূজা পর্যায় : ২৮০। প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘গানটি ১৩০৯ অগ্রহায়ণ মাসে মৃণালিনী
দেবীর মৃত্যুর পরে রচিত।’]
খ. ‘দুঃখ যদি না পাবে তো দুঃখ তোমার ঘুচবে কবে?
বিষকে বিষের দাহ দিয়ে দহন করে মারতে হবে।’
[ পূজা পর্যায় : ২০৪। রচনাকাল : ১লা আশ্বিন, ১৩২১]
গ. ‘মনে যে আশা লয়ে এসেছি হল না, হল না হে।
ওই মুখপানে চেয়ে ফিরিনু লুকাতে আঁখিজল,
বেদনা রহিল মনে মনে।’
[ প্রেম পর্যায় : ৩৬৬। প্রকাশকাল : বৈশাখ, ১৩০০]
এই গানগুলো শুনতে-শুনতে মনে হয়, রবীন্দ্রনাথের দুঃখের সঙ্গে নিজের ব্যক্তিগত কোনো না-পাওয়ার দুঃখকে মিশিয়ে, শ্রোতাদের মনে বিগলিত করুণাধারার স্রোত যেন বইয়ে দিচ্ছেন ফ্লোরা আহমেদ। যেন রবীন্দ্রনাথের সেই অনুনয়টুকু তিনি সারাজীবন ধরে মনে রেখেছিলেন। কী সেই অনুনয়-যুক্ত কথা? প্রফুল্লচন্দ্র মহলানবিশের উদ্দেশে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, ‘বুলাবাবু, তোমার কাছে সানুনয় অনুরোধ—‘একটু দরদ দিয়ে, একটু রস দিয়ে গান শিখিয়ো—এইটেই আমার গানের বিশেষত্ব। তার উপরে তোমরা যদি স্টিম রোলার চালিয়ে দাও, আমার গান চেপ্টা হয়ে যাবে।’ সেইসঙ্গে তিনি এইটিও বলতে ভোলেননি, ‘আমার গানে যাতে একটু রস থাকে, তান থাকে, দরদ থাকে ও মীড় থাকে, তার চেষ্টা তুমি করো।’
আমরা দেখি, রবীন্দ্রনাথ-কথিত সেই দরদ, সেই রস, সেই তান, সেই মীড় বজায় রেখেই ফ্লোরা আহমেদ তাঁর গানগুলো সফলভাবে গাইবার চেষ্টা করে গেছেন। গানের কথার মর্মবাণী যেন তাঁর কণ্ঠে নানাভাবে উচ্চারিত হয়ে উঠেছে। তাঁর খুব বেশি গান ক্যাসেটে বা সিডিতে ‘ধরা’ নেই। বিটিভিতে একসময় মাঝে-মধ্যে গাইতেন। শেষের দিকে বেশিরভাগ সময় নিজেকে অন্তরালেই সরিয়ে রেখেছিলেন। কোনো সম্মান, পুরস্কার পেয়েছেন বলেও তো আমাদের জানা নেই। স্বীকার করতে দ্বিধা নেই, ফ্লোরা সম্বন্ধে আমরা এতো কম জানি!
৪.
পূর্বা দামকে অবশ্যই শ্রদ্ধা জানাই, এটা নিয়ে কারো সঙ্গে কোনও মতভেদ নাই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, ফ্লোরা আহমেদের ‘অপরাধ’টা কোথায়? তিনিও তো তাঁর একটা গোটা জীবন রবীন্দ্রনাথের গান গেয়ে কাটিয়ে দিলেন। কেন তাঁর জন্যে একটু দীর্ঘশ্বাসও আমাদের বুকে জমা থাকে না! কেন পত্র-পত্রিকায় তাঁকে নিয়ে কেউ একটি বাক্যও লেখার তাগিদ অনুভব করেন না?
৫.
ফ্লোরা আহমেদকে নিয়ে এই নীরবতার কারণ খানিকটা হলেও আমরা বুঝতে পারি। আবার আমাদের এই বুঝে-যাওয়াটাই যে আসল জিনিস, সেই দাবিও করি না। রবীন্দ্রনাথের হাতে হাত রেখেও অতি ক্ষুদ্র ব্যক্তিগত গ-ি থেকে অনেক ‘মহাজন’ ব্যক্তিত্ব নিজেদেরকে বিশাল বাইরের খোলা জগতে নিয়ে আসতে বারে-বারেই ব্যর্থ হয়েছেন। হয়তো তাঁদের সেই ব্যর্থতার আক্রোশ ফ্লোরাকেও বহন করতে হয়েছে; যেমন তাঁর জীবদ্দশায়, তেমনই মৃত্যুর পরেও ।
তারসঙ্গে এইটুকুও বুঝতে পারি যে, তিনি জাগতিক কোনো করুণাময়েরই করুণা বা দয়া পাননি। এমনি দুর্ভাগ্যের জীবন ছিলো এই গায়িকার! যাঁর জীবনে তো বটেই এমনকি মৃত্যুতেও কারো-কোনো অটল স্তব্ধতার গায়ে একটুও দাগ পড়েনি।
৬.
রবীন্দ্রনাথের 'অচলায়তন' নাটকে ‘উপাচার্য’ যেমন বলেছিলেন, ‘এখনকার অটল স্তব্ধতার লেশমাত্র বিচ্যুতি দেখতে পাচ্ছি নে। আমাদের তো বিচলিত হবার কথাও নয়। আমাদের সমস্ত শিক্ষা কোন্ কালে সমাধা করেছি।’ সেই রবীন্দ্রনাথের নাম ভাঙিয়েই তো কতো ধরনের 'অচলায়তন'ই না তৈরি করে রেখেছেন রবীন্দ্র-গুণমুগ্ধ তপস্বীরা! তাঁদের শিক্ষা সমাপ্ত, তাঁরা পন্ডিত, তাঁরা এখন আর কোনোকিছুতেই বিচলিত নন।
নতজানু হয়ে স্বীকার করি, আমাদের অনেকেরই শিক্ষা এখনও শেষ হয়নি। যেন কোনোদিনই শেষ না হয়। অমল যেমন বলেছিলো, ‘না না, আমি ককখোনা প-িত হব না।’ আমরাও যেন প-িত না হই। আমরা গানের প-িত নয়, গানের সমঝদার হয়েই থাকতে চাই।
৭.
আমাদের মতো যাঁরা সঙ্গীতের ‘পন্ডিত’ নন, তাঁদের জন্যেই ফ্লোরা আহমদের গানগুলো জমা রইলো। থাকলো কিছু ঝাপসা হয়ে-যাওয়া স্মৃতি। ফ্লোরা আহমেদ তাঁর মনে এই অতি সামান্য আশা নিয়ে অসীম শান্তির দেশে নিশ্চিন্তে থাকুন। যদি সে-রকম কিছু কোথাও থেকে থাকে! ফ্লোরা আহমেদকে জানাই অন্তিম শ্রদ্ধা।
লেখক: সৌভিক রেজা, শিক্ষক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
সৌভিক রেজা | ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১৬:৪০

রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী পূর্বা দাম চলে গেলেন। ৮৬ বছর বয়সে একজন গায়ক বা গায়িকার মৃত্যুকে আমরা অকাল মৃত্যু বলি না ঠিকই, কিন্তু যে-কোনও মৃত্যুই তো বিষাদের, শূন্যতার, কষ্টের। পূর্বা দামের মৃত্যুতে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা, সোশ্যাল মিডিয়ায়—শুধুই পশ্চিমবঙ্গে নয়, বাংলাদেশেও—যে-প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে, সেটা একেবারেই স্বাভাবিক, প্রত্যাশিতও বটে।
২.
পূর্বাকে নিয়ে লেখা নানাজনের এইসব প্রতিক্রিয়া পড়তে-পড়তে মনটা কয়েক মাস পিছিয়ে যায়। রবীন্দ্রসঙ্গীতের আমাদের অন্যতম গুণী গায়িকা ফ্লোরা আহমেদ কয়েক মাস আগেই তো চলে গেলেন। একেবারেই নিঃশব্দে। কোনো পত্রিকায়, কোনো টিভি চ্যানেলে, সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর সেই চলে যাওয়া নিয়ে কারো একটু কোনও রকমের সাড়াশব্দ নজরে পড়েনি। এই হচ্ছে আমাদের বাংলাদেশ। এক বুক রক্ত ঢেলে স্বাধীন-করা একটি দেশ!
৩.
ফ্লোরা আহমেদের গান শোনার অভিজ্ঞতা যাঁদের হয়েছে, তাঁরা জানেন, গানের মর্মবাণীকে আত্মস্থ করে, কী অসামান্য দরদ দিয়ে, কণ্ঠের মাধুরী মিশিয়ে তিনি রবীন্দ্রনাথের গানগুলো গাইতেন। তাঁর ‘প্রকাশিত সিডি’ থেকে কয়েকটি উদাহরণ দিই—
ক.‘দুঃখরাতে, হে নাথ, কে ডাকিলে—
জাগি হেরিনু তব প্রেমমুখচ্ছবি।’
[ পূজা পর্যায় : ২৮০। প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘গানটি ১৩০৯ অগ্রহায়ণ মাসে মৃণালিনী
দেবীর মৃত্যুর পরে রচিত।’]
খ. ‘দুঃখ যদি না পাবে তো দুঃখ তোমার ঘুচবে কবে?
বিষকে বিষের দাহ দিয়ে দহন করে মারতে হবে।’
[ পূজা পর্যায় : ২০৪। রচনাকাল : ১লা আশ্বিন, ১৩২১]
গ. ‘মনে যে আশা লয়ে এসেছি হল না, হল না হে।
ওই মুখপানে চেয়ে ফিরিনু লুকাতে আঁখিজল,
বেদনা রহিল মনে মনে।’
[ প্রেম পর্যায় : ৩৬৬। প্রকাশকাল : বৈশাখ, ১৩০০]
এই গানগুলো শুনতে-শুনতে মনে হয়, রবীন্দ্রনাথের দুঃখের সঙ্গে নিজের ব্যক্তিগত কোনো না-পাওয়ার দুঃখকে মিশিয়ে, শ্রোতাদের মনে বিগলিত করুণাধারার স্রোত যেন বইয়ে দিচ্ছেন ফ্লোরা আহমেদ। যেন রবীন্দ্রনাথের সেই অনুনয়টুকু তিনি সারাজীবন ধরে মনে রেখেছিলেন। কী সেই অনুনয়-যুক্ত কথা? প্রফুল্লচন্দ্র মহলানবিশের উদ্দেশে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, ‘বুলাবাবু, তোমার কাছে সানুনয় অনুরোধ—‘একটু দরদ দিয়ে, একটু রস দিয়ে গান শিখিয়ো—এইটেই আমার গানের বিশেষত্ব। তার উপরে তোমরা যদি স্টিম রোলার চালিয়ে দাও, আমার গান চেপ্টা হয়ে যাবে।’ সেইসঙ্গে তিনি এইটিও বলতে ভোলেননি, ‘আমার গানে যাতে একটু রস থাকে, তান থাকে, দরদ থাকে ও মীড় থাকে, তার চেষ্টা তুমি করো।’
আমরা দেখি, রবীন্দ্রনাথ-কথিত সেই দরদ, সেই রস, সেই তান, সেই মীড় বজায় রেখেই ফ্লোরা আহমেদ তাঁর গানগুলো সফলভাবে গাইবার চেষ্টা করে গেছেন। গানের কথার মর্মবাণী যেন তাঁর কণ্ঠে নানাভাবে উচ্চারিত হয়ে উঠেছে। তাঁর খুব বেশি গান ক্যাসেটে বা সিডিতে ‘ধরা’ নেই। বিটিভিতে একসময় মাঝে-মধ্যে গাইতেন। শেষের দিকে বেশিরভাগ সময় নিজেকে অন্তরালেই সরিয়ে রেখেছিলেন। কোনো সম্মান, পুরস্কার পেয়েছেন বলেও তো আমাদের জানা নেই। স্বীকার করতে দ্বিধা নেই, ফ্লোরা সম্বন্ধে আমরা এতো কম জানি!
৪.
পূর্বা দামকে অবশ্যই শ্রদ্ধা জানাই, এটা নিয়ে কারো সঙ্গে কোনও মতভেদ নাই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, ফ্লোরা আহমেদের ‘অপরাধ’টা কোথায়? তিনিও তো তাঁর একটা গোটা জীবন রবীন্দ্রনাথের গান গেয়ে কাটিয়ে দিলেন। কেন তাঁর জন্যে একটু দীর্ঘশ্বাসও আমাদের বুকে জমা থাকে না! কেন পত্র-পত্রিকায় তাঁকে নিয়ে কেউ একটি বাক্যও লেখার তাগিদ অনুভব করেন না?
৫.
ফ্লোরা আহমেদকে নিয়ে এই নীরবতার কারণ খানিকটা হলেও আমরা বুঝতে পারি। আবার আমাদের এই বুঝে-যাওয়াটাই যে আসল জিনিস, সেই দাবিও করি না। রবীন্দ্রনাথের হাতে হাত রেখেও অতি ক্ষুদ্র ব্যক্তিগত গ-ি থেকে অনেক ‘মহাজন’ ব্যক্তিত্ব নিজেদেরকে বিশাল বাইরের খোলা জগতে নিয়ে আসতে বারে-বারেই ব্যর্থ হয়েছেন। হয়তো তাঁদের সেই ব্যর্থতার আক্রোশ ফ্লোরাকেও বহন করতে হয়েছে; যেমন তাঁর জীবদ্দশায়, তেমনই মৃত্যুর পরেও ।
তারসঙ্গে এইটুকুও বুঝতে পারি যে, তিনি জাগতিক কোনো করুণাময়েরই করুণা বা দয়া পাননি। এমনি দুর্ভাগ্যের জীবন ছিলো এই গায়িকার! যাঁর জীবনে তো বটেই এমনকি মৃত্যুতেও কারো-কোনো অটল স্তব্ধতার গায়ে একটুও দাগ পড়েনি।
৬.
রবীন্দ্রনাথের 'অচলায়তন' নাটকে ‘উপাচার্য’ যেমন বলেছিলেন, ‘এখনকার অটল স্তব্ধতার লেশমাত্র বিচ্যুতি দেখতে পাচ্ছি নে। আমাদের তো বিচলিত হবার কথাও নয়। আমাদের সমস্ত শিক্ষা কোন্ কালে সমাধা করেছি।’ সেই রবীন্দ্রনাথের নাম ভাঙিয়েই তো কতো ধরনের 'অচলায়তন'ই না তৈরি করে রেখেছেন রবীন্দ্র-গুণমুগ্ধ তপস্বীরা! তাঁদের শিক্ষা সমাপ্ত, তাঁরা পন্ডিত, তাঁরা এখন আর কোনোকিছুতেই বিচলিত নন।
নতজানু হয়ে স্বীকার করি, আমাদের অনেকেরই শিক্ষা এখনও শেষ হয়নি। যেন কোনোদিনই শেষ না হয়। অমল যেমন বলেছিলো, ‘না না, আমি ককখোনা প-িত হব না।’ আমরাও যেন প-িত না হই। আমরা গানের প-িত নয়, গানের সমঝদার হয়েই থাকতে চাই।
৭.
আমাদের মতো যাঁরা সঙ্গীতের ‘পন্ডিত’ নন, তাঁদের জন্যেই ফ্লোরা আহমদের গানগুলো জমা রইলো। থাকলো কিছু ঝাপসা হয়ে-যাওয়া স্মৃতি। ফ্লোরা আহমেদ তাঁর মনে এই অতি সামান্য আশা নিয়ে অসীম শান্তির দেশে নিশ্চিন্তে থাকুন। যদি সে-রকম কিছু কোথাও থেকে থাকে! ফ্লোরা আহমেদকে জানাই অন্তিম শ্রদ্ধা।
লেখক: সৌভিক রেজা, শিক্ষক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।